রাতকানা রোগটির হওয়ার ফলে রাতে বা কোনো অল্প আলোর জায়গাতে দেখতে অসুবিধা হয়। বেশির ভাগ সময় দেখা গিয়েছে যে চোখের রেটিনার সমস্যার ফলে এমন প্রতিবন্ধকতা জন্ম নেয়। আমরা আজ রাতকানা রোগ সম্বন্ধে একটু জেনে নেবো।

রাতকানা মানে কিন্তু এমন না যে রাতে সম্পূর্ন দৃষ্টিহীন হয়ে যাওয়া। রাতকানা রোগে আক্রান্ত হলে কম আলোয় দেখতে অসুবিধা হয়। এই রোগটি বাচ্চা থেকে বুড়ো সব বয়সের মানুষেরই হতে পারে। রাতকানা মানুষরা কিন্তু দিনের বেলায় বা আলোকিত জায়গাতে পুরো সঠিক ভাবে দেখতে পান। এমন মানুষদের শুধু মাত্র রাত্রে বা হঠাৎ যদি অনেক বেশি আলোকিত জায়গা থেকে কম আলোকিত জায়গায় যান তখন তাদের দেখতে অসুবিধা হয়।
রাতকানা রোগ কেন হয়
বংশগত। অনেক সময় দেখা গিয়েছে যে বহু বছর ধরে এই রোগটি বংশগত ভাবে হয়ে এসেছে। এই রোগটি ছোঁয়াচে না।
চোখে ছানি পড়লে
চোখে যদি ছানি পরে তাহলেও রাতকানা রোগ হতে পারে। চোখে ছানি পড়লে রাতে গাড়ি চালাতে অসুবিধা হয় তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছানির অপারেশন করে নেওয়া উচিত।
দৃষ্টিক্ষীণতা বা মাইয়োপিয়া

দৃষ্টিক্ষীণতা বা মাইয়োপিয়ার রোগের যদি চিকিৎসা না করা হয় তাহলেও কিন্তু রাতকানা রোগটি হতে পারে।
ভিটামিন এ ও জিঙ্কের অভাব
ভিটামিন এ এবং জিঙ্কের অভাব একটি বড় কারণ হতে পারে রাতকানা রোগের। ভিটামিন এ এর অভাব অপুষ্টির জন্য হতে পারে। বেশির ভাগ সময় দেখা গিয়েছে যে বাচ্চাদের অপুষ্টির থেকেই রাতকানা দানা বাঁধে।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগের ফলেও রাতকানা হওয়া সম্ভব। বহু বছর ধরে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা না করলে সেটা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির রোগের জন্ম দিতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের যদি চোখের রেটিনা সেল্স নষ্ট হয়ে যায় তাহলেই এই রোগটি হয়। এই রোগটি প্রথম উপসর্গ হল রাতে কম দেখা। এই রোগের যদি চিকিৎসা না হয় তাহলে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির সম্পূর্ন অন্ধতাও এনে দিতে পারে।
গ্লাইকোমিয়ার ওষুধ খেলে
গ্লাইকোমিয়ার রোগের ওষুধ খেলে অনেক সময় রাতকানা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
রাতকানা রোগের উপসম কি কি
রাতকানা রোগের কারণ যেমন অনেক তাই তার উপসমও অনেক। বেশির ভাগ সময় দেখা গিয়েছে যে নতুন পাওয়ারের চশমা নিলে রাতকানা বেশ অনেকটাই কমে গেছে। গ্লাইকোমিয়ার ওষুধ খাওয়ার ফলে যদি এই হয়ে থাকে তাহলে উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ পাল্টানো। চোখে ছানি পরার ফলে যদি রাতকানা হয় তাহলে চোখের ছানি অপারেশন করা অত্যন্তই জরুরি। রেটিনার ক্ষয়ের জন্য রাতকানা হলে খুব তাড়াতাড়ি পরামর্শ নেওয়া উচিত রেটিনা বিশেষজ্ঞের থেকে।
এছাড়াও উচিত ভিটামিন এ যুক্ত খাবার খাওয়া।

ভিটামিন এ এবং জিঙ্ক আমাদের চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রচন্ড ভাবে জরুরি। তাই খেয়াল রাখা দরকার যে ভিটামিন এ এবং জিঙ্কের অভাব যেন না হয় আমাদের শরীরে।
যারা রাতকানা রোগে আক্রান্ত তাদের কিন্তু রাতে গাড়ি চালানো একদমই উচিত না। স্পষ্ট দৃষ্টির অভাবে কিন্তু তারা বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন। তাদের উচিত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন করা এমন চশমা নেওয়া যা পড়লে অন্ধকারে আমাদের চোখ ঝলসাবে না। আর সবচেয়ে জরুরি হলো রাতে দেখার সময় কোনো অসুবিধা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। বহু মানুষজন নিজেরাই বুঝতে পারেন না যে তাদের এইরোগটি হয়েছে আর তাই চিকিৎসাতেও দেরি হয়ে যায়। তাই রাতকানা রোগ অনুভব হলে উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখানো।
https://dusbus.com/bn/period-bondho-hoyar-agei-bujhun-apni-pregnant-kina/

মন্তব্য করুন