শিরোনাম নাম পড়ে অবাক হলেন নিশ্চয়ই? অবাক হওয়ারই কথা। হাঁটা মানে বুঝি সামনে এগিয়ে যাওয়া, সেখানে পিছনের দিকে হাঁটতে গেলে তো বড় মুশকিল। তবে এই হাঁটা সাধারণ দৈনন্দিন কাজের মধ্যেকার হাঁটা নয়।
কেন পিছনের দিক করে হাঁটবেন
নিজের মানসিক ও শারীরিক ফিটনেসের জন্য পিছনের দিকে হাঁটার কথা বিশেষজ্ঞরা বলছেন। একই ফিটনেস রুটিনে আমরা যেমন বিরক্ত হয়ে যাই, তেমন আমাদের মন ও শরীরও তাতে অভস্থ হয়ে ওঠে। ফলে একটা সময় পর তারা সঠিক ভাবে কাজ করে না। আর সেইজন্যই মাঝে মাঝে অভ্যাসের বাইরে কিছু করা খুবই প্রয়োজনীয়। আর তাই আজ পিছনের দিকে হাঁটার উপকারিতা নিয়ে লিখতে বসে গেলাম।
পিছনের দিক করে হাঁটলে উপকার যেমন আছে তেমন অভ্যাসের বাইরে নতুন কিছু করার মজাও রয়েছে। যা শরীর আর মনকে সহজেই রিল্যাক্স করে। পাশাপাশি এদের কাজ করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।
মানসিক কি কি উপকারিতা আছে
- মানসিক দিক দিয়ে শারীরিক সচেতনতার বৃদ্ধি করে।
- কোন রকমের অবসাদ থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে।
- নিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করে, ফলে ঘুমের সমস্যা থাকে না।
- আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ফলে নিজের কম্ফট জোনের বাইরে কিছু করার সাহস পায় মন।
- চিন্তাশক্তি প্রখর হয়, ভাবনার পরিসর বেড়ে যায়। নতুন কিছু করার ইচ্ছে আরও বাড়ে।
শারীরিক কি কি উপকারিতা আছে
- পায়ের মাংসপেশীর স্ট্রেনথ বা শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- পায়ের ব্যাথা বা পুরনো আঘাত থেকে দ্রুত আরাম পেতে হেল্প করে।
- হাঁটার ক্ষমতা বাড়ে। যা শরীরকে নানা ভাবে সাহায্য করে। পায়ের ব্যালেন্স নষ্ট হতে দেয় না।
- হেলদি ওয়েট বা ওজন বজায় রাখতে হেল্প করে।
- মাংসপেশীর পাশাপাশি হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
- হজম শক্তি বা মেটাবোলিজম বাড়ায়।
- পিছনের দিকে হাঁটলে ক্যালোরি বার্ন হয়। যা আপনার আমার অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে আমাদের অজান্তেই।
পিছনের দিকে কিভাবে হাঁটবেন
- আমরা নর্মাল যেমন সামনের দিকে হাঁটি ঠিক সেই ভাবেই পিছনের দিকে হাঁটবেন।
- প্রথম প্রথম হাঁটতে একটু অসুবিধা হবে তারপর অভ্যাস হয়ে গেলে আসতে আসতে স্পিড বাড়াবেন।
এটি সকালে বা বিকেলে জগিং করার সময় ৩০ মিনিট করে করবেন। যারা কোন রকমের এক্সাসাইজ করার সময় পান না। তারা অন্তত এই একটি কাজ নিজের জন্য সময় বের করে করুন। দেখবেন হাজার একটা শারীরিক সমস্যা থেকে সমাধানের পথ বেরিয়ে আসছে।
মন্তব্য করুন