সৌরভ গাঙ্গুলী– আমাদের সবার প্রিয় দাদা। ক্রিকেট মাঠে ঝড় তোলা থেকে দাদাগিরির মঞ্চ, সব জায়গাতেই তিনি সমান সাবলীল। লর্ডসের মাঠে জামা খুলে ওড়ানো থেকে গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে দ্বৈরথ- এই সবই আমরা জানি। ভারতের ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন, B.C.C.I প্রেসিডেন্ট এই সবও তো আমাদের জানা। কিন্তু, জানেন কী ওনার মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত? কটা গাড়ি আছে ওনার আর কী কী ব্রেন্ডের? দেখুন ওনার যা প্রোফাইল তাতে ওনার যে আমাদের থেকে অনেক বেশি পরিমাণে সম্পত্তি থাকবে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তাও আপনারা যদি সেই পরিমাণ শোনেন তাহলে আপনাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে।
বাড়ি
সৌরভ গাঙ্গুলী মূলত দক্ষিণ কলকাতার বেহালার মানুষ। সেখানেই তাঁর পৈতৃক বসতবাড়ি যা প্রাসাদ। লাল রঙের এই বাড়ি আপনাদের মুগ্ধ ও আশ্চর্য করবে। তিনি খুবই বিখ্যাত ও ধনী পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা শ্রী চন্ডীদাস গাঙ্গুলী প্রিন্ট ব্যবসায় নিযুক্ত ছিলেন ও তার মাধ্যমে অনেক অর্থ উপার্জন করেন।
তিনি সেই সময়ে কলকাতার ধনী মানুষদের অন্যতম ছিলেন। কিন্তু, সৌরভ গাঙ্গুলী নিজে একটি বাড়ি বানান কলকাতায় ২০০৯ সাল নাগাদ যা বানাতে প্রায় ২৩ কোটি মত খরচ হয়ে যায়। ভাবুন খালি! সেই বাড়িতে ৪৮ টা ঘর আছে। অবশ্যই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সবকটা ঘরই খুব সুন্দরভাবে সাজানো ও তার মধ্যে রয়েছে অনেক বিদেশী জিনিস।
গাড়ি
একটা গাড়ির স্বপ্ন তো আমাদের সবারই থাকে, তাই না! কিন্তু, জানেন কি আমাদের মহারাজের কটা গাড়ি? জানেন না তো! শুনুন তাহলে, বত্রিশটা। আশ্চর্য হবেন না- আপনি ঠিকই শুনেছেন। কয়েকটা মডেলের নাম শুনুন। Mercedes-benz(CLA-Convertible), দাম প্রায় ৪৬.৫ লাখ। BMW( 7 Series), দাম প্রায় ১.২ কোটি। BENZ E-class, দাম প্রায় ৭০ লাখ। Mercedes Benz(ML 250 CDI), দাম প্রায় ৫০ লাখ। Audi A7’র দাম ৬৫ লাখ। এতেই অবাক হবেন না, ওনার আছে ৪টি Audi আর ২০টি মতো BENZ।
অন্যান্য
এই যে এতো কিছু দেখলেন তা এবার নিশ্চই আপনাদের জানতে ইচ্ছা করছে ওনার মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত। শুনলে আপনাদের হার্টবিট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ওনার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩,৭৭৯ কোটি। দীর্ঘদিন খেলার ফলে উনি অর্থ উপার্জন করেছেন তো বটেই। কিন্তু, তা ছাড়াও BCCI থেকে উনি পান ৫ কোটি টাকা। আর নানান ব্রেন্ডের অ্যাম্বাসাডার হিসাবে মোট পেয়ে থাকেন ২ কোটি টাকা। Athletico de Kolkata দলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
এছাড়াও উনি তৈরি করেছেন নিজস্ব রেস্টুরেন্ট ‘ Sourav’s- The Food Pavilion’।
এর থেকেও যথেষ্ঠ আয় তো হয়ই।
আমাদের মহারাজা তাই শুধু নামেই মহারাজা নন, তাঁর এই জীবনধারণের পদ্ধতিও তাকে মহারাজ বানিয়েছে। যদিও এই জীবনই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়।
আমরা দাদাগিরির মঞ্চে তিনি কীভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তার নানা পরিচয় পাই। আমাদের মহারাজের এই মহারাজোচিত জীবনই প্রাপ্য।
মিঠুন চক্রবর্তীর নবাবী জীবনের ছবি দেখে আপনার চোখ দাঁড়িয়ে যাবে
নীল তিমির (Blue Whale) হাত থেকে বাঁচাতে চলে এলো গোলাপি তিমি (Pink Whale)
মন্তব্য করুন