প্রত্যেক মহিলাই চান আত্মনির্ভরতার পথে পা বাড়াতে, কিন্তু সংসারের চৌহদ্দি পেরিয়ে বাইরে গিয়ে সেই স্বপ্ন সার্থক করে ওঠা সংখ্যাগরিষ্ঠের নাগালের বাইরেই থেকে যায়। আজ আমরা আপনাদের সামনে এমন বেশকিছু উপায়ের সন্ধান রাখছি যার মাধ্যমে আপনারা, মেয়েরা এই করোনা মহামারী বিপর্যয়ের মধ্যেই ঘরে বসে পরিবারকে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও দিতে পারবেন, আর নিজের আত্মবিশ্বাস অর্জনের ঠিকানা ও খুঁজে পাবেন।
১) সেলাই, এমব্রয়ডারি, বোনার কাজ:
যদি সেলাই ও বোনাই এর কাজে আপনি দক্ষ হন তবে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে একটা সম্মানজনক আয়ের রাস্তা আপনার কাছে খোলা। এর জন্য লাগবে এক খানা সেলাই মেশিন।
শুরুটা করুন পাড়াপ্রতিবেশী দের নিয়ে। চাইলে দেবদেবীর পোশাক সেলাই করে বানাতে পারেন। যেমন গোপাল এর জামাকাপড় এর চাহিদা প্রচুর।
এছাড়াও বালিশ, টেবিল, কুশন এর কভার, বেডশীট ও শাড়িতে ফলস ইত্যাদি বসানোর কাজ বা নকশার কাজ করতেই পারেন।
বুরুশের কাজ জানলে সোয়েটার বানাতে পারেন। আপনার পাশাপাশি অঞ্চলে চাহিদা বুঝে সাপ্লাই করুন। চাইলে লোকাল দোকানেও দিতে পারেন
২) টিফিন সার্ভিস:
মুম্বাই এর ডাব্বাওয়ালা দের নাম তো শুনেছেনই। টিফিন কেরিয়ারে তাই রসনাতৃপ্তির যোগান দিতেই পারেন। বাড়িতে রুচিমত, পরিছন্ন উপায়ে তৈরি খাদ্যের কদর বেশ ভালোই রয়েছে।
বাইরে থাকা স্টুডেন্টস আর অফিস এর কর্মচারীদের টার্গেট করে হোম ডেলিভারী করতে পারেন।
৩) ফেস্টিভ সিজিনে অর্ডার:
হোমমেড স্ন্যাকস এর চাহিদা কিন্তু হিউজ আজকাল। উৎসবের মরসুমে তা সে দীপাবলি হোক বা দুর্গাপূজা হাতে বানানো মিষ্টি বা নোনতার খোঁজ করছেন সবাই।
যেহেতু এটা একটা নির্দিষ্ট সময় ভিত্তিক কাজ তাই কাজের চাপ তেমন থাকেনা।পরিচিত মানুষদের অবগত করে কাজ শুরু করুন পরে ফেসবুকে বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ব্যবসা প্রমোট করতেই পারেন।
৪) ঘরোয়া দ্রব্যের টুকিটাকি তৈরি :
টক স্বাদের আচার থেকে আরম্ভ করে ঘন্টতে দেবার বড়ি অথবা পাঁপড়, সস, জ্যাম, জেলি, শরবত ইত্যাদি ঘরোয়া টুকিটাকি অথচ আটপৌরে জিনিস বানিয়ে টাকা রোজকার করতেই পারেন।
এর জন্য ট্রেনিং গভর্মেন্ট বা প্রাইভেট উভয় থেকেই নিতে পারেন। বাড়ি থেকেই কাজ শুরু করতে পারেন একাকী বা কিছুজন সঙ্গে নিয়ে।
৫) নার্সারী ও অর্গানিক চাষবাস:
যদি আপনার বসত জায়গার মধ্যে পর্যাপ্ত ফাঁকা জমি থাকে এবং আপনার শখ হয় গার্ডেনিং, ব্যাস ধরে নিন শিকে ছিঁড়ে গেছে আপনারও।
চারাগাছ এর কলম, রকমারী ফুল, অর্কিড ইত্যাদির চাষাবাদ করে ভালো অঙ্কের ধনরাশি আপনি কামাতে পারেন। অর্গানিক ভেজিটেবলস ও ফল ও মানুষ বেশি দাম দিয়ে কেনেন।
৬)গৃহসজ্জার সরঞ্জাম প্রস্তুতকরন:
শিল্পকর্মে নিপুণ যদি হন তবে নিজের আর্টিস্ট সত্ত্বাকে লুকিয়ে না রেখে ওয়াল হ্যাংগিং, স্টাফড টয় বা সফ্ট টয়, ডেকোরেটিভ শো পিস ইত্যাদি বানানোর কাজ করতেই পারেন।
৭)বিউটিশিয়ান:
সাজতে ও সাজাতে পছন্দ করেন? তবে দেরি কেন? বানিয়ে ফেলুন তাকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মাধ্যম। ফেসিয়াল, হেনা, প্যাডিকিউর এর মত পরিষেবা দিয়ে বাড়িতেই কাজ শুরু করুন। সুনাম হলে কাস্টমার এর অভাব হবেনা।
৮) বেবি হোম:
এটা একদমই একটা ভিন্ন কনসেপ্ট। এটা শুরু করতে বাড়িতে বেশকিছু রুমের প্রয়োজন হবে আপনার। বাচ্চাদের জন্য পর্যাপ্ত স্পেস, ভেন্টিলেশন,পরিচ্ছন্নতা ও খেলার সামগ্রীর মতো বিষয়গুলির সুবিধে সুনিশ্চিত করুন।
পরিষেবা যদি স্ট্যান্ডার্ড মানের হয় তবে আয়ের পথ সুগম হবে বলাই যায়। বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে চালাতে পারেন প্রচার।
৯) বেকারী:
বেক করার নেশা থেকে থাকলে আপনি কেক, মুজ, পেস্ট্রি, টফি, আইস ক্রিম মতো জিনিসগুলো বাড়িতে বানিয়েই বিক্রি করতে পারেন। শখে কাজ শুরু করুন, পসার জমতে সময় লাগবেনা কথা দিচ্ছি।
১০) গিফ্ট প্যাকিং:
আপনার যদি প্যাকিং এর স্কিল থাকে সেটাকে কাজে লাগিয়ে রঙিন রিবন, কৃত্রিম স্টার ও ফুল ইত্যাদি দিয়ে ডিজাইন করে ঘরে বসেই কাজ শুরু করতে পারেন।
ফেস্টিভ সিজিনে উদযাপনের সময় তত্ত্ব সাজানো, ভ্যালেন্টাইন ডে তে বা অন্যান্য ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে গিফ্ট এক্সচেঞ্জ এর সময় এই কাজ করে উপার্জন করতে পারেন।
১১) হবি টিচিং:
আপনি যদি সেলাই, কুকিং, পেন্টিং, সফ্ট টয় তৈরি, ড্রইং,নাচ বা গান ইত্যাদির যেকোনো একটিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে তা বাচ্চা ও প্রাপ্তবয়স্কদের পেশাদারি ভাবে শেখাতে পারবেন।
চাইলে ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করে সেখানে টিউটোরিয়াল ও দিতে পারেন।ভিউয়ারশিপ থেকে টাকা অর্জন করতে পারেন।
১২) যোগা ক্লাস:
আজকাল লোকজন নিজেদের স্বাস্থ নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। স্ট্রেস, ক্লান্তি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এর জন্য বিগড়ে যাওয়া শরীরকে ফিট করতে যোগার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনি বাড়িতেই এরেঞ্জমেন্ট করে আসন, প্রাণায়াম শেখাতেই পারেন।
১৩)সুগন্ধি মোমবাতি তৈরি:
এখন বাড়িতে সাজানোর জন্য সেন্টেড ও সুন্দর ক্যান্ডেল রাখার চল খুব হয়েছে।আপনি বাড়িতেই অল্প অল্প বানিয়ে শুরু করতে পারেন। ইন্টারনেট এর সাহায্য নিয়ে নানান মডেল ও শেপের বানাতে পারেন। ডিমান্ড কিন্তু মারাত্মক।
১৪) হস্তশিল্প ও মেশিন:
বাঁশ, বেত, গালা, কাঠ, পিতল, মাটি ইত্যাদি দিয়ে হস্তশিল্প এর নানা নমুনা বানাতে পারেন। চাইলে মেশিনের সাহায্য নিতে পারেন। ঘর সাজানোর জন্য এগুলোর প্রয়োজন পড়ে হামেশাই।
এর জন্য কাঁচামাল ও ছাঁচ এর দরকার হবে। জল ও ইলেক্ট্রিসিটি র অনুকূল ব্যবস্থা থাকা দরকার।
১৫) কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ:
Tupperware, Amway, Oriflame, Avon, Herbal ইত্যাদি কোম্পানি গুলোর রিপ্রেজেন্টেটিভ এর দরকার হয় তাদের প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য। বেতন ও মেলে মোটা অংকের। সবচেয়ে ভালো কথা এসব হ্যান্ডেল করতে পারবেন ও কাস্টমার এর সাথে ইন্টার্কসন করতে পারবেন ঘরে বসেই।
১৬) অনলাইন লার্নিং:
অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম এখন যুগের চাহিদার অন্য নাম। স্মার্ট স্টাডি এখন ডিজিটাল শিক্ষার অঙ্গ। অনলাইন ক্লাস করানোর জন্য আপনার সংশ্লিট বিষয়ে ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগবে ও সেই বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি।
কম্পিউটার, ওয়েব ক্যাম ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে বাড়ি বসেই আপনি ভেদানতু, টুইটার,ভারত টিউটর,আনেকাডেমী, টিউটর ইন্ডিয়া এই ধরনের অগ্রগণ্য সংস্থার থেকে চাকরি নিতে পারেন। তারা অনলাইন পড়ানোর নমুনা যাচাই করবে তার আগে অবশ্য।
১৭) টিউশন:
নিজের বিষয়ে পান্ডিত্য ও উচ্চ ডিগ্রি থাকলে নিজের সাবজেক্টকে হাতিয়ার করেই আপনি টিউশনি পড়াতে পারেন। লকডাউনের বাজারে এর চেয়ে ভালো টাকা উপায়ের বন্দোবস্ত নেই।
গৃহশিক্ষকতা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন পরে টিউটোরিয়াল হোম খুলে নিজের রোজগার বাড়িয়ে আরামসে সংসার চালিয়ে নেবার যোগ্যতা করে ফেলতে পারবেন।
১৮) ব্লগিং:
লেখার প্রতিভা,সৃজনক্ষমতা থাকলে এবং কম্পিউটার এ কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে বাড়ি বসে ব্লগ লিখেই রোজগার করতে পারেন হাজার হাজার টাকা।
এই চাকরিতে বিশেষ কোনো পিছুটান থাকেনা। স্বাধীনভাবেই কাজ করতে পারেন এবং নিজের লেখার হাত পাকিয়ে ফেলতে পারবেন।
১৯)ফ্রিল্যান্সিং:
ছোট ছোট টপিক ও তথ্য সমৃদ্ধ এবং রিসার্চ নির্ভর লেখা লিখতে পারলে ম্যাগাজিন, নিউজপেপার, অনলাইনে ই ম্যাগাজিন এর জন্য আর্টিকেল লিখতে পারেন। এটা একাডেমিক,বিনোদন বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে।
হিন্দি, বাংলা, ইংরেজির ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের ও – contactus@dusbus.com এ।
২০)অনলাইন সার্ভে:
বেশকিছু নামী সার্ভে প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের সার্ভিস ও প্রোডাক্ট এর মান যাচাই এর জন্য কাস্টমার এর থেকে ফিডব্যাক সংগ্রহ করে থাকে।
এর জন্য সার্ভাপেপার ঠিকঠাক দেখে নেয়া, প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক সর্টিং এর কাজ করতে হয়। সার্ভে প্রতি টাকা পাওয়া যায়।
২১) স্টক ফটোসাইটের জন্য ছবি তোলা:
Imagesbazaar.com,Shuttlestock.com,GettyImages.com, Stockadobe.com ইত্যাদি ফটোগ্রাফি সাইটে ছবি আপলোড করে আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন। স্টক ফটোগ্রাফিকে এখন অনেকে কেরিয়ার হিসেবেও বেছে নিচ্ছেন।
ফটোর সাইজ হতে হবে কমপক্ষে ৪-১২ মেগাপিক্সেল। সাইটে ফটো ডাউনলোড এর হিসেবে আপনার কমিশন নির্ধারিত হবে।
যদি আপনি স্টক ফটো তুলতে চান তবে দাশবাসে আপনাকে স্বাগত। আমাদের কন্টাক্ট করুন – contactus@dusbus.com এ।
২২) ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট:
একজন ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট এর কাজই হলো ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ, ব্লগ দেখা, কাস্টমার সার্ভিস প্রভাইড করা, ডাটা থেকে প্রেজেন্টেশন তৈরি করা প্রভৃতি কোম্পানির জন্য।
কম্পিউটার বাড়িতে থাকলে সুন্দরভাবে বাড়িতেই এই কাজটি আপনি দূরবর্তী কোনো কোম্পানির জন্য করতেই পারেন। এর জন্য এমএস অফিস, এক্সেল এর কাজ জানা আবশ্যিক।
২৩) কন্টেন্ট রাইটিং:
একটা ভালো কন্টেন্ট এর প্রাক শর্তই হলো পাঠকদের ট্রাফিক নিয়ে আসা, তাদের মনোযোগ আকর্ষণ। তাই সফল কন্টেন্ট রাইটার হতে গেলে ভাষার উপর দখল থাকতেই হবে যাতে আপনার লেখা পড়ে পাঠকরা নিজেদের সাথে রিলেট করতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং html ওয়েব কন্টেন্ট এর জ্ঞান আপনাকে সাহায্য করবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার উপস্থিতি ও সমসাময়িক ট্রেন্ড এর দিকে ওয়াকিবহাল হওয়াও সমানভাবে জরুরি।
২৪) অনুবাদক:
ট্রান্সলেটর এর কাজের জন্য একের বেশি ভাষার উপর গভীরতা থাকা দরকার।অনুবাদের গুণমানের উপর নির্ভর করে আপনার পারিশ্রমিক ধার্য হবে।
বিভিন্ন নিউজ সাইট, ম্যাগাজিনে এবং প্রজেক্ট ওয়ার্ক এ ভাষান্তর এর প্রয়োজন হয়। সেখানে এপ্লাই করতে পারেন।
২৫) ওয়েব ডেভেলপার:
এই কাজের জন্য কম্পিউটার সায়েন্স এ ডিগ্রী থাকা বাধ্যতামূলক। যদি ফর্মাল ডিগ্রি না থাকে তবে অনলাইনে ট্রেনিং নিয়ে নিতে পারেন।
২৬) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট:
সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থার একাউন্ট পরিচালনাই এই জবের মুখ্য কাজ। তাদের এক্টিভিটি বিষয়ে আপডেট ও ইভেন্ট পোস্ট করা এবং অডিএয়েন্স এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হয়।
Udemy.com, Lynda.com, Edx.org তে নানা কোর্স পেয়ে যাবেন ম্যানেজমেন্ট এর উপর।
২৭) ইনসিউরেন্স এজেন্ট প্রপার্টি ব্রোকার:
নিজের সামাজিক পরিসরে বা পরিচিতির সার্কেলে যদি আপনার যোগাযোগ দৃঢ় হয় তবে ইনসিউরেন্স এর জব আপনার জন্য পারফেক্ট। আপনি যারা নতুন বাড়ি কিনবেন বা বাড়ি ভাড়া নেবেন সেইকাজে মধ্যস্থতা করতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে নানা প্লট ও প্রপার্টি, খালি বাড়ি বা ফ্ল্যাট ইত্যাদির ব্যাপারে তথ্য কালেক্ট করতে হবে।
২৮) অনলাইনে দ্রব্য বিক্রি:
এই কাজের জন্য আপনার মার্কেটিং স্কিল থাকতেই হবে। জামাকাপড়, নকল গয়না, পার্স ইত্যাদির মতো দ্রব্য amazon, flipkart, snap deal, shopclues এর মত ই-কমার্স এ বিক্রি করতে পারেন।
এর জন্য ওয়েবসাইটের সেলার রেজিস্ট্রেশন পেজ এ গিয়ে বিজনেস ডিটেলস দিতে হবে।
২৯) ইউটিউব ভিডিও:
ইউটিউব এখন বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এক জায়গা যেখানে আপনি আপনার প্রতিভা মেলে ধরতে পারেন। রান্না, ফ্যাশন, গান,নাচ, অভিনয় সবকিছু প্রকাশের খোলা মঞ্চ এটাই।
এর জন্য ফোন ক্যামেরা বা ডিজিটাল ক্যাম, এডিটিং, থাম্বনেল বানানো ইত্যাদির জ্ঞান থাকা বাঞ্চনীয়। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। ইউটিউব এড ও ভিউয়ার শিপেরএর জন্য আপনাকে পে করবে এবং স্পন্সর থেকেও আয় করতে পারেন।
৩০) টেলি মার্কেটিং:
এখন টেলিমার্কেটিং এও ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর সুবিধা রয়েছে। গলার ভয়েস সুমধুর হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর এক্ষেত্রে। প্রচার কৌশল জানতে হবে। কোম্পানির প্রোডাক্ট ফোনে জানাতে হবে, জনগণকে কিনতে উৎসাহী করতে হবে।পারফরম্যান্স সন্তোষজনক হলে কোম্পানির থেকে কমিশন পাওয়া যায়।
৩১) ঘটকালি:
নাম শুনে চমকে গেলেন নাকি? এতে অবাক হবার কিছুই নেই। এখন লোকের দোরে দোরে ঘুরে ঘটকালি করার দিন শেষ। এই বিনাপুঁজির পেশাটি এখন ঘরে বসেই সম্ভব।
বিবাহযোগ্য ছেলে ও মেয়ের ডিটেইলস রাখতে হবে নিজের কাছে। তাদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে উভয়পক্ষের থেকেই পারিশ্রমিক নিতে পারেন। গোটা ব্যাপারটাই সম্পন্ন হতে পারে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
৩২)ইভেন্ট প্লানিং:
ইভেন্ট অর্গানাইজ করে এখন রোজগার করার রাস্তা আরো সোজা।জন্মদিন, এনিভার্সারী, পার্টি বিবিধ অনুষ্ঠান পার্বণে সমস্ত আয়োজন ও নিমন্ত্রণ ইত্যাদির লিস্টিং ও ঠিকঠাক সম্পন্ন করাতে পারলে লাভের মুখ দেখবেন।
৩৩) ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং:
যদি ঘরের অন্দর সজ্জা আপনার হবি হয় অথবা আপনি এটাতে ট্রেন্ড হন তবে লক্ষ্মীলাভে আপনার আর বিলম্ব নেই। সবকিছু গুছিয়ে সাজাতে পারবেন অফিস হোক কি বাড়ি। ফিল গুড ফ্যাক্টর এর সাথে উপরি পাওনা টাকাকড়ি।
৩৪) অনলাইন টিকিট বুকিং, ইলেক্ট্রিসিটি, জলের বিলের পেমেন্ট:
ইন্টারনেট কানেকশন, কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টার থাকলে বাড়িতেই আপনি এই কাজ শুরু করতে পারেন। অনলাইনে ট্রেনের, প্লেনের টিকিট বা বেড়ানোর রুম বুকিং বা অনলাইনে বিদ্যুৎ এর বিল দেওয়া ইত্যাদি কাজ গুলো অনায়াসেই করতে পারবেন।
৩৫) ওয়েবসাইট অপারেশন:
অত্যন্ত কার্যকরী একটি পেশা। এর জন্য আপনাকে নিজের ওয়েবসাইট বানাতে হবে। নিউজ, বিনোদন, কাহিনী ইত্যাদি বেসড বানাতে পারেন নিজের ইচ্ছেমতো। জনগণের মধ্যে পৌঁছতে পারলে সেখান থেকে এড জেনারেট হবে।সেখান থেকে উচিত লভ্যাংশ এর মুখ দেখতে পাবেন।
৩৬) কার্ড তৈরি:
এখন হ্যান্ডমেড ডিজাইনার কার্ডের চাহিদা আকাশছোঁয়া। দাম ও সেরকমই। যদি শিল্পের মুন্সিয়ানা আপনার করায়ত্ত হয় তবে এই কাজে যোগ দিতে পারেন।
আমাজন, ফ্লিপকার্ট এও বিক্রির সুযোগ রয়েছে। বার্থডে, এনিভার্সারী, ভ্যালেন্টাইনস ডে ইত্যাদির মতো ওকেশনে মানুষ এগুলোর খোঁজ করেন। তাই সাপ্লাই এর ঠিকঠাক মাধ্যম পেলে মজুরি ও পাবেন মনমতো।
৩৭) শিশুদের কাপড়জামা,পার্স,বেডশীট ও ইমিটেশন এর গয়নার ব্যবসা:
এইসব আইটেম গুলো কোনো হোলসেলার এর থেকে সংগ্রহ করে নিজের এলাকার ইন্টারেস্ট দেখে অল্প অল্প করে আনিয়ে বিক্রি শুরু করতে পারেন।
দ্রব্যের গুণমান ভালো হলে বিক্রিবাটা বাড়বে, সাথে আপনার আয় ও। চেষ্টা করুন ট্রেন্ডি জিনিস ও গ্রাহকের আগ্রহ বুঝতে। পরিকল্পনামাফিক এগোলে সফল হবেন।
৩৮) বিউটি পার্লার:
এবার বাড়ি বসেই শুরু করতে পারেন নিজের বিউটি পার্লার। এটার জন্য আমাদের বিশদে ব্লগ রয়েছে। পড়তে পারেন লিঙ্কে ক্লিক করে। এখানে পড়ুন।
মন্তব্য করুন