গরমকালে কম বেশি ব্রণর সমস্যায় আমরা সকলেই ভুগি। যাদের তেলতেল স্কিন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আমাদের ত্বক পরিষ্কার করতে আর ব্রণ দূর করতে নিম কীভাবে আমাদের সাহায্য করে তা আজকে জেনে নিন। নীচে নিম পাতার ফেস প্যাক বানানোর উপায় বলা হল। বিশেষ করে ৪ নম্বর প্যাকটি অবশ্যই ট্রাই করবেন।
১. নিমপাতা আর কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদের উপকারিতা নিয়ে আর আলাদা করে কিই বা বলার আছে। দাশবাসের সৌজন্যে আপনারা এতোদিনে জেনে গেছেন কাঁচা হলুদ আমাদের জন্য কত্ত উপকারী। তাহলে নিমপাতার সঙ্গেও ব্যবহার করুন না হয় কাঁচা হলুদ।
উপকরণ
৭-৮ টা নিমপাতা বাটা, ২ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, পরিমাণ মতো দুধ।
পদ্ধতি
আগে নিমপাতা আর কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে নিন। জল দেওয়ার দরকার নেই। দুধ দিয়ে মেশান। এই মিশ্রণ এবার মুখে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো। ব্রণ হওয়া জায়গায় একটু বেশী করে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন করুন। তাহলেই হবে।
২. নিম আর বেসনের প্যাক
শুধু মুখ পরিষ্কার কেন, মুখে আলাদা ঔজ্জ্বল্য দিতেও যে বেসন খুবই কার্যকরী তা তো আপনারা জানেনই। নিমের সঙ্গে এবার তাহলে বেসন নিয়ে নিন।
উপকরণ
বেসন ৪ চামচ, নিমপাতা ৫-৬ টা।
পদ্ধতি
নিমপাতা আগে একটু কুঁচিয়ে নিন। চাইলে পেস্টও করে নিতে পারেন। এবার এর সঙ্গে বেসন মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিয়ে এবার মুখ ঘষুন কয়েক মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা জলে। দেখবেন একটা ইন্সট্যান্ট গ্লো পাচ্ছেন।
৩. নিম, মধু আর গোলাপজল
নিম আর মধু মুখ পরিষ্কার করবে আর সঙ্গে গোলাপজল মুখকে টোন করবে।
উপকরণ
৬-৭ টা নিমপাতার পেস্ট, ৩ চামচ মধু, ৪ চামচ গোলাপজল।
পদ্ধতি
নিমপাতা আগে পেস্ট করে নিন। এর সঙ্গে এবার মেশান মধু আর গোলাপজল। এই মিশ্রণ মুখে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো। তারপর ঘষে তোলার দরকার নেই। এমনি ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুদিন করতে পারেন। এটা কিন্তু ব্রণর জন্যও বেশ কার্যকর।
৪. নিমপাতা ও চন্দন গুঁড়ো
যেখানে নিমপাতা মুখ পরিষ্কার করে ভেতর থেকে, সেখানে চন্দন আমাদের ব্রণকে ভেতর থেকে সারিয়ে তোলে। তাই এই দুটি উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করলে আপনার গ্ল্যামার যে এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য।
উপকরণ
১০-১২ টা নিমপাতা পেস্ট করা, ২ চামচ চন্দন গুঁড়ো।
পদ্ধতি
প্রথমে নিমপাতা পেস্ট করে নিন। এবার এতে চন্দন গুড়ো মেশান। একটা ঘন মিশ্রণ বানান। এই মিশ্রণ এবার মুখে মাখিয়ে রাখুন ২০ মিনিট মতো। তারপর অল্প গরম জল দিয়ে আস্তে আস্তে হাল্কা হাতে ঘষে তুলে ফেলুন। পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে তিন দিন মতো করুন।
মন্তব্য করুন