একমাস পরেই দুর্গা পূজা। কিন্তু উৎসবের আয়োজনে সেজে উঠেছে কলকাতাসহ গোটা দেশ। কারন মায়ের আসার আগে পুত্র গণেশের জন্মদিন। যাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। এবছর আগামী ২ রা সেপ্টেম্বর গণেশ পূজা হবে গোটা দেশ জুড়ে।
গণেশ পূজার সময় ও দিনক্ষণ
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০১৯ সালের গণেশ চতুর্থীর দিন ও পূজার সময়।
- ভাদ্রমাসের শুক্লা চতুর্থীতে পূজিত হন সিদ্ধিদাতা গণেশ। এই চতুর্দশীকে ‘অনন্ত চতুর্দশী’ বলা হয়।
- ২’রা সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী পড়েছে এবছর। ১২’ই সেপ্টেম্বর বিসর্জনের দিন।
- গণেশ চতুর্থীর তিথি পড়েছে ১’লা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যে ৭ঃ২৭ মিনিট থেকে পরের দিন বিকেল ৪ঃ২৪ মিনিট পর্যন্ত।
- তিথি পরারা সাথে সাথে কিছুক্ষণ সময়ের জন্য চাঁদ না দেখার পরামর্শ দিয়েছেন শাস্ত্রজ্ঞরা। সময় ১’লা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যে ৭ঃ২৭ মিনিট থেকে রাত্রি ৯ঃ১৫ মিনিট পর্যন্ত।
- শোনা যায় মন দিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজা করলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়।
সিদ্ধিদাতা গণেশকে খুশি করতে কি কি করবেন?
- ভগবান গণেশ খেতে খুবই ভালবাসেন। তাই তার পুজোয় তার পছন্দের মোদক অবশ্যই থাকা চাই। পুজোর প্রথম দিন এটি অবশ্যই গণেশকে নিবেদন করবেন।
- গণেশের মূর্তি বাড়ির উত্তর – পূর্ব দিক বা একেবারে পশ্চিমদিকে রেখে পূজা করবেন। বাস্তুশাস্ত্র মতে এটি শুভ মানা হয়।
- পূজার সময় গণেশের একটি মূর্তি রেখে পূজা করতে হয়, একাধিক নয়।
- তামার বদলে রূপোর বাসনে পূজার সামগ্রী ও প্রসাদ রাখতে বলা হয় গণেশ পূজায়। এতে নাকি সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদ পরিবারে বজায় থাকে বারোমাস।
- আজকাল নানা রঙের গণেশ মূর্তি বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তুবিদদের মতে হলুদ বা সাদা রঙের মূর্তি পূজা করা শুভ। এতে ঘরের শ্রী বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে অর্থ, বৈভব ও সম্পত্তির বৃদ্ধি ঘটে।
- গণেশের পূজা করলে তা শোবার ঘরে করবেন না। বসার ঘর বা পূজার ঘরে করবেন।
- পূজার কয়দিন নিরামিষ খেতে হয়। বিসর্জনের দিন পর্যন্ত।
মোদক বানানোর রেসিপি
আজকাল মিষ্টির দোকানে গণেশ পুজোর কয়েকদিন মোদক অনায়াসে পাওয়া যায়। কিন্তু বাড়িতে যদি বানাতে চান তাহলে দেখে নিন রেসিপি। খুবই সহজ।
মোদক বানানোর সামগ্রী
- চাল গুঁড়ো ২ কাপ
- খোয়া ক্ষীর ১ কাপ
- নারকেল কোরা ৪ কাপ
- পেস্তা কুচানো ১ টেবিলচামচ
- দুধ ১ লিটার
- গুঁড়ো চিনি ২ কাপ
- খাবারের হলুদ রং ১ চিমটে
বানানোর পদ্ধতি
- শোবার প্রথম উপরের সামগ্রী এনে পরিমান মত রাখুন। তারপর একটু বড় ডেকচি বসান গ্যাসে। ডেকচিতে দুধ মিশিয়ে হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন ও আসতে আসতে চালের গুঁড়ো অল্প অল্প করে মেশান।
- খেয়াল রাখবেন চালের গুঁড়ো যেন দুধের মধ্যে ডেলা পাকিয়ে না যায়।
- ৫ মিনিট নাড়ার পর একে একে খোয়া ক্ষীর, নারকেল কোরা, গুঁড়ো চিনি, পেস্তা কুঁচি ও খাবার হলুদ রঙ মিশিয়ে দিন।
- আসতে আসতে নাড়তে থাকুন, ঘন হয়ে মণ্ড আকার নিলে গ্যাস অফ করে নামিয়ে নিন ও রেখে দিন ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য। ঠাণ্ডা হলে আটা মাখার মত করে মণ্ডটি ভালো করে মেখে মসৃণ করে নিন।
- এবার হাতের তালুতে ঘি মেখে মোদকের আকারে বানিয়ে একটি থালায় রাখুন।
- সবটা হলে স্টিম কুকারে ১৫ মিনিট হালকা স্টিমে এটি রেখে দিন। ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
মন্তব্য করুন