আপনি কি মাসে একবার বা দুবার খান,বা মাসে একবার বা দুবার স্নান করেন!!নিশ্চয়ই প্রশ্ন শুনে চমকে গিয়েছেন।আসলে আমি বলতে চাই সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে যেমন আমরা প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খাই,সেরকমই চুলের যত্ন আমরা প্রতিদিন নেব না কেন?মাসে একবার বা দু’বার হেয়ার প্যাক বা হেয়ার অয়েল বা একবার করে হেয়ার স্পা করলেই কিন্তু হবে না।চুলের যত্ন নিতে হবে প্রতিদিন।তাহলেই আপনার চুল থাকবে ঘন,কালো,মজবুত এবং জেল্লাদার।তাই প্রতিদিনের চুলের যত্নের রুটিনটি ঠিক কেমন হবে তা চটপট পড়ে ফেলুন আজকে।প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে আমরা ঠিকমত চুলের যত্ন নিতে ভুলে যাই অথচ চুল ঝরে গেলে বা রুক্ষ হয়ে গেলে তখন আমাদের বোধোদয় হয়।এবার থেকে তাই সকাল থেকে রাত অবধি রুটিন মাফিক চুলের যত্ন নিন।তবে এর জন্য আপনাকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না।মাত্র ৫টি বিষয় মেনে চলুন তাহলেই হবে।
১.ঘুম থেকে উঠে চুল আঁচড়ে নিন
সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল আঁচড়ানো খুব জরুরি।আমরা যতই চুল বেঁধে ঘুমোই না কেন,ঘুম থেকে ওঠার পর তাতে অল্প বিস্তর জট হয়েই যায়।তাই সকালে উঠে চুল খুলে ভালো করে চুল আঁচড়ে নিন।এতে রাত ভর আপনার চুলের গোড়ায় যে প্রাকৃতিক তেল নির্গত হয় তা আপনার চুলে ছড়িয়ে যায়,যা আপনার চুলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।অন্তত ৫-১০ মিনিট নিজের চুল কে প্যাম্পার করুন।
২.চুল ধুয়ে নিন
চুল নিয়মিত ভালো করে না ধুলে কিন্তু খুব বিপদ।চুলের ধরণ অনুযায়ী তা আলাদা হওয়া প্রয়োজন।যাদের নর্মাল চুল তারা একদিন পরপর চুল ধুতে পারেন।যাদের তৈলাক্ত চুল তারা প্রতিদিন চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন।যাদের রুক্ষ চুল তারা দু’দিন পরে একবার করে চুল ধুলে ভালো।রুক্ষ চুল যাদের তাদের চুলকে নমনীয় করে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।আবার যাদের তেলতেলে চুল তাদের অয়েল ক্লিয়ার শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো।আর নর্মাল চুল হলে যে কোনো ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।শ্যাম্পু ভালো করে মাথায় সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করা উচিত।এছাড়া কন্ডিশনার ব্যবহার করাও উচিত। বাজার চলতি অনেক শ্যাম্পুর মধ্যে এই তিনটির যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন। নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন।
৩.ভেজা চুলের যত্ন
স্নান করার পর নরম তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে নিতে হবে।তবে চেপে চেপে মুছতে হবে।কখনই তোয়ালে দিয়ে চুল জোরে জোরে ঘষে মোছা উচিত নয়।ভেজা চুল নরম থাকে,তাই ঘষলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এক্ষেত্রে চুলে তোয়ালে পেচিয়ে রাখুন।এতে আপনার মাথার অতিরিক্ত জল তোয়ালে শুষে নেবে।একটু শুকিয়ে গেলে তবেই চুল আঁচড়ে নেবেন।
৪.হেয়ার প্রোডাক্ট
প্রতিদিন কাজে বেরোনোর সময় বা বাড়িতে থাকলে চুল বাঁধাটা কিন্তু একটা বড় কাজ।কখনই ভেজা চুল বাধা উচিত নয়।খুব বেশি তাড়া থাকলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন,কিন্তু অকারণে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো।এতে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।কোনো অনুষ্ঠান থাকলে হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করতেই পারেন,কিন্তু এগুলি নিয়মিত ব্যবহার করা একেবারেই ভালো নয়।
৫.রাতে চুলের যত্ন নিন
রাতে কিন্তু চুলের যত্ন নেওয়া খুব প্রয়োজন।একদিন বা দু’দিন পরপর একবার করে রাতে ভালো করে মাথায় অয়েল ম্যাসাজ করা খুব জরুরি।এতে চুল পুষ্টি পায় এবং চুল মজবুত হয়।তেল মাখুন বা না মাখুন,রাতে কিন্তু আরেকবার ৫-১০ মিনিট ধরে চুল আঁচড়ে নিয়ে চুল বেঁধে শুলে চুল ভালো থাকে।
আপনার চুলের যত্ন কিন্তু প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি নেওয়া খুব জরুরি।এতে চুল ভালো থাকে এবং চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য যে সব হেয়ার প্যাক বা হেয়ার মাস্কগুলি আপনি ব্যবহার করেন সেগুলি ভালো করে কাজে দেয়।যে ৫টি টিপস আজ আলোচনা করা হলো সেগুলি মেনে চললে কিন্তু আপনার চুলের অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব।তাই আজ থেকেই আপনার ডেইলি রুটিনে চুলের যত্নের এই ৫টি টিপসও যোগ করে নিন।
মন্তব্য করুন