কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। কিন্তু অনেকেই ডাল-আলু সেদ্ধ-ভাতেই স্বর্গসুখ খুঁজে পান। তাঁরা গরম ভাত, ডাল আর আলু চোখার মধ্যে যে তৃপ্তি পান, তা আর অন্যকিছুতে খুঁজে পান না। তাই ডাল-ভাত প্রিয় বাঙালির জন্য আজ নিয়ে এসেছি আলু চোখা রেসিপি।
একে আপনারা শুদ্ধ ভাষায় আলু ভর্তাও বলেন। আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন আলু চোখা? এ এমন কি কঠিন ব্যপার। আসলে বাঙালি কিছু রান্না এতটাই সহজ হয় যে, তার আর আলাদা করে রেসিপির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সব উপকরণের সঠিক পরিমাণ এবং পরিমাপের জন্য স্বাদের হেরফের হতে পারে বিস্তর। তাই যেসব দম্পতি নতুন সংসার পেতেছেন এবং ব্যস্ত জীবনে রান্না-বান্না যাদের কাছে খুবই ঝক্কির বলে মনে হচ্ছে তাদের জন্য আজকের এই স্পেশাল রেসিপি আলু ভর্তা বা আলু চোখা।
আলু চোখা বানাতে লাগবেঃ
- সেদ্ধ আলু – ২৫০ গ্রাম
- পেঁয়াজ কুচি – ৫০ গ্রাম
- কাঁচা লঙ্কা কুচি – ২টি
- রসুন কুচি – ৫ গ্রাম
- শুকনো লঙ্কা – ২টি
- নুন -৪ গ্রাম
- সর্ষের তেল – পরিমাণমতো
প্রণালীঃ
আলু চোখা বানানোর জন্য সবার প্রথমে যেটা করবেন তা হল আলুটাকে ভালো করে ম্যাশ করে নিন, হাতের সাহায্যে করতে পারেন বা চাইলে কাঁটা চামচও ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিকে কড়াইয়ে ৫ গ্রাম মতো সর্ষের তেল গরম করে নিন। তার মধ্যে শুকনো লঙ্কাদুটিকে গাঢ় বাদামী করে ভেজে তুলে নিন। এবার সেই তেলের মধ্যেই দিয়ে দিন পেঁয়াজকুচিটা। মিনিট ছয়েক ভাজার পরেই দেখবেন পেঁয়াজটায় বাদামী রঙ ধরেছে।
কাঁচালঙ্কা এবং রসুনটাকে মিহি করে কুচি করে নিয়ে তেলের মধ্যে দিয়ে একসঙ্গে নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখবেন রসুনটা যেন অতিরিক্ত ভাজা না হয়ে যায়। রসুনে হালকা রঙ ধরলেই ভাজাটাকে আলুর মধ্যে দিয়ে দিন। তার মধ্যে দিয়ে দিন আগে থেকে ভেজে রাখা শুকনো লঙ্কাটা। লঙ্কাটাকে হাতের সাহায্যে ভালো করে ম্যাশ করে নিয়ে গোটা মিশ্রণটাকে ভালো করে মাখুন। এর মধ্যে দিয়ে দিন নুন। নুনের পরিমাণটা আপনার স্বাদ অনুসারে কম-বেশি করতে পারেন।
আলুটাকে ততক্ষণ পর্যন্ত মাখতে থাকুন যতক্ষণ না আলুতে কোনও দলা না থাকে। মাখাটা একদম স্মুদ হতে হবে। আড়াইশো গ্রাম আলু থেকে চার দলা আলু চোখা তৈরি করতে পারেন, যা চারজনে তৃপ্তি করে খাবে। ব্যাস তৈরি আলু চোখা। গরম ভাত, মুসুর ডাল আর আলুর চোখা দিয়ে সেরে ফেলুন নির্ভেজাল সাদা-মাটা ভুড়িভোজ।
ভালো লাগলো।কচু বাটার রৃসিপি টা দিলে ভালো হ য়।