নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে লিখতে গিয়ে সাহিত্যিকগণ, বিশেষ করে কবিরা চোখের ভুরু নিয়ে নানা বর্ণনা দিয়েছেন। মুখের মাধুর্যের অনেকটাই নির্ভর করে চোখের দুই ভুরুর উপর। যা সঠিক আকারে না হলে বেমানান দেখায়।
চোখের দুই ভুরুর সঠিক আকার মুখের মাধুর্যের মানদণ্ড বললে খুব একটা ভুল বলা হয় না। তাই আজকের প্রতিবেদনে ভুরু বা আইব্রোকে সঠিক সেপে রাখার কয়েকটি সহজ সরল ঘরোয়া টিপস নিয়ে হাজির। যা আপনারা সহজে ব্যবহার করে পেতে পারেন ঘন সুন্দর মনের মত ভুরু।
ভুরুর আকার কেমন হওয়া উচিত?
সাধারণভাবে, আইব্রো বা ভুরুর আকার মুখের আকারের উপর নির্ভর করে যেমন:
- মুখের আকার গোলাকার হলে ভুরু যুগল ধনুকাকার অর্থাৎ ধনুকের সেপে হলে মুখ অনেকটা লম্বা ও পাতলা দেখায়। যা বেস সুন্দর দেখতে লাগে।
- অল্প বয়সী মেয়ে যাদের মুখ ওভাল সেপ বা ডিম্বাকৃতি তাদের ভুরু ঘন ও মোটা হলে বেশি সুন্দর দেখায়।
- বর্গাকার আকৃতির মুখের উপর ভুরু যুগল কিছুটা বাঁকিয়ে আকার দেওয়া উচিত। এতে মুখের গঠন দৃঢ় দেখায়, যা খুবই ক্লাসিনেস আনে মুখে।
- যদি মুখ দীর্ঘ হয়, তবে এই বৃহত্তর দৈর্ঘ্যের উপস্থিতি কম করতে, ভুরুর আকারটি কিছুটা নীচের দিকে নামিয়ে সেপ দেওয়া উচিত বেস মানানসই দেখতে লাগে।
- মুখের আকার যদি হার্ট সেপের হয় তাহলে ভুরু পাতলা রেখে গোলাকৃতি করে তা রাখা উচিত।
আমরা লক্ষ করে দেখেছি যে ভুরুর আকার যাই হোক না কেন, তা ঘন হওয়া খুবই আবশ্যিক। তা না হলে মুখের আকার অনুযায়ী ভুরুর সেপ দেওয়া সম্ভব নয়। আপনার ভুরু যদি পাতলা হয় তবে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি সেগুলি ঘন করতে পারে:
১. রেড়ির তেল দিয়ে মালিশ:
রেড়ির তেল ক্যাস্টর অয়েল নামেও পরিচিত। সামান্য পরিমান তুলোয় এই তেল নিয়ে তা ভুরুর উপর লাগান। যদি ভুরু খুব পাতলা হয় তাহলে এটি সারারাত লাগিয়ে রাখুন, সকালে উঠে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। না হলে মাত্র ৩০ মিনিট মত রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই তেলটি চুলকে পুষ্টি যোগায় ও মজবুত করে।
২. নারকেল তেল:
নারকেল তেলে ভিটামিন ই ও প্রোটিনের মত প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে। ভুরুর উপর নিয়মিত এই তেল মালিশ করলে পাতলা থেকে পাতলা ভুরুও কয়েকদিনের মধ্যে ঘন হয়ে যায়।
৩. অ্যালোভেরা জেল:
অ্যালোভেরা জেল চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়ক। অ্যালোভেরা জেল ভুরুতে লাগিয়ে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মত রেখে দিন। জেল শুকিয়ে যাওয়ার পর মুখ ধুয়ে নিন। আপনারা যদি ভালো ও দ্রুত রেজাল্ট পেতে চান তাহলে এটি দিনে দুবার করে করুন।
৪. পেঁয়াজের রস:
পেঁয়াজের মধ্যে সালফারের মত উপাদান রয়েছে, তাই এটি মাথার চুল বা ভুরু যাতেই ব্যবহার করা হোক না কেন, চুলের বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি দ্রুত শুরু করে। এজন্য পাতলা ভুরুতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা ভালো। এটি সপ্তাহে একবার পাতলা ভুরুকে ঘন করতে অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
৫. মেথির দানার ব্যবহার:
মেথির বীজে নিকোটিনিক, লেসিথিন এবং প্রোটিন জাতীয় পুষ্টি থাকে। ভুরু ঘন করতে এটিকে নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন। মেথির দানা এবং নারকেল তেলের পেস্ট ভুরুতে লাগালে পাতলা ভুরু ঘন হতে পারে। ভালো ফলাফল পেতে, এই পেস্টটি সপ্তাহে এক থেকে দুবার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
আপনার সুবিধা অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলির যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন। নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে আপনার পাতলা ভুরু ধীরে ধীরে ঘন হয়ে উঠবে।
মন্তব্য করুন