খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের নাম কামিয়েছেন কৌশানী মুখার্জী। বিউটি কনটেস্ট থেকে টলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী হওয়ার মূলে তার অভিনয় ক্ষমতা যেমন আছে, তেমনই আছে তার রূপ আর ফিটনেসের মন্ত্র।
এই সব মিলেই কৌশানী মুখার্জী আজ অন্যতম নতুন সারির অভিনেত্রীদের অন্যতম। আপনারা নিশ্চয়ই জানতে চাইছেন কৌশানী কীভাবে নিজের রূপের যত্ন নেন! কীভাবেই বা তিনি ফিট থাকেন। তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনারই জন্য।
১. ভাত নয়
আমরা বাঙালিরা ভাত ছাড়া ভাবতেই পারি না। কিন্তু সাফল্য পেতে হলে কিছু তো ছাড়তেই হবে। কৌশানী সচেতন ভাবেই ভাত ছেড়েছেন। উনি সকালটা শুরু করেন ডাবের জল খেয়ে। ডাবের জল তাকে ডিটক্স করে, ফ্রেস করে। ডাবের জলে প্রচুর ভিটামিন আছে।
দিনের শুরুতেই এই ভিটামিন শরীরে গেলে সারাদিন এনার্জি থাকে অফুরান। এই ডাবের জল উনি আবার নিয়ম করে খান তখন যখন উনি অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরাতে চান। সেই সময় উনি লাঞ্চ বা ডিনার, কখনই ভাত খান না। এর সঙ্গে তো ফল, জুস, বাদাম এগুলি থাকেই নিজের স্কিন আর শরীর ভালো রাখার জন্য।
২. জলের বিকল্প নেই
আমরা বড় স্কিনে কৌশানীকে দেখেই বুঝব যে তার স্কিন অত্যন্ত নিখুঁত, দাগহীন। এটা কিন্তু শুধু কিছু অ্যাপ্লাই করে হয়নি। তিনি বিশ্বাস করেন ভিতর থেকে ভালো থাকা। আর ভিতর থেকে শরীর ভালো রাখতে, টক্সিন ফ্রি রাখতে দরকার জল খাওয়া। এতেই স্কিন ভালো থাকে। জল শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে। তাই কৌশানী নিয়ম করে জল খান অনেক। শুটিং এর ফাঁকেও তার জল খাওয়া চলতে থাকে।
৩. ফিটনেস ফ্রিক

যে কোনও অভিনেতা বা অভিনেত্রীই শরীর সম্বন্ধে সচেতন হন। কৌশানীও ঠিক তাই। জিমে উনি রোজ নিয়ম করে যান। যদি কখনও জিমে যেতে না পারেন তাহলে বাড়িতেই উনি এক্সারসাইজ করে নেন।
বাড়িতে এক্সারসাইজ করার সময়ে উনি ফ্রি হ্যান্ড যেমন করেন তেমন যোগাও করেন। পুশ আপ, সিট আপ, ক্রাঞ্চ এই ধরণের ঘাম ঝরানো ব্যায়াম উনি নিয়ম করে করেন। জিমে গেলে ওয়েট লিফটিং, কার্ডিও এই সব তো আছেই। এক্সারসাইজ করার ক্ষেত্রে দিন বা রাত গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখন সময় পাবেন আর পেট খানিক খালি থাকবে তখনই করতে পারেন।
৪. মেকআপ
মেকআপ নিয়ে কৌশানী খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা মেনে চলেন। উনি সব সময়ে নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই মেকআপ করেন। খুব বেশি উজ্জ্বল বা ফ্যাটফ্যাটে সাদা রঙ হয়ে যাবে স্কিনের সেই ধরণের মেকআপ উনি করেন না। তাই উনি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে বলেন নিজের স্কিন টোন অনুযায়ী।
লিপস্টিকের ক্ষেত্রেও উনি সেই মতই মেনে চলেন। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা উনি জানান। উনি কখনই মেকআপ নিয়ে শুতে যান না। মেকআপ উনি যত রাতই হোক না কেন, এসে তুলে নেন। আমরা অনেকেই কিন্তু এটা করি না। আর তার ফলে অনেক সমস্যা হয়। কৌশানী কিন্তু এই ক্ষেত্রে খুবই নিয়ম মানুন।
আর এই মেকআপ উনি তোলেন ভালো ক্লিনসার দিয়ে। তাই আপনারাও এটি মানুন। আর সবচেয়ে বড় কথা, কৌশানী খুব একটা মেকআপ করতে পছন্দ করে না। ক্যাসুয়াল লুক ওনার সবচেয়ে প্রিয়।
৫. বাইরে যেগুলি নিত্য সঙ্গী

কৌশানী শুটিং করতে গেলে বা বাইরে গেলে কিছু জিনিস সঙ্গে ক্যারী করেন। এগুলি ছাড়া উনি বলতে গেলে অচল। তার মধ্যে অন্যতম হল সানস্ক্রিন। এটা ছাড়া ট্যান পড়ে কৌশানী আর কৌশানী থাকবেন না। তাই উনি সানস্ক্রিন নিয়ে ঘোরেন আর এটি দিনে অনেকবার ব্যবহার করেন। উনি সঙ্গে একটি টোনারও রাখেন। মাঝে মাঝে টোনার ব্যবহার করলে ওনার স্কিন বেশ গ্লো করে আর ওনার বেশ রিফ্রেসিং ও লাগে। আপনারাও সানস্ক্রিন মেখে বাইরে যেতে একদম ভুলবেন না। পারলে সঙ্গে নিয়েও বাইরে গেলে ভালো হয়।
৬. কিছু ট্রিটমেন্ট
স্কিনের আর চুলের জন্য কৌশানী একটু মাঝে মাঝে পার্লার যেতে পছন্দ করেন। সেখানে গিয়ে কিছু বিশেষ ট্রিটমেন্ট যদি করা যায় সেটাও দেখেন। এছাড়াও চুলের জন্য অয়েলিং সপ্তাহে অন্তত দু’বার, প্রপার শ্যাম্পু করা এই সব তো উনি মেনে চলেনই। স্কিনের ক্ষেত্রে স্পা কৌশানীর কাছে খুবই রিল্যাক্সিং আর উপকারী বলে মনে হয়। আপনারাও আপনাদের পকেটের পারমিট নিয়ে মাঝে মাঝে পার্লারে যেতেই পারেন।
কৌশানীর স্কিন আর ফিটনেসের রহস্য জেনে কেমন লাগলো! দেখলেন তো, খুব দামী বা বিশেষ কিছু না, সাধারণ নিয়ম আর তার সঙ্গে কিছু ট্রিটমেন্ট, এই করেই কিন্তু কৌশানী আজ দাপিয়ে বেরাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন