আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডকে খুবই পছন্দ করেন। তিনি আপনার কাছে সবচেয়ে কিউট। আবার ধরুন আপনি একজনকে খুবই পছন্দ করেন। তার আচরণ আপনাকে মুগ্ধ করে। কিন্তু আপনারা কী ভেবে দেখেছেন বন্ধুরা, আপনার পার্টনারের বা কোনও মেয়ের কোন কোন বিষয়গুলো আপনাদের সবচেয়ে ভাল লাগে? কী কী সেই বিষয় যা মেয়েদের কিউট করে তোলে! মিলিয়ে নিন তো দেখি আজকের এই লিস্টের সঙ্গে।
১. বাচ্চাপনা
আপনি আপনার পার্টনারকে এমনি এমনি কিন্তু বেবি বলেন না। গার্লফ্রেন্ডের মধ্যে একটা শিশুসুলভ ব্যাপার ছেলেদের বরাবরই আকৃষ্ট করে। গার্লফ্রেন্ড একটু বাচ্চাপনা করবে মাঝে মাঝে, একটু আবদার করবে, ছেলেমানুষি করবে এটা সব পার্টনারই চায়। যে কারণে ছেলেরা গার্লফ্রেন্ডকে টেডি দিতে পছন্দ করে। এটা কিন্তু খুব কিউট একটা দিক।
২. খানিক ম্যাচিওরড
ছেলেমানুষি তো বুঝলাম, কিন্তু সবসময়ে নয়। মাঝে মাঝে আপনার কঠিন সময়ে শক্ত হয়ে আপনার পাশে থাকবে সেই ম্যাচিওরিটিও কিন্তু একজন ছেলে তার পার্টনারের থেকে চায়। কথায় বলে না, ছেলেরা নাকি তাঁদের মাকে কোথাও গিয়ে পার্টনারের মধ্যে খোঁজে। ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা, একটু সিরিয়াস নোটে মাঝে মাঝে সমস্যার সমাধান করা, পার্টনারের এই ব্যক্তিত্ব ছেলেরা পছন্দ করে।
৩. কেয়ারিং
আগেই বলেছি, পার্টনারের মধ্যে নিজের মাকে খোঁজা এটা ছেলেদের স্বভাব। আর মা মানেই যত্ন। তা মায়ের মতো না হলেও একটু কেয়ার যদি করা হয় ছেলেরা কিন্তু তাতেই গলে যায়। এই ধরুন মাঝে মাঝে একটু কফি করে দেওয়া, মাথা ব্যথা করলে একটু ওষুধ লাগিয়ে দেওয়া বা একটু মাথায় হাত বোলানো, এই সব করলে পার্টনারের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান দুইই বেড়ে যায়।
৪. গুছুনেপনা
ছেলেরা নাকি স্বভাবতই একটু অগোছালো। আর মেয়েরা যতই অগোছালো ভাব দেখাক না কেন, ভিতরে ভিতরে তাঁরা নাকি বেশ গুছিয়ে সব কাজ করতে পারে। আর আমরা তো জানিই, বিপরীত জিনিস একে অন্যকে বেশ আকর্ষণ করে। তাই ছেলেরা একটু মেয়েদের মধ্যে গছানো গুণ বেশি পছন্দ করে। কিছু খুঁজে না পেলে একটু হাতের কাছে এনে দেবে, একটু ঘরটা সাজিয়ে রেখে হোম ফিলিংস দেবে এটা ছেলেদের একটা বেসিক ডিমান্ড। না না, তা বলে মেয়েটা নিজের সব কাজ ছেড়ে খালি ঘর গুছিয়ে যাবে এটা ভাববেন না।
৫. ভোরের স্নিগ্ধতা
ধরুন কোথাও ঘুরতে গেছেন। আপনার ঘুম আগে ভেঙেছে আর পাশে আপনার পার্টনার তখনও নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে। আপনি মাথায় হাত রাখতেই সে আলতো চোখ খুলে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে খানিক। এটা কিন্তু খুব কিউট একটা মুহূর্ত। এই বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে আমি নিশ্চিত আপনি আবার আপনার পার্টনারের প্রেমে পড়ে যান। মেয়েদের এই স্নিগ্ধতা ছেলেদের কিন্তু খুব প্রিয়।
৬. ক্রেজিনেস
হ্যাঁ, আজকের দিনের মেয়ে আর একটু ক্রেজি হবে না! একটু নাচ গান, হৈ হুল্লোড়, নেশা করে হাল্কা ছড়িয়ে ফেলা, এগুলো কিন্তু আপনাদের আরও কাছে আনে। কারণ এই সব সময়ে আপনারা বাইরের সব কিছু ভুলে নিজেদের মধ্যে মিশে যান অনেকটা বেশি। আর এই সময় যদি আপনার পার্টনার আপনার প্রতি তার নির্ভরশীলতা, ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন তাহলে তো কথাই নেই। মেয়েদের এই দিকটাই কিন্তু বেশ পছন্দের পার্টনারদের।
৭. পার্টনারের জামা পরা
এই জিনিসটা আপনি কিন্তু আগে ভাবেননি। মেয়েদের একটা স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে পার্টনারের শার্ট পরার দিকে। এতে তাঁরা বেশ সিকিওরড ফিল করেন। আর ছেলেদের শার্টে কিন্তু মেয়েদের বেশ অন্যরকম লাগে দেখতে। আপনি ঠিক যে যে সময়ে আপনার পার্টনারের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকেন, খেয়াল করে দেখুন, এই জামা পরার দিনটা তার মধ্যে অন্যতম।
৮. হাসি আর তর্ক
ধরুন আপনি আর আপনার পার্টনার কোনও বিষয়ে তর্ক করছেন। আপনি বুঝতে পারছেন যে আপনি মোটামুটি আর তর্কে পারবেন না। হার নিশ্চিত। আর তাই আপনি রেগে যাচ্ছেন। আর ঠিক তখনই আপনার পার্টনার একটা হাসির কথা বলে আপনার সব রাগ ভাঙিয়ে ফেললেন। এর প্যাম্পার করার দিকটা কিন্তু বেশ উপভোগ্য।
৯. হাত দিয়ে চুল সরানো
এটা খুব মিষ্টি একটা জিনিস মেয়েদের। অনেক সময়েই দেখবেন কথা বলতে বলতে মেয়েরা কানের পাশ দিয়ে চুল সরান। আবার সামনে নেমে আসা কিছু চুল নিয়ে খেলা করেন তাঁরা মাঝে মাঝে। মেয়েদের এই জিনিসটা কিন্তু খুব কিউট। আর যদি আপনাকে অধিকার দেন তিনি চুলটা সরিয়ে দেওয়ার তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কত্ত সম্পর্ক এভাবে তৈরি হয়।
১০. পারফেক্ট পার্টনার হওয়া
দেখুন আপনার পার্টনার আপনার পার্টনারই। যতই আপনি তার মধ্যে মায়ের ছোঁয়া খুঁজুন না কেন সে আপনার পার্টনার। তাই মনের মিল হওয়াটা খুব দরকার। আর আপনি যখন দেখেন আপনার পার্টনারের সঙ্গে আপনার মনের, পছন্দের, চাহিদার অনেক মিল, সেটা শুধু ভালই না, আপনাকে পরম শান্তি দেয়। এই দিকটা কিন্তু ছেলেরা মেয়েদের মধ্যে খোঁজে।
লিস্ট মিলিয়ে আমাদের জানাবেন কিন্তু, আপনার ঠিক কোন কোন কারণে আপনার পার্টনারকে কিউট লাগে।
মন্তব্য করুন