দেখতে দেখতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলে এলো। মাধ্যমিক পরীক্ষায় কীভাবে ভূগোলে খুব ভালো নম্বর তুলতে হবে তার জন্য তো ‘দাশবাস’ টিপস আগে দিয়েছি। কিন্তু এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভূগোলে কীভাবে খুব ভালো নম্বর তুলতে হবে সেটাই বলে দেব আজ। দেখো, ভূগোল একটা স্কোরিং সাবজেক্ট। তাই উচ্চমাধ্যমিকে যদি খুব ভালো নম্বর তুলতে চাও, তাহলে ভূগোলে কিন্তু খুব ভালো নম্বর তোলা জরুরী।
১. নম্বর বিভাজন জানো
ভূগোলে লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে ৭০ নম্বরের। বাকি ৩০ নম্বর স্কুলের প্রোজেক্টে থাকবে। সুতরাং সেটা স্কুলের দায়িত্ব। তোমাকেই এখানে প্রোজেক্ট সুন্দর করে তৈরি করে নম্বর তুলতে হবে। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার জন্য ৭০ নম্বর কীভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে সেটা জেনে নাও। মোট দুটো পর্বে ভাগ করা হয়েছে ৭০ নম্বরকে। ‘ক’ বিভাগে রয়েছে ৭ নম্বরের প্রশ্ন মোট ৫ টা। আর ‘খ’ বিভাগে রয়েছে ১ নম্বরের প্রশ্ন। মোট ৩৫ টা প্রশ্ন থাকবে সেখানেও। তাই বুঝতেই পারছো নম্বর তোলা কিন্তু খুবই সোজা।
➡ নার্সিং নিয়ে এইচ.এস এর পর পড়ার সন্ধান।
২. সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের আলাদা খাতা করো
ছোট প্রশ্ন ঠিকভাবে উত্তর করলে যে পুরো নম্বরটা পাওয়া যায় এটা তো বুঝতেই পারছো। তাই সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর আলাদা করে লিখে রাখো একটা খাতায় আর সেটা প্রথমে রোজ আর তারপর সপ্তাহে দু’বার বা তিনবার করে পড়। দেখবে এতে সংক্ষিপ্ত উত্তর খুব ভালো করে তৈরি হচ্ছে। আর সংক্ষিপ্ত উত্তর করতে গিয়ে তোমার বইটা আরেকবার পড়াও হয়ে যাচ্ছে।
৩. টেস্ট পেপার সল্ভ করো
যত প্র্যাক্টিস করবে তত তোমার লেখা ভালো হবে। তাই টেস্ট পেপার ধরে সল্ভ করতে থাকো। আর আগের বারের প্রশ্নটা অবশ্যই দেখো ভালো করে। নির্দিষ্ট একটা সময় বের করো টেস্ট পেপার সল্ভের জন্য।
৪. ঘড়ি ধরে উত্তর লেখো
পরীক্ষায় সময় তো নির্দিষ্ট। আর তার মধ্যেই তোমায় সব উত্তর লিখতে হবে। দেখো এটা কোনো কাজের কথা নয় যে কিছু প্রশ্ন খুব সুন্দর করে লিখলাম অনেকক্ষণ ধরে, আর বাকি প্রশ্ন কম সময়ে শেষ করলাম। তাই টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব দরকার। সেইজন্যই বাড়িতে ঘড়ি ধরে উত্তর লেখো।
৫. উত্তরের মান বাড়াও
উত্তরের মান বাড়াতে হবে। তারজন্য তোমায় একটু অন্য কিছু করতে হবে। মানে ধর ৭ নম্বরের ক্ষেত্রে তোমায় ছবি আঁকতে না বললেও ছবি আঁকার চেষ্টা করবে। তাছাড়া ধর কোনো পরিসংখ্যান দিলে তোমার মনে হয় উত্তরটা আরও ভালো হবে। তখন তাহলে দিও সেই পরিসংখ্যান। এতে তোমার উত্তর অন্যদের থেকে আলাদা হবে। বা ধর মানচিত্র একে বোঝালে। সবই তোমার নম্বরের পারদ বাড়াবে।
৬. সঠিক প্রশ্ন বাছো
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কোন উত্তর তুমি খুব সুন্দর করে লিখতে পারবে সেটা বেছে নাও। তোমার সময় ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট। প্রথম ১৫ মিনিট তুমি প্রশ্নপত্র পড় আর দেখো কোনটা লিখবে। চিহ্নিত কর সেগুলো। তারপর উত্তর লেখো। লিখতে লিখতে ভেবো না, এতে সময় নষ্ট হয়।
৭. সাজেশন একদম নয়
সাজেশন পড়লে বিষয়টার গভীরে তো গেলে না। কিন্তু সেটা না হলে ভালো নম্বর তোলা যায় না। তাই সব খুব খুঁটিয়ে পড়। ভালো ভালো বই পড়। দেখবে নম্বর এমনিতেই উঠবে। আর ভূগোল নিয়ে পরবর্তীকালে পড়লে কেরিয়ারের সুযোগ অনেক বেশী। তাই ভালো করে পড়।
তাহলে আজ জেনে গেলে উচ্চমাধ্যমিকে ভূগোলে কীভাবে লেটার মার্কস পাবে। এবার শুধু তোমার পরিশ্রম করার পালা। তারপর সাফল্য তোমায় ধরা দেবেই।
মন্তব্য করুন