সামনেই ক্রিসমাস,তারপর নিউ ইয়ার পার্টি।আরও কত কি!শীতে এখন পার্টি লেগেই থাকবে।তার জন্য ড্রেসও রেডি।কিন্তু সমস্যা হল ড্রেসটা মনের মত পরলেও,তার সাথে মানানসই মেকআপ করা নিয়ে কিন্তু বেশ কনফিউশন হয়।যেমন কমপ্যাক্ট লাগাবো নাকি লাগাবো না।লাগালে মুখটা আরও শুকিয়ে যাবে।কিন্তু না লাগালে আবার মেকআপটা ঠিক কমপ্লিট হবে না।আসলে ঠিক কিভাবে মেকআপ করলে মুখটাও শুকিয়ে যাবে না আবার সেই লুকটাও পাওয়া যাবে,এই প্রশ্ন নিশ্চয়ই মনে আসে?আপনাদের এই প্রশ্নের সমাধান দিচ্ছেন কেয়া শেঠ।কারণ আজ শেয়ার করছি কেয়া শেঠের শীতের এক্সক্লুসিভ মেকআপ টিপস।চটপট দেখে নিন কিভাবে করবে শীতের মেকআপ।
সুন্দর মেকআপের জন্য দরকার স্কিনকে রেডি করা।নাহলে কিন্তু যত ভালোই মেকআপ ব্যবহার করুন না কেন,লুকটা কিন্তু তেমন আসবে না।আর স্কিনকে রেডি করার জন্য প্রথমেই যেটা দরকার সেটা হল স্কিনকে ভালো ভাবে পরিষ্কার করা।পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার দরকার কারণ মেকআপের পর স্কিন শুকিয়ে গেলে কিন্তু মুখ কালো প্রাণহীন লাগবে।তাই হালকা ময়েশ্চারাইজার অয়েল ফ্রী ভালো,যেটা মুখকে ময়েশ্চারাইজড রাখবে,অথচ মুখ তেলতেলে হবে না।এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন কেয়া শেঠের টেট কন্ডিশনার।এটা চুলে লাগানোর কন্ডিশনার নয়,এটা আপনার স্কিনের ময়েশ্চারকে ধরে রাখবে একদম তেলাভাব ছাড়াই।
শীতে একটু ভারী মেকআপ করতেই পারেন যেটা গরমকালে সম্ভব হয় না।স্কিনকে রেডি করার পর লাগান ফাউণ্ডেশন।দিনের মেকআপ যদি হালকা পছন্দ হয়,তাহলে ব্যবহার করতে পারেন লিকুইড ফাউণ্ডেশন বা ভালো CC ক্রিম।এতে একটাতেই সব কাজ হবে।মেকআপও হবে আবার এটা সানস্ক্রিনের ও কাজ করবে।অর্থাৎ দিনে আলাদা করে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে না।আর রাতের মেকআপ তো অবশ্যই ভারী হবে।তাই এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন প্যান স্টিক বা প্যান কেক।কেয়া শেঠের লিকুইড ফাউণ্ডেশন থেকে প্যান স্টিক বা প্যান কেক সবই পাবেন।
মুখে যদি দাগ বা চোখের তলায় কালি থাকে তাহলে,ফাউণ্ডেশনের পর কন্সিলার লাগাতে ভুলবেন না।নিজের স্কিন টোনের সাথে ম্যাচ করে কিনুন।কন্সিলার লাগানোর পর,মেকআপকে স্কিনে ধরে রাখার জন্য লাগাবেন ট্রান্সুলেন্ট পাউডার।এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন কেয়া শেঠের মেকআপ ফিক্স-ট্রান্সুলেন্ট পাউডার যেটা মেকআপকে স্কিনে ঠিক ভাবে বসতে সাহায্য করবে।আর একটা এক্সট্রা গ্লো অ্যাড করবে।আর যদি ব্লাশন লাগাতে চান তাহলে,পীচ,লাইট পিঙ্ক,চেরি ভালো লাগবে।
আই মেকআপ খুব ইম্পরট্যান্ট একটা পার্ট।প্রথমে আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন।শীতে যা খুশী রঙ দিয়ে চোখকে সাজাতে পারেন।বিশেষত যে রঙগুলো গরমকালে ব্যবহার করতে পারছিলেন না।যেমন সিমারি গোল্ড,সিলভার আইশ্যাডো সেগুলো শীতে অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন বা ব্ল্যাক আইশ্যাডো দিয়ে চোখকে করতে পারেন আরেকটু বোল্ড।
এরপর লাগান লাইনার।চোখকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন শীতে।এর জন্য সাদা পেনসিল দিয়ে প্রথমে নীচের লাইনে সরু করে লাইন টেনে নিলেন,তারপর কালো লাইনার তার ওপর আরেকটা লাইন।আর ওপরের পাতার জন্য ব্ল্যাক রঙই বেশি ভালো লাগবে।জেল বা লিকুইড আইলাইনার শীতের জন্য বেশি ভালো।তারপর ঘন করে ওপরের পাতায় মাস্কারা,আর নীচের পাতায় জাস্ট হালকা করে একবার চোখকে আরও ফুটিয়ে তোলার জন্য।আর আইব্রোকেও হাইলাইট করতে ভুলবেন না।
শীতকালে ঠোঁট তো ফাটবেই।তাই আগে লিপবাম লাগিয়ে নিন।এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন কেয়া শেঠের লিপবাম।পাঁচ রকম লিপবাম পেয়ে যাবেন কেয়া শেঠের যেটা সারাদিন ঠোঁটকে রাখবে তুলোর মত নরম।তারপর ঠোঁটের আউটলাইনটা এঁকে নিন লিপ লাইনার দিয়ে।তার ওপর লিপগ্লস লাগাতে পারেন বা আরও পারফেক্ট ভাবে ঠোঁট হাইলাইট করতে,লিপস্টিক লাগিয়ে তার ওপর লিপগ্লস লাগাতে পারেন।শীতে যে কোনো গাঢ় রঙই ভালো লাগে।বিশেষত ডিপ রেড দারুণ লাগে শীতে।
শীতই হল মনের মত করে মেকআপ করার ও নিজেকে সাজিয়ে তোলার আদর্শ সময়।মেকআপ গলে যাবার সম্ভবনা নেই।তাই যত খুশী সাজিয়ে তুলুন নিজেকে।তবে হ্যাঁ নিজেকে যেমন মানাবে সেরমই সাজুন।আর এক্সপার্ট টিপস তো রইলই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…