চুল ওঠার সমস্যা কিন্তু সবচেয়ে পুরনো আর সবচেয়ে অস্বস্তিকর সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। আর আপনি যতই কিছু ব্যবহার করুন না কেন, এই সমস্যা এতো সহজে যাওয়ার নয়। আর এই সমস্যা তখনই খুব বেশি করে প্রকট হয় যখন দেখি যে চুল যে হারে পড়ছে, সেই হারে চুল গজাচ্ছে না। আর তার ফলেই মাথা জুড়ে তৈরি হয় বড় বড় ফাঁকা জায়গা, যাকে বলে টাক।
অনেক চিকিৎসা আছে এই টাকের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, কিন্তু তা তো অনেক সময়ের ব্যাপার। আর তাই সহজ উপায় আছে তার বদলে, এই হেয়ার লস কন্সিলার ব্যবহার করা। এতে আপনার যে মাথায় টাক আছে সেটা বোঝাই যাবে না। আমরা এটি ব্যবহার করেছি। এখানে আমাদের নিজস্ব ছবি আমরা ব্যবহার করেছি। যাতে আপনারা এর দারুন রেজাল্ট দেখতে পারেন। তাই আসুন দেখে নিই এই হেয়ার লস কন্সিলার ব্যবহার করা হয় কীভাবে।
কেন হেয়ার লস কন্সিলার
আগেই বলেছি, চুল পড়া কোনও সমস্যা নয়। সমস্যা হল, যখন চুল পড়ছে তখন তা কত পরিমাণে পড়ছে সেটা দেখা আর দেখার যে নতুন চুল গজাচ্ছে কি না। যদি নতুন চুল না গজায় তাহলে কিন্তু মাথা জুড়ে হয়ে যাবে টাক। গবেষণায় দেখা গেছে, মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মাথায় টাক বেশি করে হয়। আর এর জন্য ভাল চিকিৎসাও আছে, যেমন হেয়ার প্ল্যানটেশন। কিন্তু সেই সবের জন্য তো খরচ প্রচুর। আর সময়ও লাগবে অনেক দিন।
নীচের ভিডিওতে আমরা অ্যাপ্লাই করে দেখিয়েছি এটি কিভাবে লাগাতে হয় আর ঠিক কেমন রেজাল্ট পাওয়া যায় 🙂
তার বদলে সহজ উপায় আপনার সামনে আছে, হেয়ার লস কন্সিলার ব্যবহার করা। আর যেহেতু আজকের দিনে হেয়ার লস কন্সিলার ব্যবহার খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তাই প্রতিযোগিতার জন্য দামও অনেক কম রেখেছে এই ব্র্যান্ডগুলো। তাই অনেক দিক থেকেই হেয়ার লস কন্সিলার ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত।
কীভাবে কাজ করে হেয়ার লস কন্সিলার
হেয়ার লস কন্সিলার আপনাকে বিকল্প চুলের সন্ধান দেবে। মূলত যে কোনও ভালো কোম্পানির হেয়ার লস কনসিলার কেরাটিন প্রোটিনের সাহায্যে তৈরি হয়। আর কেরাটিন প্রোটিন মূলত আমাদের চুলেরও প্রধান উপাদান। আপনি যখনই এই হেয়ার লস কনসিলার, যা মূলত ফাইবার, তা চুলে ব্যবহার করবেন, সেই ফাইবার তখন আপনার যে চুল মাথায় বর্তমান রয়েছে, তার চারদিকে বসে যাবে। ফলে আপনার মাথার ফাঁকা অংশ আর ফাঁকা দেখাবে না। মনে হবে অনেক চুল আছে সেখানে। আর এভাবেই আপনার টাক ভরে যাবে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন হেয়ার লস কন্সিলার
একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এই হেয়ার লস কন্সিলার ব্যবহার করতে হবে।
ক. প্রথমে মাথা ভালো করে ধুয়ে চুল শুকিয়ে নিন।
খ. এবার হেয়ার লস কন্সিলার ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। মাথার যে জায়গায় চুল কম, সেখানে উপর দিয়ে দিয়ে দিন। তারপর হাত দিয়ে খানিক থুপে থুপে সেট করে নিন।
গ. এবার ওই কন্সিলারের উপর দিয়ে লক-ইন স্প্রে ব্যবহার করুন। এতে কন্সিলার অনেক ক্ষণ থাকে।
কোন কন্সিলার ব্যবহার করবেন
দেখুন বাজারে তো অনেক কন্সিলার আছে। আর প্রতিযোগিতা ধরে রাখার জন্য সব কনসিলারেরই দাম বেশ কম। তাই আজ আমরা আপনাদের বলব বেস্ট হেয়ার লস কনসিলারের কথা, সেটা হল লুকস ২১ হেয়ার লস কন্সিলার।
লুকস ২১ হেয়ার লস কন্সিলার | Looks21 Hair Loss Concealer
Price: Rs. 1,200/-
Offer: 50%
Offer Price: Rs. 599/-
কেন এটি ভালো?
ক. এটা চুলে খুব সুন্দর ভলিউম তৈরি করে। বোঝাই যাবে না যে চুল নেই আপনার আর আপনি উপর দিয়ে ফাইবার ব্যবহার করেছেন।
খ. ঘাম হোক, কি বৃষ্টি, বা খুব জোরে বাতাস দিক, আপনার চুল কিন্তু, বলা ভালো এই কনসিলারের ফাইবার কিন্তু উড়ে যাবে না।
গ. শ্যাম্পু করার সঙ্গে সঙ্গেই এটা উঠে যাবে। অর্থাৎ অনাবশ্যক আপনাকে এটি সমস্যায় ফেলবে না।
ঘ. এটি অনেক রকম রঙের হয়। আপনার চুলের যে শেড সেই শেড দেখে তার সঙ্গে ম্যাচ করে সেরকম কন্সিলার ব্যবহার করুন।
লুকস ২১ লক-ইন স্প্রে | Looks21 Lock in Spray
লুকস ২১ হেয়ার লস কন্সিলার এর সঙ্গেই আপনি ব্যবহার করবেন লুকস ২১ লক-ইন স্প্রে।
এই স্প্রে ফাইবারগুলোকে চুলের সঙ্গে আটকে রাখবে। তাই এটাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি যেমন একদিকে চুল ইউ.ভি রশ্মি থেকে রক্ষা করবে, তেমনই ঝকঝকে রাখবে, হাইড্রেটেড রাখবে। আর চুল থেকে খুব সুন্দর একটা গন্ধ বেরোবে। অ্যামাজনে কম দামে পেয়েও যাবেন।
Price: Rs. 599/-
মন্তব্য করুন