দাদাগিরি দেখতে নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগে? দাদার টানে যাবতীয় কাজ সেরে নিয়ম করে বসে পরা হয় টিভির সামনে। দাদাকে আমরা সবাই খুব পছন্দ করি। দাদার চলাফেরা, কথা বলা, হাসি বেশ পছন্দ করি। এবং যারা এখনো নিজের জীবন সঙ্গীটি খুঁজে উঠতে পারেননি,তারা কিন্তু মুখে না বললেও মনে মনে চাই দাদার মতই একজন জীবন সঙ্গী। কিন্তু সেটা কি সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব।
আসলে দাদার বুদ্ধি, সমস্ত পরিস্থিতিকে সুন্দর ভাবে সামলাবার ক্ষমতা এইগুলোইতো আমরা খুব পছন্দ করি। এবং চাই আমাদের জীবন সঙ্গীও দাদার মত বুদ্ধিদিপ্ত ভাবে সমস্ত পরিস্থিতিকে সুন্দর ভাবে সামলাতে পারবে। সুন্দর ভাবে কথা বলবে, বুঝদার হবে এবং আমকে আমার থেকেও বেশি বুঝবে। এই গুণ গুলোই তো খুঁজি আমরা। কারণ এগুলির অভাবেই হয়তো আজ এত সম্পর্কের টানাপোড়েন।
কিন্তু একদম পারফ্যাক্ট জীবন সঙ্গী পেতে গেলে নিজেকেও তো সেই ভাবেই তৈরি করতে হবে তাইনা। অনেকেই হয়ত আমরা নিজেকে ঠিক মত বুঝে উঠতে পারিনা। আমাদের ঠিক কি করা উচিত জীবনে তা বুঝতে পারিনা। তার ফলে জীবনে নিজেকে একদম পারফ্যাক্ট ভাবে তৈরিও করতে পারিনা। অনেক খামতি থেকে যায়। তার ফলেই একটা সময় আমরা ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকি। তাই সব থেকে আগে দরকার নিজেকে একদম পারফ্যাক্ট ভাবে গড়ে তোলা। তাই আজ দেব সেরকমই কিছু টিপস।
আমাদের অনেকের জীবনেই কিছু মানুষ থাকে যাদের ব্যক্তিত্ব আমাদের কাছে বিশেষ প্রিয় হয়ে ওঠে। আমরা কিন্তু তাদের দেখতে সুন্দর বলে তাদের অনুকরণ করতে চাইনা। তাদের ব্যক্তিত্ব আমাদের ছুঁয়ে যায়। এরমই একজন হলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তাই সবচেয়ে আগে দরকার নিজেকে সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারি করে তোলা। যাতে নিজেকে অন্যের আকাঙ্খিত করে তোলা যায়।
১.কাউকে নকল নয়
সুন্দর ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার জন্য, নিজেকে অন্যের কাছে আকাঙ্ক্ষিত করে তোলার জন্য কিন্তু কাউকে নকল করলে হবে না। বরং চেষ্টা করুন যেন সবাই আপনাকে অনুসরন করতে চায়। এমন কিছু করার চেষ্টা করুন। তবে জোড় করে কিছু করার চেষ্টা করবেন না। আপনি যেমন তেমনি থাকার চেষ্টা করুন। নিজের ওপর জোড় করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
২. নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন
প্রতিদিনই নতুন করে কিছু শেখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার কনফিডেন্স বাড়বে। কাজ করার ক্ষমতা বাড়বে। বই পরেই কিন্তু সব কিছু শেখে যায় না। জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, আমাদের সমাজের চারপাশ থেকেও শেখা যায়। এছাড়া এখনতো ইন্টারনেটের যুগে শেখা কোন সমস্যাই নয়। ইন্টারনেট দেখে নানারকম বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করুন।
৩. সন্মান করে চলুন
আপনি যে সন্মান অন্যের থেকে আশা করেন সেটি নিজেও অনুসরন করে চলুন। বড়দের, ছোটদের সকলকে সন্মান করে কথা বলুন। কাউকেই ছোট করবেন না। আপনি সবাইকে সন্মান করলে তবেই সকলে আপনাকে সন্মান করে চলবে।
৪. নিজের কাজে থাকুন
যতটা সম্ভব নিজের কাজ নিয়েই থাকুন। অন্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা বা অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে অকারন হস্তক্ষেপ করবেন না। আপনার নিজেরও বাক্তিগত জীবন আছে সেখানে কেউ হস্তক্ষেপ করলে আপনি পছন্দ করেন না। তাই আপনি নিজেও সেই কাজ তা করবেন না।
৫. নিজেকে পরিপাটি রাখুন
ভালো পোশাক বলতে কিন্তু খুব দামি পোশাক বোঝায় না। আপনি আপনার সাধ্য মত পোশাক পরুন। কিন্তু সেটা যেন পরিষ্কার পরিছন্ন হয়। নিজেকে একটু পরিপাটি করে রাখুন। কমদামী পোশাক পরেও নিজেকে পরিপাটি করে রাখা যায়। আপনার গায়ের দুর্গন্ধ অন্যরা পেলে কিন্তু ভালো ব্যক্তিত্বের অধিকারি হাওয়া যায় না।
৬. সুন্দর ভাবে কথা বলুন
সুন্দর ভাবে কথা বলার অভ্যাস করুন। সহজ সরল ভাবে কথা বলুন। সকলকে সন্মান দিয়ে গুছিয়ে কথা বললে, অন্যরাও আপনার সঙ্গে কথা বলতে আকৃষ্ট হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী কথা বলুন। নিজেকে ব্যক্তিত্ববান দেখাতে গিয়ে বেশি মুড দেখিয়ে ফেলবেন না। অহংকারী ভাবে কথা বলবেন না। তাহলে কেউ আপনার কথা পছন্দ করবে না। কাজের জেয়গায় অপ্রাসঙ্গিক বা ফালতু কথা বলবেন না। এইসব কথা আপনার ব্যক্তিত্বকে ছোট করবে।
৭. আত্মবিশ্বাস
সবকিছু মেনে চললেন কিন্তু নিজের ওপর বিশ্বাস নেই, এরম করলে কিন্তু নিজেকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে পারবেন না। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। কারণ আপনার নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকলে অন্যরাও আপনার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারবে না। আমার দ্বারা হবে না, এই চিন্তা গুলো মন থেকে সরিয়ে ফেলুন।
৮. অ্যাই কনট্যাক্ট
কথা বলার সময় অ্যাই কনট্যাক্ট মেইনটেইন করুন। যার সঙ্গে কথা বলছেন সেই দিকেই মন দিন। অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বলবেন না। যখন যে কাজ করছেন সেই কাজে মন দিন। সেই কাজটি একদম পারফেক্ট ভাবে করার চেষ্টা করুন। অন্যের ভালো কাজের প্রশংসা করুন। অন্যের ভালো কাজের কৃতিত্ব দিতে পারে সেই, যে নিজে একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ।
এছাড়াও নিজেকে একটু সময় দিন। পর্যাপ্ত ঘুমন। এতে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। আর সুস্থ মস্তিষ্কই কিন্তু সঠিক চিন্তাভাবনা ও প্রখর স্মৃতিশক্তির আঁধার। ভালো পুষ্টিকর খাবার খান। নিজের স্বাস্থ্যকেও মেইনটেইন করুন। কারণ সুন্দর স্বাস্থ্য আপনার ব্যক্তিত্বে মাত্রা যোগ করবে। এছাড়াও এই টিপস গুলি মাথায় রাখবেন। তখন সৌরভ গাঙ্গুলির মত বর পেতে আর কোন সমস্যাই হবে না।
জি বাংলার ‘আমার দুর্গা’র দুর্গা ও বাংলার দিদির মধ্যে কি করা যায় কোন তুলনা
মন্তব্য করুন