আজকাল অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা দেখা দেয় নানা কারনে। যার ফলে কম বয়সেই দেখতে বয়স্ক লাগে। মুখের লাবন্য সহজেই হারিয়ে যায়।বলিরেখা দেখা দিলে বুঝবেন আপনার শরীরে কোন রকম ভাবে কোন কিছুর ঘাটতি হচ্ছে। সে ঘুম কম হতে পারে, জল খাওয়া কম হতে পারে। অনিদ্রা, দুশ্চিন্তার ফলেও বলিরেখা দেখা দিতে পারে।
কেন এই বলিরেখা পরে
বিশ্বায়নের এই সময়কালে আমরা প্রত্যেকে কম বেশি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত। বিশেষ করে যারা কাজের জন্য দিনের অধিকাংশ সময় কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকেন তাদের নান কারনে বলিরেখা অবশ্যই দেখা দেয়।অতিরিক্ত কাজের চাপ, নানান দুশ্চিন্তা লেগেই থাকে। তাই ১৫ মিনিট অন্তর চোখে মুখে জল দিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করলে। দেখবেন চোখ ভালো থাকবে ও ত্বক সতেজ থাকবে।বলিরেখার সমস্যা দেখা যাবে না।
অনিদ্রার ফলে কম বয়সেই বলিরেখা দেখা দেয়। রাত জাগলে, ঠিক মত না ঘুমালে ত্বক তার স্বাভাবিকতা হারায়। মুখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলিরেখার ছাপ।তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা রাতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঠিকঠাক ঘুম হলে শরীর ফ্রেস দেখাবে ও বলিরেখা হওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকবে না।
সঠিক পরিমানে জল না খেলে বা শরীরের জলের ঘাটতি হলে শরীর তার সতেজতা হারায়। দেখা দেয় বলিরেখা। তাই নিয়মিত পরিমান অনুযায়ী জল খান। শরীরের পর্যাপ্ত পরিমান অনুসারে জলের যোগান দিন।
বলিরেখা দূর করতে কি কি করনীয় ঘরোয়া উপায়ে
রোজ রাতে ঘুমানোর আগে একটি তুলোতে অল্প দই ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান। সকালে উঠে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। একমাস রোজ নিয়ম করে করুন। একমাস পর অবশ্যই রেজাল্ট নিজেই দেখতে পাবেন। ডার্ক সার্কেলের থাকবে না।
আলুর পেস্ট করে তা থেকে আলুর রস বের করে নিন। এবার তা তুলো দিয়ে ত্বকে ভালো করে লাগান।শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। কাজ হবে ১০০ %। তবে নিয়মিত করতে হবে।
প্রচুর পরিমানে শাকসব্জি ও টাটকা ফল খান। বিশেষ করে টাটকা ফলের শরবত খান। শরীর ঠাণ্ডা থাকবে, জলের ঘাটতি পূরণ হবে। শরীর সুস্থ থাকবে। ফলে বলিরেখা হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।
হাফ কলার সাথে এক চা চামচ বেসন ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর মিশ্রণটি শুকনোর জন্য অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে রোজ করুন একবার করে।বলিরেখা টাটা বলবেন কিছুদিন পর । ত্বক হয়ে উঠবে লাবন্যময়।
মন্তব্য করুন