চুল পড়া বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব থাকলে, হরমোনের পরিবর্তনে, শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলির জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন।
উপরন্তু, আবহাওয়ার পরিবর্তন চুলের উপর প্রভাব ফেলে। যার জন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। আবহাওয়া পরিবর্তন হলে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। মাথার স্ক্যাপ্লে খুশকি দেখা যায়।
গরমকালে চুল ঘামে ভিজে গিয়ে দুর্বল হয়ে যায় ফলে চুল পড়া শুরু হয়। ঘাম থেকে চুল ওঠার আরও কারন রয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ঘামের ফলে চুল পড়া
গ্রীষ্মকালে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘাম শরীরের কোন অংশে থাকলে, ত্বকে চুলকানি এবং র্যাশের মত সমস্যা দেখা যায়। একইভাবে, ঘাম চুলে জমে গিয়ে চুলের গোঁড়া থেকে তা দুর্বল করে তোলে ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নানা রকমের র্যাশও দেখা দেয়। ফলে চুল ঝরে যায় বেশি পরিমানে।
শরীর থেকে ঘাম নির্গত হওয়ার সময় ল্যাকটিক অ্যাসিড বের হয় অধিক মাত্রায়। যা মাথার স্ক্যাল্পকে সঙ্কুচিত করে দেয়। ফলে চুলে সঠিক মাত্রায় পুষ্টির যোগান না হওয়ার ফলে চুল গোঁড়া থেকে দুর্বল হয়ে যায়। ফলস্বরূপ চুল ঝরতে থাকে।
গরমকালে রোদের থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই মাথা ঢেকে বাইরে যান। ফলে ঘাম অনেক্ষন ধরে জমে থাকে যা ফাঙ্গাল ইনফেকসানের কারন হয়ে দাড়ায়। বাতাসের ধুলো বালি ও ঘাম মিশে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা চুল পড়ার আরেকটি বড় কারন।
এই সময় কি কি করনীয়
- এই সময় চুলের যথেষ্ট পরিমান কেয়ার নেওয়া অবশ্যই উচিত। তা নিলে চুল পড়ার মাত্রা কমবে ও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
- স্ক্যাল্পকে পরিষ্কার রাখুন সব সময়। তারজন্য শ্যাম্পুর আগে ভালো করে তেল মালিশ করে তবেই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
- চেষ্টা করুন মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করার।
- মাসে একবার করে অবশ্যই হেয়ার স্পা করবেন এই সময়।
- আর সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখবেন যে মাথায় অর্থাৎ চুলে ঘাম যেন না জমে।
- চুল ঘামে ভিজে গেলে তা শুকিয়ে নেবেন জলদি। আর মাথা পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি।
- বাইরে থেকে এলে আগে ফ্যান চালিয়ে চুল শুকিয়ে নিয়ে তবেই ভালো ভাবে শ্যাম্পু করুন।
- আপনি যদি ঠিক ভাবে চুলের যত্ন নেন তাহলে কোন অবস্থাতেই চুলের ক্ষতি হবে না।
মন্তব্য করুন