যত্ন না নিলে মুখের চেয়ে সারা শরীর রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায় দ্রুত। তাই সপ্তাহে এই তিনটি তেলের যেকোনো একটি ব্যবহার করুন। দেখুন একমাসে আপনার স্কিনের পরিবর্তন। সারা শরীর গ্লো করতে বাধ্য। তাও ঘরে বসে বেশি খরচা না করেই।
১. আমন্ডের বডি অয়েলঃ
যা যা লাগবেঃ
- আমন্ড অয়েল – আধা কাপ
- জোজোবা অথবা রোজহিপ অয়েল – ১ কাপের আট ভাগের এক ভাগ
- ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল – ২০ ফোঁটা
- জেরানিয়াম এসেনশিয়াল অয়েল – ১০ ফোঁটা
- লেমন এসেনশিয়াল অয়েল – ১০ ফোঁটা
- ফ্রাঙ্কিনসেন্স এসেনশিয়াল অয়েল – ৫ ফোঁটা
- রোজ এসেনশিয়াল অয়েল – ২ ফোঁটা
যেভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেনঃ
কাচের বোতলে সবগুলো তেল মিশিয়ে রাখুন। গোসলের পর স্কিন সামান্য ভেজা ভেজা থাকতে এই তেল মাসাজ করুন বডিতে। এই মাল্টি-পারপাজ তেল মূলত ময়েশ্চারাইজিং ইফেক্ট এনে দেয়। বছরের যে কোন ঋতুতে প্রতিদিন এটা ব্যবহার করতে পারবেন।
উপকারিতাঃ
আমন্ড অয়েল ও জোজোবা অয়েলের সংমিশ্রণ ত্বকে পুষ্টি জোগায়। জেরানিয়াম অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং এটি টপিকাল এবং অ্যারোমাথেরাপির সুবিধাদি দেয়। এবং ল্যাভেন্ডার তেল ত্বককে রাখে ফ্রেশ এবং করে অনন্তযৌবনা।
২. ইউক্যালিপটাসের বডি অয়েলঃ
যা যা লাগবেঃ
- সুইট আমন্ড অয়েল – আধা কাপ
- জোজোবা অয়েল – ১ কাপের আট ভাগের এক ভাগ
- ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েল – ২০ ফোঁটা
- ইদাহো বালসাম ফির এসেনশিয়াল অয়েল – ৮ ফোঁটা
- লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েল – ৮ ফোঁটা
যেভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেনঃ
সব উপকরণ বোতলে মিশিয়ে রেখে দিন। সকালে গোসলের পরে এই তেল ব্যবহার করুন। এই তেল ত্বকের পাশাপাশি মনের জন্যও সমান কার্যকরী।
উপকারিতাঃ
আমন্ড এবং জোজোবা অয়েল স্কিনকে করে কোমল। ইউক্যালিপটাস অয়েল সারাদিনের জন্য এনার্জি সরবরাহ করে এবং ত্বককে সতেজ ও চনমনে রাখে। তাছাড়া ইউক্যালিপটাস তেল মাংসপেশির ব্যথা এবং রক্ত জমাট দূর করে। বালসাম ফির ও লেমনগ্রাস অয়েলের সুগন্ধ ফুরফুরে মেজাজ নিশ্চিত করে।
৩. হেম্প বা শণ বীজের বডি অয়েলঃ
যা যা লাগবেঃ
- হেম্প অয়েল – ১ কাপের আট ভাগের এক ভাগ
- সানফ্লাওয়ার অয়েল – ১ কাপের আট ভাগের এক ভাগ
- অলিভ অয়েল – ২ টেবিল চামচ
- অ্যাভোকাডো অয়েল – ১ টেবিল চামচ
- পাম্পকিন সিড অয়েল – ১ টেবিল চামচ
- পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল – ৮ ফোঁটা
- বেসিল এসেনশিয়াল অয়েল – ৫ ফোঁটা
- লেমন এসেনশিয়াল অয়েল – ৩ ফোঁটা
- রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল – ৩ ফোঁটা
যেভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেনঃ
সব তেল একসাথে ভালো করে মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে রাখুন এবং গোসলের পরে ব্যবহার করুন। হাইড্রেটিং বডি অয়েল নামে সুপরিচিত এই তেল কড়া শীতেও ত্বককে রাখবে নরম এবং কোমল।
উপকারিতাঃ
অ্যাভোকাডো তেলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ডি, ই, পটাসিয়াম, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এই তেল শুষ্ক ত্বকের বাইরের লেয়ার ভেদ করে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। হেম্প সিড অয়েলে আছে ওমেগা ৬ থেকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায়৷ ভিটামিন এ, বি, ডি, ই তে পরিপূর্ণ সানফ্লাওয়ার অয়েল ত্বকে মিশে যায় কোন রকমের ক্লগিং ছাড়াই।
মন্তব্য করুন