গান শুনতে আমরা সবাই কমবেশি ভালোবাসি। এখন বাড়িতে বসে রেডিওতে গান শোনার পরিবর্তে নিজের নিজের হেডফোনেই গান শুনতে বেশি ভালোবাসি। ট্রেনে,বাসে,গাড়িতে,রাস্তায় সব জায়গায় হেডফোনটা কানে না থাকলে যেন ভালোই লাগেনা। গান তো শুনছেন বেশ আনন্দে কিন্তু জানেন কি এই সাময়িক আনন্দের জন্য আপনার হতে পারে এমন কিছু কঠিন রোগ যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন। তাই সাবধান।
হেডফোন একদম না
শুনতে সমস্যা
আজকাল যেকোনো জায়গায় সে অফিস হোক বা বাড়ি। প্রিয় হেডফোনটি কিন্তু নিয়ে যেতে ভুলি না। কিন্তু যদি আপনি বেশীক্ষণ এই গান খুব জোরে শোনেন তাহলে আপনার শোনার সমস্যা শুরু হতে পারে। কারন ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ আমাদের কান নিতে পারেনা। আর আপনি যদি এর থেকে অনেক বেশি জোরে ১০ মিনিটও গান শোনেন তাহলে শোনার সমস্যা তো হতে বাধ্য।আপনি চিরকালের জন্য বধির হয়েও যেতে পারেন।তাই আস্তে শুনুন গান হেডফোনে।
কানের ইনফেকশন
বন্ধুদের সঙ্গে যেতে যেতে হেডফোন ভাগ করছেন? একই সঙ্গে দুজন শুনছেন বেশ মজা তো লাগছে কিন্তু জানেন এর থেকে আপনার কানে হতে পারে ইনফেকশন। অন্য কারোর শরীরের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই আপনার শরীরে প্রবেশ করে কানের ছিদ্র দিয়ে।অন্যের শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া যা আপনার শরীরে ছিলনা তা আপনার শরীরে প্রবেশ করে যেতে পারে এই হেডফোনের মাধ্যমে। কিন্তু তা আমরা বুঝতে পারিনা। এর ফলে আস্তে আস্তে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পরে এবং শরীরকে ধীরে ধীরে দুর্বল করতে থাকে। এটি এতই ধীরে ধীরে হয় যে আমরা তা বুঝে উঠতে পারি না।
বাতাস চলাচলে বাঁধা
বর্তমানে হেডফোন কোম্পানিগুলো গান যাতে শুনতে ভাললাগে তার ওপর নজর দেয়। কিন্তু যখন আপনি হেডফোন লাগান আপনার কানের ছিদ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।যার ফলে বাতাস চলাচল করতে পারেনা। বেশিক্ষণ এই ভাবে থাকলে কানে অতিমাত্রায় ইনফেকশন এবং শোনার সমস্যা হতে পারে। এর ফলেই মাঝে মাঝে কানে ফোঁড়ার মত সমস্যা দেখা যায়।
কানে অকারন ব্যাথা
মাঝে মাঝেই কানে ব্যাথা করে? সেই ব্যাথা সহজে কমেনা? এর কারন হল হেডফোন। এছাড়াও কানে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়? হেডফোনের অতিরিক্ত গমগম শব্দের জন্য এটা হয়। এছাড়াও মস্তিষ্কের জন্যও এতি মারাত্মক ক্ষতিকারক। কারন কান সরাসরি মস্তিষ্কের সাঙ্গে যুক্ত। কানের ক্ষতি হলে মস্তিষ্কেরও ক্ষতি হয়। হেডফোন ভীষণ বাজে ভাবে মস্তিষ্ককে আঘাত করে।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা
বিভিন্ন স্টাডি থেকে দেখা গেছে বর্তমানে ট্রেনে, বাসে, গাড়িতে দুর্ঘটনা অনেকটাই হয় হেডফোনের জন্য। কেউ কেউ হেডফোনে গান শুনতে শুনতে এতটাই বিভোর হয়ে যান যে কোনো খেয়ালই থাকেনা। এর ফলে তারা গাড়ির হর্ন শুনতে পাননা। এমনকি অনেক সময় দূর থেকে যে গাড়ি আসছে সেটিও তারা খেয়াল করেন না।গান শুনতে শুনতেই রেল লাইন পার হন তার ফলে তাদের জীবনে মিনিটের মধ্যে আসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।সাময়িক এই ভালো লাগার জন্য জীবন ও চলে যায়।
কি ভাবছেন গান ছাড়া থাকবেন কিভাবে? চিন্তার কোনো কারন নেই। গান ছাড়তে হবেনা কিন্তু হেডফোন এ গান শুনতে শুনতে কিছু সাবধানতা মেনে চললেই এই সব বিপদ খুব সহজেই কমানো যায় যেমন-খুব জোরে গান না শোনা।অনেকক্ষণ ধরে একটানা হেডফোন কানে না লাগিয়ে মাঝে মাঝে হেডফোনটি খুলে আবার কানে লাগানো এতে বাতাস চলাচল করতে পারে।কারোর সঙ্গে হেডফোন ভাগ করবেন না। একাই শুনবেন এতে কানে ইনফেকশন হবে না। আর যদি শুনতেই হয় তাহলে স্পীকার অন করে গান শুনুন সাবাই মিলে।
তাই গান শুনুন কিন্তু সাবধানে এবং আস্তে আস্তে। তাতে আপনার জীবন বাঁচবে এবং আপনি ভালো থাকবেন।
https://dusbus.com/bn/stan-cancer-har-keno-bere-choleche/
মন্তব্য করুন