লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, তাই লেবুর তৈরি আচার খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে থাকা পেকটিন এবং ফাইবার খাবার হজমে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
লেবুর টক বা মিষ্টি দুরকমেরই আচার তৈরি করা যেতে পারে। যদি আপনার আচার ছাড়া যেকোনও খাবার স্বাদহীন বলে মনে হয় এবং আপনার মায়ের হাতের তৈরি আচারের স্বাদ মনে পড়ে, তাহলে মন খারাপের কোনও দরকার নেই। কারণ আজ আমরা শিখবো একেবারে মায়ের হাতে তৈরি লেবুর সুস্বাদু আচার।
লেবুর মিষ্টি আচার তৈরি করতে যা যা লাগবে
- কাগজি লেবু- ২৪ টুকরো (প্রায় ১ কেজি)
- নুনের পাউডার- ৬ টেবিল চামচ (প্রায় ১২০ গ্রাম)
- গুড়- ১২০০ গ্রাম
- লাল লঙ্কার গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ
- ছোট এলাচ-১০টি
- গরম মশলা- ২ টেবিল চামচ
- কালো নুন- ৪ টেবিল চামচ
- আদার গুঁড়ো- ২ টেবিল চামচ
লেবুর মিষ্টি আচার বানানোর প্রণালী
প্রথমে বাজার থেকে দাগ-বিহিন ভালো জাতের কাগজি লেবু কিনে নিন। তারপর লেবুগুলি ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার কাপর দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। এরপর এক একটি লেবু কেটে ৪ বা ৮ টুকরো করে কেটে নিয়ে বীজগুলো ফেলে দিন।
এবার সব লেবু এক গ্লাসের পাত্রে রেখে তাতে নুন দিন। জারের ঢাকনাটি টাইট করে বন্ধ করে দিয়ে ১৫ দিনের জন্য এটি কড়া রোদে রেখে দিন।
এই ১৫ দিনের মধ্যে, একদিন অন্তর অন্তর কাঠের চামচ দিয়ে লেবুগুলিকে উপর-নীচ করতে থাকুন। এইভাবে ১৫ দিনের পরে, লেবুর খোসা নরম হয়ে যাবে।
১৫ দিন পরে লেবু গলে যাবে এবং আচার তৈরির জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এবার একটি প্যানে ১ কাপ জল দিয়ে তাতে গুড় দিয়ে গ্যাসের ওপর বসিয়ে দিন। গুড় যতক্ষণ না গরম হয়ে গলে যাচ্ছে, ততক্ষণে এলাচ গুঁড়ো করে নিন।
তারপর গুড়ের রসে লেবু, গরম মশলা গুঁড়ো, এলাচ গুঁড়ো, কালো নুন এবং আদা গুঁড়ো মিশিয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসছে। সিরাপ ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে আচারটি ঠান্ডা হতে দিন।
এখন আচারটিকে ওই কাঁচের জারে ভরে শক্ত করে ঢাকনা আটকে দিন। আপনার মিষ্টি লেবুর আচার তৈরি।
আচার তৈরির সময়ে যে সাবধানতা অবলম্বন করবেন
- আচার সর্বদা কাঁচের জারে রাখতে হবে। এটি প্লাস্টিকের পাত্রে রাখলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে আচারের পুষ্টিমাত্রা কমে যায়।
- এটি রাখার আগে পাত্রটি ভালো করে শুকিয়ে নেওয়া দরকার। তা না হলে ছত্রাক জন্ম নিতে পারে।
- আচার বার করার সময়ে কাঠের চামচ ব্যবহার করা ভালো।
- আচারের পাত্রে কখনও ধাতুর চামচ রেখে দেওয়া উচিত নয়, এতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে আচারটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- উপরের সাবধানতাগুলি অবলম্বন করলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আচার সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
মন্তব্য করুন