মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে আপনার চুলের উপর। দেখুন বিভিন্ন প্রোডাক্ট মেখে আপনি উজ্জ্বল হবেন, আরও সুন্দর দেখাবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দরকার উপযুক্ত স্টাইল। সব সময়ে যদি আপনাকে এক রকম লাগে তাহলে তো সেটা খুবই খারাপ। কিন্তু যদি আপনি চুলে নানা রকম স্টাইল করেন তাহলে তা আপনার লুকে আনবে অন্য মাত্রা। আর আপনি হয়ে উঠবেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
কিন্তু সমস্যা হল চুলে স্টাইল করতে গেলেই মনে হয় আমরা যেন যতটা ভালো শাড়ির সঙ্গে বা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে স্টাইল করতে পারে, ততটা কুর্তি বা সালোয়ারের সঙ্গে করা যায় না। কিন্তু এই ধারণা ভুল। তাই আজ আমরা আপনাদের জানাবো কয়েকটি পারফেক্ট হেয়ার স্টাইল যা আপনারা কুর্তির সঙ্গে অনায়াসে করতে পারেন।
১. স্ট্রেইট পনিটেইল
যদি আপনার হাতে সময় কম থাকে তাহলে আপনি সহজেই এই স্টাইলটি করতে পারেন। চুল শুকিয়ে টেনে পিছনে নিয়ে একটু উঁচু করে একটা পনিটেইল করুন। এটা একটা ফর্মাল লুক দেবে। আর এটা খুব ভালো মানাবে কুর্তির সঙ্গে।
২. পনিটেইল উইথ কার্ল
আপনার চুল স্ট্রেইট নয়? খানিক কোঁকড়ানো? আর তাই আপনি চিন্তায় যে আপনার চুলে আপনি কী স্টাইল করবেন? এই নিয়ে চিন্তা করার কিচ্ছু নেই। আপনি এই হেয়ার স্টাইলটি করে দেখতেই পারেন। আপনি আপনার কার্লি চুলকেই সুন্দর করে পিছনে নিয়ে গিয়ে শক্ত করে একটা পনিটেইল করুন। দেখবেন এতে আপনাকে দেখতে একদম অন্য রকম লাগবে।
এই ধরণের হেয়ার স্টাইল আপনার কুর্তি বা সালোয়ারের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো যাবে। একটা পাঞ্জাবি মেয়েদের এফেক্টও আপনি আনতে পারেন এই ধরণের চুলের স্টাইল করে। কিছুই না, প্রথমে চুল দু দিকে ভাঁজ করে নিন। এবার এক দিকের সঙ্গে আরেক দিকের বিনুনি করে নিন। এবার এই বিনুনি আপনি আপনার কাঁধের এক দিকে ফেলে রাখুন। দেখবেন আপনার স্টাইল দেখে সবাই প্রশংসা করবেই।
৪. মেসি হাফ আপ হাফ ডাউন
আপনার বয়স যদি বেড়ে গিয়ে থাকে আর আপনি ভাবেন যে আপনি কোনই চুলের স্টাইল করতে পারবেন না তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আপনি অনায়াসেই এই হেয়ার স্টাইলটি বেছে নিতে পারেন। প্রথমে আপনার চুলের থেকে দুটো বিনুনি বের করে নিন।
তারপর এই বিনুনি দুটো মাথার মাঝখানে এনে একে অন্যের সঙ্গে ক্রিসক্রস করে বাঁধুন আর বাকি চুলটা নিচে ফেলে রাখুন। দেখবেন এতে একটা সুন্দর লুক আসবে। যদি আপনার কার্লি চুল হয় তাহলে এই স্টাইলটা আরও ভালো হবে।
৫. গ্লসি হেয়ার বান
যদি আপনাকে আনারকলি ড্রেস পড়তে হয় আর আপনি লং কুর্তি পরেন তাহলে আপনার জন্য এই স্টাইলটি একদম পারফেক্ট। মাথার পিছনে যেখানে খোপা করেন তার থেকে খানিক উপরে খোপা বাঁধুন। আগে দুটি বিনুনি করে নিয়ে সেটা একে অন্যের সঙ্গে টুইস্ট করুন। এবার সেই টুইস্ট করা অংশ খোপা করে নিন। দেখবেন এতে আপনাকে দেখতে বেশ এলিগেন্ট লাগছে।
৬. সাইট বেসড হেয়ার স্টাইল
এটাও কিন্তু বেশ অন্য রকম একটা লুক দেবে। মাথার মাঝ খানে সিঁথি না করে খানিক ডান দিক ঘেঁষে করুন। তারপর সামনের দিকের চুল খানিক টেনে আঁচড়ে নিন। এবার পিছন দিকের চুল খানিক ফাঁপিয়ে নিয়ে সেট করে নিন। কুর্তির সঙ্গে কিন্তু এতে আপনাকে অসাধারণ লাগবে।
৭. ফ্রন্ট পাফ হেয়ার স্টাইল
এই স্টাইল আজকের দিনে ফ্যাশনে বেশ ইন। এটা খুবই সহজে করা যায়। তাই আপনি যদি অন্য রকম লুক চান তাহলে ফ্রন্ট পাফ ট্রাই করে দেখতে পারেন। কপালের মাঝখান থেকে বেশ কিছুটা চুল পিছনের দিকে নিন। প্রথমে টানটান করে পিছনে নিয়ে গিয়ে এবার খানিক আলগা করে দিন আর পিন দিয়ে ভালো করে বেঁধে নিন। হয়ে গেল আপনার হেয়ার স্টাইল।
৮. ফ্রি হেয়ার স্টাইল
কোনও আলাদা স্টাইল করতে চাইছেন না। সময় নেই হাতে। জাস্ট চুল ভালো করে আঁচড়ে নিয়ে মাঝখানে সিঁথি করুন। এবার চুলগুলোকে খানিক এলোমেলো করে নিন। দেখবেন এর ফলেও একটা অন্য রকম সুন্দর স্টাইল ফুটে উঠবে। এটা আপনি কুর্তির সঙ্গে ট্রাই করতে পারেন।
৯. মেসি হেয়ার
এটাও একটা অত্যন্ত সুন্দর স্টাইল। প্রথমে আপনার কপাল থেকে মাঝের কিছু চুল টেনে পিছনে ক্লিপ করে নিন। তারপর দু দিকের চুল পিছনে টেনে পনিটেইল করে নিন। এবার ওই পনিটেইলের বাকি গোছাটা নিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে নিন আর তারপর পিছন দিকে নিয়ে গিয়ে খোপা করে নিন। খোপা পিন দিয়ে সেট করে নিন। আর চারদিকের চুল খানিক ফাঁপিয়ে নিন যাতে ভলিউম বেশি লাগে। কুর্তির সঙ্গে এটি খুব সুন্দর লাগবে।
১০. ডিভাইডেড সিল্ক হেয়ার
কুর্তির সঙ্গে এটি খুব ভালো যায়। শাড়ির সাথেও দারুন লাগে দেখতে। জাস্ট চুল মাঝে সিঁথি করে দু দিকে ভালো করে আঁচড়ে নিয়ে ছেড়ে দিন। স্ট্রেট আর লম্বা চুল হলে এতে আপনার লুক আরও ভালো খুলবে। আর লং কুর্তির সঙ্গে তো এটি বেশ স্মার্ট লাগবে।
মন্তব্য করুন