আচ্ছা বন্ধুরা, কলকাতা তো অনেক কিছুই প্রথম উপহার দিয়েছে আমাদের বলুন।সেটা প্রথম ইউনিভার্সিটি হোক, কি প্রথম মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু প্রথম ভাসমান বাজার! আজ্ঞে হ্যা, ভাসমান বাজার শুনে চমকে উঠবেন না।সিনেমায় দেখা বিদেশের ফ্লোটিং মার্কেটের স্বপ্ন এবার সত্যি হতে চলেছে বন্ধুরা।এবার আপনিও সুন্দর করে সাজানো নৌকার থেকে বাজার করতে পারবেন।কী! শুনে খানিক লোভ লাগছে না ব্যাপারটা কী সেটা জানার? আসুন তাহলে হাতে গরম টপ নিউজ আজ রইল আপনাদের জন্য।
কোথায় এই ভাসমান বাজার
কলকাতার খুবই জনবহুল আর যোগাযোগের জন্য সুবিধাজনক একটা জায়গাতেই হয়েছে এই অভিনব আয়োজন।বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলিতে এই ভাসমান বাজার তৈরি হয়েছে, একদম ই.এম.বাইপাশের কাছে।কলকাটা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (K.M.D.A) এই বাজার নির্মাণের আর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন।এই বাজার আগে ছিল পাটুলি ভি.আই.পি মার্কেট হিসাবে।সেখান থেকে সবজি বিক্রেতাদের সরিয়ে এখানে স্থান দেওয়া হয়।আপনারা এখন ভাবতেই পারেন যে হঠাৎ কেন জলের মধ্যে নৌকায় বাজার নিয়ে বসা হবে! আসলে মূলতঃ থাইল্যান্ড, ব্যাঙ্কক এই জায়গাতে এই ভাসমান বাজার অনেকদিন ধরেই চলে আসছে।বাংলাদেশেও একটা ভাসমান পেয়ারা বাজার আছে।কিন্তু মূলতঃ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী থাইল্যান্ড থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই মার্কেটের আয়োজন করেন।আমরা একে মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতাকে লন্ডন বানানোর পরিকল্পনার এক সুন্দর সংযোজন বলতে পারি।
কেমন এই বাজার
মোট ১১৪ টি নৌকায় ২৮০ মতো দোকান আছে।একটা নৌকা দুজনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে, মানে একটা নৌকায় দুটো দোকান বসতে পারে।যে কোনো সবজি, মাছ সবই এখানে পাওয়া যায়।আর জলের ওপর দিয়ে কাঠের পাটাতন করে দেওয়া আছে।তাই ক্রেতাদের যেতে কোনো সমস্যাই হবে না।বাজারটা মূলতঃ চারটে ভাগে বিভক্ত।সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই বাজার খোলা আর এখানে ঢুকতে কোনো টাকা লাগে না। সাধারণ বাজারের মতোই এই বাজার।আর এই বাজার তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছে মোটামুটি ১০ কোটি মতো।
গুরুত্ব কী এর?
এই বাজার উদ্বোধন করেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ২৫ তারিখ।তারপরই খুলে দেওয়া হয়। এইটা আমাদের দেশের একটা অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে।পর্যটন শিল্পে সাহায্য করতে পারে।তাছাড়া এই বাজারেই একটা মেশিন আছে যা বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে জলে মেশায়।তাই জলে থাকা প্রাণীদের অসুবিধা হবে না।তাছাড়াও এমনিতেও কলকাতায় স্থানের যা অভাব, তাতে জলে বাজার খুবই উপযোগী চিন্তা।আর যে কোনো নতুন জিনিসই আনন্দের সঙ্গে নেওয়া উচিৎ।
তাহলে এবার বাইপাশ দিয়ে যাওয়ার মাঝে টুক করে এই বাজার ঘুরে নিন আর জমিয়ে কেনাকাটা করুন।নতুন বছরের শুরুতেই এক নতুন অভিজ্ঞতা হবে কিন্তু।
মন্তব্য করুন