চোখই মনের আয়না। আর তাই চোখের মেকআপের ওপরেই আপনার সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে। এক একজনের চোখের আকার এক এক রকম, আর তাই চোখ বুঝে লাইনার পরাটা খুবই জরুরী, তা না হলে আপনার সাজগোজটাই অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। আজ আপনাদের জন্য রইলো ১০টি বিভিন্ন আকারের চোখের জন্য দশ রকমভাবে লাইনার পরার টিপস।
১) চোখ যদি গোল হয়
আপনার চোখ যদি গোলাকার হয়, তাহলে তাকে আরও মোহময়ী করে তুলতে ঘন উইং আইলাইনার লাগান। এরজন্য চোখের ওপর এবং নীচের পাতায় তিন চতুর্থাংশ করে লাইনার লাগান, যাতে চোখের আকার অনেকটা আমন্ডের মতো দেখায়। এরপর চোখের শেষভাগ থেকে একটা উইং এঁকে নিন। আর অবশ্যই ডার্ক লাইনার ব্যবহার করুন।
২) ছোট চোখের মানানসই লাইনার
চোখের আকারা ছোট হলে আপনাকে যে চোখের পাতাকে খুব আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে হবে, যাতে একটা বেশ ড্রামাটিক লুক আসে। সবার প্রথমে আইল্যাশ কার্লার দিয়ে কার্ল করে মাস্কারা অ্যাপ্লাই করুন। এরপর চোখের ওপরের পাতায় লাইনার লাগান আপনার ল্যাশলাইন পর্যন্ত। নীচের লাইনে লাগাবেন না এতে চোখ আরও ছোট দেখাবে।
৩) আমন্ড শেপের চোখের জন্য আই লাইনার
আমন্ড শেপের চোখ যাদের তারা খুবই ভাগ্যবান, কারণ যেকোনও ধরণের আইলাইনার ডিজাইন এইধরণের চোখে মানানসই হয়। তবে এই চোখকে আরও মোহময়ী করে তুলতে, উপরের পাতার ভেতরের কোণ থেকে সরু লাইন ড্র করে নিন, এরপর চোখের প্রান্তের কোণটা হালকা করে ভাসিয়ে দিন। পারফেক্ট উইং আই বানিয়ে নিন। সবশেষে বোল্ড লুক পেতে আবারও মাস্কারা লাগিয়ে নিন।
৪) হুডেড আই
খুব কম মহিলীরই এমন হুডেড আই হয়ে থাকে। তবে এইধরণের চোখকে আকর্ষণীয় করে তোলাটা খুবই সহজ। এর জন্য সবার প্রথমে ওপরের পাতার ওয়াটারলাইনে একটা সরু স্ট্রোক দিয়ে দিন। এবার চোখের ভেতরের কোণে একটা ক্রিম কালারের শিমারি আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন, এতে করে একটা ইনটেন্স লুক পেয়ে যাবেন। সবশেষে আইল্যাশটা কার্ল করে নিন এবং মাস্কারা লাগালেই আপনি রেডি।
৫) মোনোলিড আই শেপ
আপনার চোখের শেপ যদি এই ধরণের হয়, তাহলে আপনার চোখে ক্যাটআই লুক হবে একেবারেই মানানসই। এর জন্য একটা সফট আই লাইনার পেন্সিল দিয়ে একটা রাফ ক্যাট আই বা উইং আই লুক ক্রিয়েট করে নিন। এবার একটি ব্রাশ বা আঙুলের সাহায্যে আই লাইনারটা স্মাজ করে দিন।
এরপর একটা লিক্যুইড লাইনার দিয়ে ওপরের লাইটা ড্র করে নিয়ে একটা উইং করে দিন। এরপর সবশেষে লাগিয়ে নিন মাস্কারা।
৬) ক্লোজ সেট চোখের লাইনার
লাইনার-এই ধরণের চোখের ক্ষেত্রে চোখের আউটার কর্নার হাইলাইট করলেই যথেষ্ট এর জন্য চোখের বাইরের দিকে তিন চতুর্থাংশ পাতলা করে একটা লাইন ড্র করুন। এবার বাইরের কোণ থেকে একটা উইং ক্রিয়েট করুন। এবার চোখের কোণায় একটি শিমারি আইশ্যাডো লাগিয়ে সেটাকে ব্লেন্ড করতে থাকুন। সবশেষে মাস্কারা লাগিয়ে নিন।
৭) ওয়াইড শেড চোখের আই লাইনার
এই ধরনের চোখে আই লাইনার পরার সময় সবার প্রথমে চোখের ভেতরের কোণ থেকে বাইরের কোণ পর্যন্ত সমান ঘনত্বে লাইনার ড্র করে নিন। এবার দুচোখের বাইরের কোণায় একটা ছোট্ট ফ্লিক ড্র করুন, যাতে একটা ত্রিভুজের মতো শেপ পাওয়া যায়। সবশেষে চোখের ওপরের এবং বিশেষত নীচের পাতায় মাস্কারা লাগিয়ে নিন। এতে লুক হবে অনেকটাই আকর্ষণীয়।
৮) অ্যাসিমেট্রিক চোখ
অনেকের এমনও হয় যে একটা চোখ অন্য চোখের থেকে সামান্য় বড়। এক্ষেত্রে আইমেকআপ করার সময় দুটি চোখের আকার সমান রাখাটা খুবই প্রয়োজন। একটা সহজ ট্রিক ফলো করলে আপনারাও পেতে পারেন আকর্ষণীয় চোখ। এর জন্য একটি হালকা রঙের আইলাইনার পেন্সিল দিয়ে ওপরের পাতার পুরোটা এবং নীচের পাতায় বাইরের দিক থেকে অর্ধেকটা লাইনার ড্র করে আঙুলের সাহায্যে স্মাজ করে দিন। যে চোখটি ছোট তাতে একটু মোটা করে লাইন ড্র করে একইভাবে স্মাজ করে দিন। আপনার আইমেকআপ রেডি।
৯) বড় চোখের জন্য ডবল উইং
আপনার মুখের মধ্যে চোখটাই যদি প্রথমে নজরে আসে তাহলে বুঝতে হবে আপনার চোখ বড়। আর বড় চোখ যাদের তারা যেকোনও ধরণের আই মেকআপ করতে পারেন। তবে আপনাদের জন্য ডবল উইংড আই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপার লাইনে উইং বানিয়ে নেওয়ার পর নীচের লাইনেও একটা ছোট উইং ড্র করে নিন।
১০) ডিপ সেট আই
এইধরণের চোখের ক্ষেত্রে আপনার আইব্রো বোনটা বেশি হাইলাইট হয়। এধরণের চোখে যাঁদের তাঁরা যেকোনও রঙের লাইনার নিয়ে প্রথমে চোখের ওপরের পাতার ইনার লাইন থেকে আউটার লাইন পর্যন্ত একটা সরু লাইন ড্র করুন। এখইভাবে নীচের ল্যাশলাইনেও একটা সরু লাইন ড্র করে নিন। কেবল এইটুকু করেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন বোল্ড আই লুক।
মন্তব্য করুন