করোনার সময়ে এখন পার্লারে যাওয়াও হচ্ছে না, ওদিকে আবার বিয়েবাড়ি, একটু ফেসিয়াল না করলে চলে? তাহলে কি করবেন? চিন্তা কি আমরা তো আছি আপনার সমস্যার সমাধানে। বাড়ি বসেই করে নিতে পারবেন ফেসিয়াল সহজেই। ভাবছেন ফেসিয়াল মানেই অনেক কিছু লাগবে অনেক পদ্ধতি। কিছুই না সহজ কিছু ঘরোয়া উপাদান দিয়েই হয়ে যাবে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এতে ত্বকের যেমন ক্ষতি হবে না তেমনই কাজও হবে ভেতর থেকে। তাহলে মন দিয়ে দেখে নিন কীভাবে করবেন।
ফেসিয়াল নম্বর ১ঃ
এই ফেসিয়ালের জন্য প্রথমেই একটা মাঝারি টম্যাটো সরিয়ে রাখুন। কারণ পুরো ফেসিয়ালেই টম্যাটো লাগবে। এই ফেসিয়াল যেমন স্কিনে গ্লো আনবে ভেতর থেকে, তেমনই কোন দাগ ছোপ থাকলেও উঠে যাবে। টম্যাটোর আছে ব্লিচিং ক্ষমতা। স্কিন টোন লাইট করবে, ট্যান থাকলে উঠে যাবে। স্টেপ বাই স্টেপ কীভাবে করবেন দেখুন।
ক্লিনজিংঃ
ফেসিয়াল শুরুর আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এটাই হল এর প্রথম ধাপ। নোংরা মুখে ফেসিয়াল করলে কোন লাভই হয়না। এরজন্য আপনার রোজের ফেসওয়াশ দিয়েও কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। নাহলে বানিয়ে নিতে পারেন প্রাকৃতিক ক্লিনজার।
উপকরণঃ
- একটা অর্ধেক টম্যাটো।
পদ্ধতিঃ
একটা অর্ধেক টম্যাটো নিয়ে মুখে হালকা ভাবে ঘষতে থাকুন। পুরো মুখে ২ মিনিট মত ঘষতে থাকুন। চাইলে গলাতেও ঘষতে পারেন। এইভাবে ঘষে ঘষে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন।
স্টিমঃ
প্রাথমিকভাবে মুখ পরিষ্কার করে নেবার পর একটু স্টিম দিয়ে নিতে পারলে খুব ভালো। এতে বন্ধ থাকা রোমকূপ গুলি খুলে যায়। এবং রোমকূপের ভেতর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।
উপকরণঃ
- একটু গরমজল
পদ্ধতিঃ
বাড়িতে স্টিমার থাকলে ভালো নাহলে একটি পাত্রে জল ফোটান। জল ফুটতে শুরু করলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এবার ওই গরমভাপ নিন ১০ – ১৫ সেকেন্ড। একটু দূর থেকে নেবেন যাতে খুব বেশি তাপ না লাগে। এমনভাবে নেবেন যাতে আরাম লাগে।
স্ক্রাবঃ
বন্ধ থাকা রোমকূপ গুলি খুলে গেছে, এবার ভেতর থেকে স্কিনকে পরিষ্কার করার পালা। স্ক্রাবিং করলে স্কিনের ভেতরে জমে থাকা ময়লাও পরিষ্কার হয়ে যায়। এরজন্য –
উপকরণঃ
- ১ চামচ টম্যাটো পেস্ট বা জুস
- হাফ চামচ ব্রাউন সুগার। ( ব্রাউন সুগার না থাকলে সাদা চিনিও ব্যবহার করতে পারেন)
পদ্ধতিঃ
ভালো করে দুটো উপকরণ মিশিয়ে নিন। চিনির দানা যখন গলে একদম ছোট ছোট হয়ে যাবে তখন এটা রেডি। তারপর এটা মুখে অ্যাপ্লাই করুণ। ২ – ৩ মিনিট হালকা হাতে ম্যাসাজ করুণ। তারপর মুখ ধুয়ে নিন।
ম্যাসাজঃ
স্ক্রাবিং করে মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নেবার পর, ম্যাসাজ দিলে খুব উপকার পাওয়া যায়। এতে রক্তসঞ্চালন উন্নত হয় তার ফলে স্কিনের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। এরজন্য –
উপকরণঃ
- ২ চামচ টম্যাটোর রস
- ১চামচ চালের গুঁড়ো
- ১চামচ দই
পদ্ধতিঃ
ভালো করে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। তারপর মিনিট ১০ মত মুখে ভালো করে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে থাকুন। চাপ দেবেন না। তারপর মুখ ধুয়ে নিন।
ফেসপ্যাকঃ
ম্যাসাজ করার পর এবার স্কিনকে পুষ্টি দেবার পালা। রান্নাঘরের এই উপাদান গুলি দিয়ে তৈরি প্যাকে কোন ক্ষতি তো হবেই না বরং আপনার স্কিন পাবে খাঁটি যত্ন। এরজন্য –
উপকরণঃ
- ১চামচ টম্যাটো পেস্ট
- ১চামচ বেসন বা মুলতানি মাটি
- এক চিমটে হলুদ (যদি খুব ভালো মানের হয় তাহলেই মুখে দেবেন নাহলে বাটা হলুদ)
পদ্ধতিঃ
সব উপকরণগুলি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মুখ পরিষ্কার করে নিন।
ফেসিয়াল ২
বাড়ির খুব সহজ একটি উপকরণ আলু দিয়ে কীভাবে ফেসিয়াল করবেন সেটা বলব। আলু কিন্তু স্কিনের জন্য ভীষণ উপকারী এটা কি জানেন? এই ফেসিয়াল যেমন মুখের কালো ভাব দূর করবে। দাগছোপ উঠে যাবে। স্কিনে আসবে একটা সুন্দর হেলদি গ্লো।
ক্লিনজিংঃ
ফেসিয়াল শুরু করার আগে একটা বড় আলু নিয়ে গ্রেট করে নিন। এবার এই গ্রেট করা আলু একটু থেঁতো করে নিন। একটা পরিষ্কার সুতির কাপড়ে মুড়ে রস বার করে নিন। বেশ অনেকটা মত রস বেরোবে যেটা পুরো ফেসিয়ালে লাগবে। প্রথমেই ক্লিনজিং, এরজন্য –
উপকরণঃ
- ১চামচ আলুর রস
- ১ চামচ কাঁচা দুধ
পদ্ধতিঃ
তুলোয় করে নিয়ে গোটা মুখে গলায় অ্যাপ্লাই করে পরিষ্কার করে নিন। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তারপর ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন।
স্টিমঃ
একইরকম ভাবে ওপরে বলে দেওয়া পদ্ধতিতে স্টিম নিয়ে নিন ১০ – ১৫ সেকেন্ড।
স্ক্রাবঃ
স্টিম নেবার পর আমরা করবো স্ক্রাব। এরজন্য –
উপকরণঃ
- ১ চামচ চালের গুঁড়ো
- ১ চামচ আলুর রস
পদ্ধতিঃ
ভালো করে সব মিশিয়ে মুখে গলায় লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে মিনিট পাঁচেক ম্যাসাজ করে নিন। তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন।
ম্যাসাজ ক্রিমঃ
এর পরের স্টেপ হল ম্যাসাজ। এটা একটা দারুণ প্রাকৃতিক ফেসিয়াল ম্যাসাজ ক্রিম। পার্লারের ম্যাসাজ ক্রিমে নানারকম উপাদান থাকে যেগুলি স্কিনের জন্য অনেকসময় ভালো হয়না। এটা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুণ। এরজন্য –
উপকরণঃ
- ১ চামচ আলুর রস
- হাফ চামচ অ্যালোভেরা জেল
- হাফ চামচ গ্লিসারিন
পদ্ধতিঃ
স্কিন যদি অয়েলি হয় তাহলে গ্লিসারিন নেবার দরকার নেই। ড্রাই হলে গ্লিসারিন খুব ভালো কাজ করবে। সব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে। ১০ মিনিট মুখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুণ। তারপর মুখ পরিষ্কার করে নিন।
টোনারঃ
এরপর এই ফেসিয়ালের পরের স্টেপ হল টোনার। চিন্তার কিছু নেই বাজার থেকে টোনার কিনতে হবে না। বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন। কীভাবে দেখুন –
উপকরণঃ
- ৪চামচ আলুর রস
- ১চামচ অ্যালোভেরা জেল
- হাফ চামচ লেবুর রস
পদ্ধতিঃ
সব মিশিয়ে এটা একটা স্প্রে বোতলে ভরে নিন। মুখে স্প্রে করুণ। শুকিয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করুণ। এটা আপনি ফ্রিজে রেখে এক সপ্তাহ অবধি ব্যবহার করতে পারেন। শুধু একদিনের জন্য হলে উপাদান গুলি অল্প নিয়ে তৈরি করুণ।
ফেসপ্যাকঃ
এরপর তৈরি করে নিন ফেসপ্যাক। এরজন্য –
উপকরণঃ
- ১চামচ চন্দনের গুঁড়ো
- ২চামচ আলুর রস
- হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো।
পদ্ধতিঃ
চন্দন গুঁড়ো না থাকলে মুলতানি মাটি বা বেসনও দিতে পারেন। ভালো করে সব মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট রেখে দিন। ১০ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করে নিন।
ফেসিয়াল ৩
ট্যান পড়ে গেছে মুখ কালো হয়ে গেছে? তাহলে এই ফেসিয়াল থেকে উপকার পাবেন। ফেসিয়াল শেষ হলেই একটা ইনস্ট্যান্ট গ্লো লক্ষ্য করতে পারবেন। প্রথমেই তৈরি করে নিন ক্লিনজার।
ক্লিনজিংঃ
বাড়িতে বানিয়ে নিন প্রাকৃতিক ক্লিনজার। এটা দারুণভাবে পরিষ্কার করবে। বেসন যেমন ভেতর থেকে টক পরিষ্কার করে তেমনই টম্যাটো স্কিনে গ্লো আনে। এরজন্য –
উপকরণঃ
- ১চামচ বেসন
- ১চামচ মত টম্যাটো রস
পদ্ধতিঃ
একটি পাত্রে বেসন নিয়ে নিন। একটি টম্যাটো হাফ নিয়ে গ্রেটারে একটু গ্রেট করে নিন তাহলেই রস পেয়ে যাবেন। ভালো করে সবটা মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ, গলায় লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে করতে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ৪ – ৫ মিনিট এভাবে করে মুখ ধুয়ে নিন।
স্টিমঃ
এবার পরের ধাপ হল স্টিম। একটু গরম ভাপ নিয়ে নিন ১০ – ১৫ সেকেন্ড। ওপরে দেওয়া পদ্ধতিতে একইভাবে করে নিন।
স্ক্রাবারঃ
স্ক্রাবিং এর জন্য নিয়ে নিন –
উপকরণঃ
- ১.৫ চামচ চালের গুঁড়ো
- ২চামচ কাঁচা দুধ
- কয়েক ফোঁটা লেবুর রস
পদ্ধতিঃ
ভালো করে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। এটা লাগিয়ে মুখে গলায় হালকা হাতে ম্যাসাজ করুণ। ৪ – ৫ মিনিট। তারপর পরিষ্কার করে নিন।
ফেসপ্যাকঃ
ত্বকের কালো ভাব দূর করতে এটা দারুণ উপকারী একটা প্যাক। তাই মুখের সাথে গলায় কিংবা হাতের কনুই এর অংশেও লাগিয়ে নিতে পারেন একটু। যেখানে কালো ভাব আছে সেখানে লাগিয়ে নিতে পারেন। ফেসপ্যাকের জন্য নিয়ে নিন –
উপকরণঃ
- ২চামচ মত আলুর রস
- ১চামচ আটা
- ১চামচ দই
- আবার একটু টম্যাটো রস বা পাল্প
পদ্ধতিঃ
ভালো করে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। তারপর এটা মুখে সহ গলায় লাগিয়ে নিন। এটা হালকা হাতে একটু ম্যাসাজ করে রেখে দিন ১০ – ১৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
ফেসিয়াল ৪
এই ফেসিয়াল যেমন স্কিনে উজ্জ্বলতা আনবে। তেমনই স্কিনে কোন সমস্যা থাকলে ভেতর থেকে তার সমাধান করতেও সাহায্য করবে।
ক্লিনজিংঃ
দুধ একদিকে যেমন স্কিন পরিষ্কার করবে। অন্যদিকে দিকে লেবু থেকে স্কিন পাবে ভিটামিন সি এর পুষ্টি।
উপকরণঃ
- ১ চামচ কাঁচা দুধ
- ১চামচ ফ্রেশ লেবুর রস
পদ্ধতিঃ
ভালো করে সব উপকরণ গুলো মিশিয়ে নিন। এবার তুলোয় করে নিয়ে এই মিশ্রণ পুরো মুখে, গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। তারপর হালকা হাতে ২ – ৩ মিনিট ম্যাসাজ করুণ। তারপর মুখ ধুয়ে নিন এবং মুছে নিন।
স্টিম
একইভাবে স্টিম নিয়ে নিন।
স্ক্রাবারঃ
এবার পালা স্কিনকে আরও ভালো ভাবে ভেতর থেকে পরিষ্কার করার। এরজন্য –
উপকরণঃ
- ১ চামচ চালের গুঁড়ো
- মধু ১ চামচ
- গোলাপজল ১ চামচ
পদ্ধতিঃ
সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মুখে চাইলে গলায় লাগিয়ে নিন। তারপর হালকা হাতে ম্যাসাজ করুণ। ৩ – ৫ মিনিট। এরপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে মুখ মুছে নিন।
ম্যাসাজ ক্রিমঃ
এটাও খুব ভালো একটা প্রাকৃতিক ম্যাসাজ ক্রিম। ম্যাসাজ করে ধোবার পরই পার্থক্য বুঝতে পারবেন, দেখবেন স্কিন কেমন চকচক করছে।
উপকরণঃ
- ১চামচ দই
- হাফ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা।
পদ্ধতিঃ
উপকরণ গুলি ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ভালো করে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুণ ৫ থেকে ১০ মিনিট। তারপর মুখ ধুয়ে মুছে নিন।
ফেস প্যাকঃ
এটাও খুব ভালো একটা ফেসপ্যাক। ফেসিয়াল ছাড়াও এমনিও মাঝে মধ্যে এটা করতে পারেন। স্কিন ভালো থাকবে উজ্জ্বল হবে। এরজন্য –
উপকরণঃ
- একটা অর্ধেক পাকা কলা
- ১ চামচ মধু
পদ্ধতিঃ
যদি স্কিন খুব ড্রাই হয় তাহলে কয়েক ফোঁটা অলিভ তেলও মিশিয়ে নিতে পারেন। এই প্যাক লাগিয়ে অপেক্ষা করুণ ১৫ – ২০ মিনিট। তারপর মুখ পরিষ্কার করে নিন।
ফেসিয়াল ৫
এই ফেসিয়াল স্কিনকে সবদিক থেকে ভালো রাখবে। উজ্জ্বল রাখবে।
ক্লিনজিংঃ
এই স্কিনজার স্কিন পরিষ্কার করার পাশাপাশি স্কিনকে ব্রাইট করতেও সাহায্য করবে। এরজন্য নিয়ে নিন –
উপকরণঃ
- ১ চামচ টম্যাটো পেস্ট
- ১চামচ কাঁচা দুধ
- হাফ চামচ লেবুর রস
- ১চামচ চালের গুঁড়ো
পদ্ধতিঃ
সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটা মুখে চাইলে গলাতেও লাগিয়ে নিতে পারেন। লাগিয়ে তারপর হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ঠিক যেভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার সময় করেন। হালকা হাতে ১মিনিট মত ম্যাসাজ করে আরও ২ মিনিট এটা রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মুখ দেখবেন কেমন পরিষ্কার লাগছে।
স্টিমঃ
একইভাবে স্টিম নিয়ে নিন। বাড়িতে জল গরম করে করলে সেখানে ১চামচ গ্রীন টি এর পাতা দিয়ে দিতে পারেন আরও ভালো ফল পেতে।
স্ক্রাব
এবার পালা মুখকে ভেতর থেকে এক্সফলিয়েট করার। এরজন্য নিয়ে নিন –
উপকরণঃ
- ১ চামচ কফির গুঁড়ো
- হাফ চামচ চিনি
- ১০ ফোঁটা অলিভ তেল
- একটু গরম জল
পদ্ধতিঃ
কফি, চিনি ও অলিভ তেল মিশিয়ে নিন। গরমজল দিয়ে সব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এটা মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুণ। ৩ থেকে ৪ মিনিট হালকা হাতে ম্যাসাজ করুণ। তারপর হালকা গরমজলে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
ফেসপ্যাক
বাড়িতে ওটস অনেকেই খান সেটাকেই স্কিন সুন্দর করার কাজে লাগিয়ে নিন। এরজন্য –
উপকরণঃ
- ২ চামচ ওটস
- ১ চামচ মধু
পদ্ধতিঃ
ওটস একটু গুঁড়ো করে নিন। এবার এই গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে নিন। তারপর ভালো করে পুরো মুখে অ্যাপ্লাই করে মিনিট ১৫ রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা জলে।
টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিংঃ
শেষ ধাপ হল এটা। যেকোনো ফেসিয়াল শেষ হবার পর টোনার, ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন। স্টিম নেবার কারণে যে রোমকূপ গুলি খুলে গিয়েছিল সেগুলি বন্ধ করবে টোনার। এরজন্যই এর পরের ধাপ টোনার ব্যবহার করা। অনেকেই বাড়িতে টোনার ব্যবহার করেন। সেটা দিয়েও কাজ চালাতে পারেন। ওপরে একটি টোনার বলা আছে। এছাড়াও বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন। এরজন্য –
উপকরণঃ
- গ্রীন টি এর লিকার ৩ – ৪ চামচ
- অ্যালোভেরা জেল হাফ চামচ
- কয়েক ফোঁটা অলিভ তেল
- একটু তুলো
পদ্ধতিঃ
গ্রীন টি এর লিকারের সাথে অ্যালোভেরা জেল ও কয়েক ফোঁটা অলিভ তেল মিশিয়ে নিন। ভালো করে সব মিশিয়ে তুলো দিয়ে মুখে লাগান। তুলো না থাকলে হাতে করেই করুণ। ভালো করে মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে ৫ থেকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুণ। তারপর কিচ্ছুক্ষণ এটা মুখে রেখে দিন। দেখবেন স্কিন সব টেনে নিয়েছে। এটা একদিকে যেমন টোনারের কাজ করবে অন্যদিকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজও করবে। এছাড়াও ঘরোয়া টোনার হিসাবে শসার রসও ব্যবহার করতে পারেন।
টোনার লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে একটু ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এই ফেসিয়াল গুলো প্রতিটাই খুব উপকারী। সপ্তাহে একদিন করে করুণ তারপর স্কিনের পরিবর্তনটা আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
মন্তব্য করুন