ডাল-ভাতের সঙ্গে বাঙালির বিভিন্ন ধরণের বড়া খাওয়ার রেওয়াজ বহুদিনের। আধুনিক ভাষায় বললে পকোড়া, আদতে বড়া নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই বড়া দিয়ে গরম গরম ভাত খেলে আর কিছু প্রয়োজন হয় না।
পাট পাতার বড়া বানানো কিন্তু খুব সহজ। আজ আপনাদের জানাবো বাংলার চির পরিচিত পাট পাতার বড়া তৈরির রেসিপি।
উপকরণ:
- পাট পাতা
- ময়দা – ৭০ গ্রাম
- সুজি – ৩০ গ্রাম
- পোস্ত – ১ চা-চামচ
- হলুদ গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ
- লাল লঙ্কার গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ
- নুন – ৩ গ্রাম
- চিনি – ১২ গ্রাম
- সর্ষের তেল- ৫ গ্রাম
- জল – ১৩৫ গ্রাম
- সাদা তেল – ভাজার জন্য
প্রণালী:
সবার প্রথমে পাটপাতা গুলিকে ভালো করে জলে ধুয়ে নিন, যাতে কোনও পাতায় কোনও পোকা বা ময়লা না থাকে। তবে বড়া ভাজার সময়ে একটা একটা করে পাতা কখনওই নেবেন না। আসলে পাটপাতা খুবই নরম, একটা একটা করে নিলে এর গায়ে ব্যাটার ভাল করে ধরবে না। এরজন্য একসঙ্গে ৪-৫টা করে পাতা অবশ্যই নেবেন। আর পাতার আকার ছোট হলে ৫-৬টা করেও নিতে পারেন। পাতাগুলি ধুয়ে নেওয়ার পর ভালো করে শুকিয়ে জল ঝরিয়ে নিন।

এবার বড়ার ব্যাটার তৈরি করে নেওয়ার পালা। এর জন্য একটি পাত্রে একে একে সমস্ত উপকরণ যেমন- ময়দা, সুজি, পোস্ত, হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, নুন, চিনি সর্ষের তেল এবং পরিমাণমতো জল মিশিয়ে একটা না-ঘন, না-পাতলা ব্যাটার তৈরি করে নিন। ব্যাটারে যেন কোনও লাম্প বা এয়ার বাবল না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ব্যাটারটি তৈরি করার পর সেটাকে ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। সুজি দেওয়ার কারণে দেখবেন ব্যাটারটি আগের থেকে সামান্য ঘন হয়ে গিয়েছে।
এখন কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে, তাতে পাটের পাতাগুলি একসঙ্গে লম্বা সাজিয়ে ময়দার ব্যাটারে ডুবিয়ে নিয়ে তেলে ছাড়ুন। এবার মিডিয়াম আঁচে বড়াগুলি ভেজে নিন। বড়ার রঙ বাদামী হলে তুলে নিন। এবার গরম ভাতে, হিং দেওয়া বিউলির ডালের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন পাট পাটার বড়া। বড়া ঠান্ডা হয়ে গেলে কিন্তু খেতে ভালো লাগবে না।
মন্তব্য করুন