ফুল বডি চকচকে রাখুন এই ৩টি ঘরোয়া তেল ব্যবহার করে, আর জেনে নিন সেগুলো কিভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেন।
১. নারকেল তেলের বডি অয়েলঃ
যা যা লাগবেঃ
- নারকেল তেল – আধা কাপ
- সরিষার তেল – আধা কাপ
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল – ২টি
- কমলালেবুর খোসা গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ
- গোলাপের পাপড়ি গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ
- অলিভ অয়েল – ২ টেবিল চামচ
- গ্লিসারিন – ১ টেবিল চামচ
- ভিটামিন সি ট্যাবলেট – ১টি
- কর্পূর – ১টি
যেভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেনঃ
সব উপকরণ মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে রাখুন। অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে নিবেন এবং ভিটামিন সি ট্যাবলেট গুঁড়া করে নিবেন মেশানোর আগে, কর্পূর গুঁড়া করা লাগবেনা।
মেশানোর পরে দুইদিন পর্যন্ত তেল ব্যবহার করবেন না, বোতলটা ওভাবেই রেখে দিবেন। দুইদিন পর থেকে ব্যবহার করুন প্রতিদিন সকালে স্নানের পরে, সারা শরীরে।
উপকারিতাঃ
ভিটামিন ই ত্বককে করে টানটান এবং যেকোন কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে৷ ভিটামিন সি ত্বককে মসৃণ করে। কর্পূর প্রাকৃতিক সুগন্ধির কাজ করে এবং এটি শরীরের কোন ব্যথা থাকলে সারিয়ে তুলবে। চিরচেনা গ্লিসারিন শীতে ত্বকের রুক্ষতা-শুষ্কতা কমিয়ে আনবে। গোলাপের পাপড়ি গুঁড়া সানস্ক্রিন এবং ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। আর কমলার খোসার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বককে সর্বাত্মকভাবে রক্ষা করে।
২. দারচিনির বডি অয়েলঃ
যা যা লাগবেঃ
- আমন্ড অয়েল – ১ কাপের তিন ভাগের এক ভাগ
- জোজোবা অয়েল – ১ কাপের আট ভাগের এক ভাগ
- অলিভ অয়েল – ১ কাপের আট ভাগের এক ভাগ
- সিনামন এসেনশিয়াল অয়েল – ১২ ফোঁটা
- ভ্যানিলা এসেনশিয়াল অয়েল – ২০ ফোঁটা
- ক্লোভ এসেনশিয়াল অয়েল – ৫ ফোঁটা
- দারচিনি – বড় ১টি টুকরা
যেভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেনঃ
সব তেল একসাথে মিশিয়ে কাচের বোতলে ঢেলে নিন এবং দারচিনির টুকরা এতে ডুবিয়ে রাখুন। গোসলের পরে এই তেল শরীরে মাসাজ করলে কনকনে ঠান্ডায় শরীর থাকবে গরম আর শুষ্ক ত্বকে আসবে প্রশান্তির ছোঁয়া।
উপকারিতাঃ
জোজোবা, অলিভ, আমন্ড অয়েল স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করে। সিনামন, ক্লোভ, ভ্যানিলা অয়েল উষ্ণ এবং ঝাঁঝালো অ্যারোমাথেরাপির মিশেল ঘটায়, যা হেমন্ত ও শীতের হাড় হিম করা আবহাওয়ার জন্য ভীষণ উপকারী। শুধু তাই নয়, দারচিনি সুগন্ধীর পাশাপাশি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের একটি উৎস, যা শীতকালীন ত্বকের সমস্যায় দারুণ কাজে লাগে।
৩. ল্যাভেন্ডারের বডি অয়েলঃ
যা যা লাগবেঃ
- সুইট আমন্ড অয়েল – আধা কাপ
- জোজোবা অয়েল – ১ কাপের আট ভাগের এক ভাগ
- ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল – ২৫ ফোঁটা
- ভ্যানিলা এসেনশিয়াল অয়েল – ১০ ফোঁটা
- জেসমিন এসেনশিয়াল অয়েল – ৫ ফোঁটা
- ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল – ৫ ফোঁটা
- ল্যাভেন্ডার পাতা – কয়েকটি
যেভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেনঃ
সবগুলো উপকরণ কাচের বোতলে ঢেলে ভালোমতো ঝাঁকিয়ে নিন। রাতে গোসল করে এই তেল মাসাজ করবেন। স্কিনের নাইট কেয়ারের জন্য এই তেলটি খুব ভালো হবে। চাইলে ভ্যানিলা এসেনশিয়াল অয়েলের পরিবর্তে ভ্যানিলার বীজ ব্যবহার করতে পারেন। বীজ তেলে ডুবিয়ে রাখলে ধীরে ধীরে নির্যাসটা বেরিয়ে তেলের সাথে মিশে যাবে।
উপকারিতাঃ
জোজোবা তেল বৈশিষ্ট্যগতভাবে ত্বকের ন্যাচারাল তেলের মতোই। এটা স্কিনকে হাইড্রেট করে কোনরকম চিটচিটে ভাব ছাড়াই। ক্যামোমাইল অয়েল ত্বকে জোগায় আর্দ্রতা এবং কোমলতা। জেসমিন তেল ত্বকের ময়েশ্চার লক করে, অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে, এবং এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের সমস্যা দূর করে৷
মন্তব্য করুন