কথায় বলে ভোজনরসিক বাঙালি।আর তা যদি হয় শীতকাল তবে নানান বাহারী খাবারের মধ্যে কড়াইশুঁটির কচুরি নামটি শুনলেই জিভে জল আসবে না এমন বঙ্গ সন্তান পাওয়া দুর্লভ।যদিও রোজকার ব্যস্ততা,ফিট থাকতে কড়া ডায়েট’এর শাসন অথবা নানান রোগ ব্যাধিতে জেরবার বাঙালি এখন এমন তেলেভাজা থেকে দূরেই থাকেন।তবে কিনা মা-ঠাকুমার হাতে বানানো কড়াইশুঁটির কচুরির কথা মনে পড়লে আজও বাঙালি নস্টালজিক না হয়ে পারে না।তাই নতুন বছরে পুরনো স্মৃতি নিয়ে রসনা মেটাতে আজকে আমরা শিখে নেব সহজ পদ্ধতিতে কড়াইশুঁটির কচুরি বানানোর উপায়।আসুন কোমর বেঁধে শুরু করা যাক।
উপকরণ
কড়াইশুঁটি ৪ কাপ,( শীতকাল ছাড়া অন্য সময়ে বানাতে হলে ফ্রোজেন কড়াইশুঁটিও ব্যবহার করতে পারেন),কাঁচা লঙ্কা ২-৩টে,আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,হিং ১ চিমটে,গোটা জিরে ২চামচ,তেজপাতা ২টি,শুকনোলঙ্কা ২টি,লবঙ্গ ৩-৪ টে,দারচিনি ১/২ ইঞ্চি,গরমমশলা গুঁড়ো ১/২ চামচ,লবণ পরিমাণমতো,ময়দা,ভাজার জন্য সাদা তেল।
পদ্ধতি
প্রথমে ময়দা ময়ান আর অল্প লবণ দিয়ে একটু মেখে নিন।তারপর হালকা গরম জল একটু একটু করে দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়ে একটি ডো বানিয়ে নিন।খেয়াল রাখবেন ডো’টি যেন বেশি শক্ত বা নরম না হয়।এবার কড়াইশুঁটি এবং কাঁচালঙ্কাগুলোকে ভালো করে ধুয়ে মিক্সিতে ফাইন পেস্ট বানিয়ে রেখে দিন।মিক্সি ব্যবহার না করতে চাইলে কড়াইশুঁটিগুলো সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে হাতে ভালো করে ম্যাশ করে নিলেই হবে।
এবার তৈরি হবে ভাজা মশলা।তার জন্য তাওয়া গরম করে তাতে জিরে, তেজপাতা,শুকনো লঙ্কা ,লবঙ্গ আর দারচিনি ভালো করে শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন।এইবার পুর বানানোর জন্য কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম হলে তাতে একে একে দিন হিং এবং আদা বাটা।ভালো করে ভাজা হলে কড়াইশুঁটির পেস্টটি ঢেলে লবণ দিয়ে ভালো করে মেশান।এরপর ভাজামশলা আর গরমমশলা দিয়ে নাড়তে থাকুন।পুর বানানোর এই ধাপটি একটু বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।রান্নায় চিনি খেলে এখানে অল্প পরিমাণ চিনি মেশাতে পারেন।গ্যাস মাঝারি আঁচে রেখে মিশ্রণটি নাড়তে হবে।জল পুরোপুরি টেনে এলে একটি বড় প্লেটে মিশ্রণটি ছড়িয়ে ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর মেখে রাখা ময়দা থেকে লেচি কেটে তাতে পরিমাণ মতো পুর ভরে তাকে হাতের চাপে গোল করে বেলতে হবে।খেয়াল রাখুন লেচির থেকে পুরের পরিমাণ যেন বেশি না হয়,তাহলে বেলতে অসুবিধে হবে।বেলনা চাকিতে বেলে লুচির মতো আকার দিন।এইবার আর একটি কড়াইয়ে বেশি পরিমাণ তেল দিন।তেল ভালো করে গরম হলে তাতে একটা একটা করে কচুরি ছেড়ে দু পিঠ ভালো করে ভেজে কিচেন তোয়ালেতে দিন যাতে অতিরিক্ত তেলটি চলে যায়।তৈরি আপনার প্রিয় কড়াইশুঁটির কচুরি।
ঠান্ডায় নতুন আলুর দমের সঙ্গে গরমাগরম কড়াইশুঁটির কচুরি পাতে পড়লে জমে যাবে আপনজনদের ব্রেকফাস্ট।
https://dusbus.com/bn/kebab-bananor-recipe-4-ti/
মন্তব্য করুন