চুলের ভলিউম বাড়াতে উদ্যোগী আমরা সবাই। কিন্তু দূষণ, নিম্নমানের কেমিক্যাল, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত জীবনধারণ ও খাদ্যাভ্যাস বয়ে নিয়ে আসে চুলের অপরিসীম ক্ষয়।ফলে চুল হয়ে যায় ন্যাতানো।
এরকম বসে যাওয়া চুল নিয়ে তো আর ইচ্ছে মতো স্টাইল পিক বা শো অফ করা যায় না। যার জন্য আত্মবিশ্বাস এর অভাব তাড়া করে বেড়ায় আপনাকে। কিন্তু এবার এই কটি উপায় মানলে নিজের চুলকে করে তুলতে পারবেন ঘন, বাউন্সি ও গ্লসি।
১. ড্রাই শ্যাম্পু:
- ড্রাই শ্যাম্পু খুবই উপযোগী চুলের ভলিউম বাড়াতে। ড্রাই শ্যাম্পু চুলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার এর পরে ব্যবহার করুন।
- এটি গোড়া থেকে বাড়তি তেল দূর করে দেয়। স্ক্যাল্প রাখে পরিচ্ছন্ন ফলে নতুন চুল জন্মানোর স্পেস পায়।
- ব্লো ড্রাই করার পর চুলে ড্রাই শ্যাম্পুর কোট করে নিন। তাহলে তা স্ক্যাল্প থেকে বেরোনো তেলের উপর ব্যারিয়ার সৃষ্টি করবে। এছাড়াও বেবি পাউডার ব্যবহার করে চুল সোজা ভাবে কম্ব করে নিতে পারেন তাতেও ভলিউম দেখাবে দ্বিগুন।
২. সিঁথির অবস্থান:
- সবদিন একই জায়গায় সিঁথি রেখে চুল আঁচড়ালে তা একঘেয়ে ও বিরক্তিকর হয়ে ওঠেই তার সাথে সিঁথির দুপাশ বেড়ে চুল ফাঁকা হয়ে বিচ্ছিরি লাগে দেখতে।
- তাই চুলের ভলিউম বাড়াতে সিঁথির পজিশন চেঞ্জ করে চুল বাঁধুন। এতে চুলের বাহারে বৈচিত্র্য আসবে সাথে চুল ও দেখাবে স্ফীত।
- আর একটা কাজ করে দেখতে পারেন। ডার্ক আই শ্যাডো নিয়ে সিঁথির কাছে ঘষে নিন তাতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া অংশ কালো দেখাবে ও চুল রয়েছে এমনই লাগবে।
৩. হট রোলার:
- চুলে কার্লি আয়রন বা ফ্ল্যাট আয়রন এর পরিবর্তে মেকআপ এর সময় চুলে হট রোলার দিয়ে রাখুন।
- এটা একদিকে যেমন চুল শুকনো রাখবে অন্যদিকে তার ঘনত্ব ও বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে রোলার দিয়ে চুলের ওয়েভের দিক নির্দিষ্ট করে নেবেন।
- তবে হলিউড গ্ল্যাম ওয়েভের থেকে ভেরোনিকা লেক এফেক্ট ব্যবহার করে দেখতে পারেন যেটার অভিমুখ মুখের দিকে থাকবে তাতে চুল অনেকটা ওজনদার লাগবে। এটার পর চুল ব্রাশ করে নিতে ভুলবেন না যেন।
৪. ডগার পরিচর্যা:
- চুল যাদের পাতলা তাদের সমস্যার মূল কারণই হলো ডগার দিকে চুল এর ফাটল ধরা।
- তাই চুলের আগা নিয়মিত ছাঁটুন। দরকার হলে আপার, লোয়ার লেয়ার, বব কাট ব্যবহার করে চুল করতে পারেন ঘন ও ফ্যাশনদুরস্ত।
- এতে চুলের আর্দ্রতা তো বজায় থাকবেই সাথে চুলের নুইয়ে পড়া ভাব হয়ে যাবে ভ্যানিশ।
৫. ব্লো- ড্রাইং এর নিয়ম:
- ব্লো ড্রাইং অবশ্যই ভলিউম বাড়ানোর একটি মোক্ষম টেকনিক। কিন্তু সেটার সঠিক প্রয়োগ অবশ্যই প্রয়োজন নাহলে তা বিপত্তি ডেকে আনতে পারে।
- আগাগোড়া চুল ফ্লিপ করুন। তারপর ড্রায়ার মিডিয়ামে রেখে সমান্তরাল বরাবর ড্রাই করুন।
- চুল উল্টে যাওয়ার সুবিধে হলো চুল গোড়া থেকে উপরে উঠে থাকে ফলে ড্রায়ার এর ব্লো স্ক্যাল্প এ লাগে ও চুল শুকোয় তাড়াতাড়ি। দেখায় ঘন ও লম্বা।
৬. ব্যাক ব্রাশিং:
- সরু দাঁতের চিরুনী দিয়ে অল্প অল্প চুলকে ভাগ করে বেছে নিয়ে আঁচড়ে নিতে পারেন। একহাতে চুলের গোছা ধরে অন্য হাতে চুলের পেছন দিক থেকে কোমল ভাবে ব্রাশ চালাতে পারেন। এতেও চুলের লকস অনেক বেশি প্রসারিত দেখাবে।
- প্রথমে চুলের একটা অংশ মাথার ক্রাউন অঞ্চলে পিন করে নিন। তারপর ডাউনওয়ার্ড মোশানে গোড়া থেকে আগা তিনবার ব্রাশ করুন। এইভাবে গোছা ধরে ধরে ব্রাশ করুন ও তিনবার রিপিট করুন।
৭. কালারিং:
- চুলে ভলিউম এর জন্য কালারিং একটি প্রচলিত সাবেক প্রচলিত পদ্ধতি। এতে চুলের টেক্সচার ভালো দেখায়।
- হালকা করে চুল ব্লিচ করে নিতে পারেন এতে উপরি পাওনা হিসেবে কিউটিকল স্মুথ হয়। তার সাথে পেকাবু হাইলাইটস আন্ডারলেয়ারে দিতে পারেন যেটা কালার টোনের সাথে ম্যাচ করবে। ফলে চুলের ভলিউম হবে নজরকাড়া।
৮. ভলিউম স্প্রে:
- চুলের ভলিউম বাড়ানোর ইনস্ট্যান্ট উপায় হলো ভলিউম স্প্রে। বাজারে চলতি অনেক ভলিউম স্প্রে পেয়ে যাবেন। কিন্তু প্রোডাক্ট দেখে কিনবেন।
- দেখে নেবেন তাতে হার্বাল উপাদান যেন বেশি হয়। মূলত ওয়াটার বেস হলে ভালো হয়। সালফেট ও প্যারাবেন জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য বর্জন করুন।
- ভলিউম স্প্রে’তে থাকে পলিমার যা করে চুলকে উচ্ছল ও শাইনি। চুলের স্ট্রান্ড এর সেটিংস বিগড়ে যেতে দেয়না। ফলে পাতলা চুল কেউ সহজে শনাক্ত করতে পারেনা।
৯. হেয়ার বানিং:
- ঘুমাতে যাবার আগে বিশেষ করে স্নান করে শুতে গেলে চুল উঁচু করে টুপির কায়দায় হাল্কা ইলাস্টিক দিয়ে বাঁধুন।তবে বাঁধুনি খুব শক্ত করে আঁটবেন না।
- হেয়ার বানিং বলে এটাকে। এরফলে চুল আপনাআপনি শুকবে এবং যখন ঘুম ভেঙে উঠবেন তখন পাবেন বাড়তি ভলিউম ও সফ্ট ওয়েভ খেলে যাবে আলতো করে।
১০. কন্ডিশনিং:
- চুলে কন্ডিশনিং করা খুবই আবশ্যক। তবে ঘন ঘন সেটা করা ঠিক না। সপ্তাহে দু বারের বেশি নয়।
- প্রথমে চুলে জল স্প্রিংকেল করে লাগান তারপর চুল ভিজে এলে কন্ডিশনার লাগান তারপর ১৫-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
- তারপর ঘুরে কন্ডিশনার দিন।তবে চুলে নারকেল তেল কখনই দেবেন না। সেটা চুল ভারী করে দেয়।হেয়ার মুজ ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার জেলের পরিবর্তে, চুল আর পাতলা দেখবেনা।
- এসব ছাড়াও স্ট্রেস ফ্রি থাকুন, সঠিক সময়ে ঘুমোন ও আদর্শ খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখুন চুলের ঘনত্ব বাড়াতে।
Jannatul Riya
Help in hair fall
Sormi Roy
চুল পাতলা
আল মাহামুদ রোকন
চুল আচরালেই চুল ওঠে
Jhuma
Chul hajrale chul uthe Jai
Ki korbo ?
DusBus Staff
পেঁয়াজের তেল মাখুন।
Torsa manna
চুল পাতলা হয়ে য়াচ্ছে।
কী করব??