চুল সৌন্দর্যের প্রতীক।মাথাভর্তি ঝলমলে কালো চুল কে না চায়? চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত পরিচর্যা করা প্রয়োজন। যথাযথ পরিচর্যা না করলে চুল পড়ে যেতে পারে। ধূলো-বালি,দূষণ,অপুষ্টি ইত্যাদি নানা কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হতে পারে। স্বাস্থ্যোজ্জল সুন্দর চুলের যত্নে নিয়মিত তেল ব্যবহার করা জরুরী।
১. নারকেল তেলের সাথে আদা
নারকেল তেল ভিটামিন ই-এর ভলো একটি উৎস। এর সাথে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করলে এর কার্যকারিতা বেড়ে যেতে পারে বহু গুণ। এমনই একটি উপাদান হলো আদা। চুল পড়া প্রতিরোধে আদা অব্যর্থভাবে কাজ করে। আদার কার্যকরী উপাদান মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
উপকরণ
১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল।
পদ্ধতি
আদা বেটে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি একটি বাটিতে নিয়ে এর সাথে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। নারকেল তেল এর পরিবর্তে অলিভ অয়েল বা জোজোবা অয়েলও ব্যবহার করা যেতে পারে।
মাথার মাঝখানে সিথিঁ কেটে চুলগুলো দুই ভাগ করে নিন। এখন প্রতিটি ভাগে আলাদা আলাদা ভাবে আঙুল দিয়ে বিলি কেটে মাথার তালুতে তেল লাগিয়ে নিন। মাথার সম্পূর্ণ অংশে তেল লাগানো হয়ে গেলে আঙুল দিয়ে চুলের গোড়ায় ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। এভাবে ৫-১০ মিনিট ম্যাসাজ চালিয়ে যান। তেল ব্যবহারের অন্তত ৩০-৩৫ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল হযে ওঠে আরও ঘন,মজবুত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
২. লেবুর রসের সাথে আদার ব্যবহার
উপকরণ
১/২ চা চামচ লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ আদা কুচি, ৩ টেবিল চামচ তিলের তেল।
পদ্ধতি
সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এবার মিশ্রণটি একটি বাটিতে ঢেলে নিন। মাথার তালুতে এবং চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। মিশ্রণটি লাগানোর জন্য ব্রাশও ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করুন।
লেবু এবং আদার রসের মিশ্রণ মাথার ত্বকের পি.এইচ.-এর ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে চুল বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
৩. আদার পেস্ট-এর ব্যবহার
উপকরণ
২ টেবিল চামচ আদা কুচি, পরিমাণ মতো পানি।
পদ্ধতি
আদা কুচি কুচি করে কেটে নিন। এর সাথে অল্প পানি যোগ করে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। লক্ষ্য রাখতে হবে মিশ্রণটি যেন খুব বেশী পাতলা না হয়ে যায়। এজন্য একবারে পানি না দিয়ে অল্প অল্প করে কয়েক ধাপে পানি মেশাতে হবে। তাহলে একটি সুন্দর থকথকে মিশ্রণ তৈরি হবে। একটি পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে নিন। আঙুল অথবা ব্রাশ ব্যবহার করে তালুতে লাগিয়ে ৪০-৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আদা ব্যবহারের সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায়। চুল পড়া প্রতিরোধের জন্য সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করুন।
আদার পুষ্টি উপাদান দ্রুত চুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৪. আদা এবং পেঁয়াজের রসের ব্যবহার
পেঁয়াজে আছে সালফার যা নতুন গজাতে সাহায্য করে।
উপকরণ
আদা কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ টি মাঝারি আকারের।
পদ্ধতি
আদা এবং পেঁয়াজ কুচি এক সাথে নিয়ে রস বের করুন। তুলো গোল করে বল বানিয়ে নিন। এবার বলটি ভিজিয়ে মাথার তালুতে চেপে চেপে দিন। পুরো মাথায় এভাবে ব্যবহার করুন । ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে এবার আদার ব্যবহার করুন, আর আপনার চুল পড়ার সমাধান করুন খুব সহজেই!
মন্তব্য করুন