সামনেই বিয়ের মরশুম, আর বিয়ের মরশুম মানেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়া। তবে নিমন্ত্রণ রক্ষা করার পাশাপাশি আপনি যদি বিবাহযোগ্য ছেলের মা হন তাহলে একটা চিন্তা নিশ্চয় আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়, তা হল কবে আপনি নিজের ঘরে ছেলের বউ নিয়ে আসবেন।
কারণ প্রত্যেক বাবা-মা-ই চান যে তাঁদের সন্তান সুখে-শান্তিতে ঘর-সংসার করুক। তবে ওই যে একটা কথা আছে,- জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-তিন বিধাতা নিয়ে। তাই বলা হয় যে বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনে কার সঙ্গে কে বাঁধা পড়বে তা ঈশ্বর আগে থেকে ঠিক করে রাখেন। কিন্তু অনেক সময়ে এমন হয় যে, অনেক চেষ্টা করেও ছেলের বিয়ে দিতে পারছেন না। মানে সব কথা এগিয়েও শেষ মুহূর্তে এসে বিয়ে ভেঙে যায়। বা অনেক সময়ে এমনও হয় যে ছেলের বিয়েতে অকারণেই কাল বিলম্ব হচ্ছে। তবে এর জন্য মন খারাপ করে বসে না থেকে মেনে চলুন জ্যোতিষশাস্ত্রের এই কয়েকটি অমুল্য টোটকা।
১) সোমবার দান করুন
বিবাহযোগ্য ছেলের বিয়ে দিতে সোমবারে এই দানের নীতিটা খুবই কার্যকর। কী করবেন? প্রত্যেক সোমাবর আপনার ছেলেকে ২০০ গ্রাম মুসুর ডাল দান করুন। সেইসঙ্গে এক থেকে দেড় লিটার দুধ এবং মুসুর ডাল দান করুন কোনও গরীব-দুঃখীকে। এই নিয়মটা মেনে চলুন যতদিন না আপনার ছেলের বিয়ে পাকা করে ফেলছেন।
২) হনুমানজির পুজো করুন
এমনিতে গৃহে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে বজরঙ্গবলীর পুজো করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে আপনার ভাইয়ের বিয়েতে যদি সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে মঙ্গলবার করে তাকে হনুমানজির পুজো করার পরামর্শ দিন। এই পুজোর আচার হিসাবে হনুমানজির পায়ে লাগানো সিঁদুর ভগবান শ্রীরাম এবং সীতা মাতার চরণে উৎসর্গ করার পরামর্শ দিন আপনার ভাইকে। প্রতি মঙ্গলবার করে এই নীতি পালন করলে আপনার ভাইয়ের জন্য সুখবর আসার অপেক্ষা কেবল কয়েকদিনের।
৩) সূর্যদেবকে জল দান
প্রতিদিন সূর্য প্রণাম করা সুস্বাস্থ্য এবং সংসারে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করার জন্য খুবই উপকারি। তবে সূর্যদেব শুধু এই ধরিত্রীকে আলো দান করেন না, সেইসঙ্গে বিবাহযোগ্য ছেলের বিয়ের খবরও পাকা করে। এর জন্য সকালে সূর্যোদয়ের সময়ে সূর্যদেবকে জল দান করুন। আর সেই সঙ্গে ‘ওঁ সূর্যায় নমহ’-এই মন্ত্র উচ্চারণ করুন। আপনার ছেলের বিয়ের কথা কাকতালীয়ভাবেই পাকা হয়ে যেতে পারে।
৪) মঙ্গলকে তুষ্ট করতে হবে
জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে, কিছু কিছু যুবকের রাশিফলে মঙ্গলের উপস্থিতির কারণে দাম্পত্য জীবনে বিলম্ব ঘটতে পারে। যদি আপনার ছেলের সঙ্গেও এই একই জিনিস হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ছেলেকে একটি রুপোর পাত সঙ্গে রাখতে বলুন। এইভাবে যতদিন না বিয়ে হয়, অর্থাৎ বিয়ের আগে পর্যন্ত এই রুপোর পাতটি আপনার সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে বলুন। এতে করে মঙ্গল তার ওপর সদয় হবে।
৫)গুড়ের সাধারণ প্রতিকার
অনেক সময়ে বহু জাতকের বিয়ের ক্ষেত্রে সূর্যের বাধা প্রকট হয়ে ওঠে। যার ফলে বিয়েতে বিলম্ব ঘটে। সেক্ষেত্রে এই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে গুড়। কী করবেন? আপনি যখন আপনার ছেলের বিয়ে নিয়ে কথা বলতে যাবেন, তখন তাঁকে একটু গুড় আর জল খাওয়ান। এইভাবে আপনার ছেলের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আপনার ছেলেকে এইভাবে গুড় আর জল খাইয়ে যান। বিয়ের কথা শীঘ্রই পাকা হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন