দুধ তো আমরা সবাই খাই। গরুর দুধ, মহিষের দুধ কিন্তু কখনও নারকেলের দুধ খেয়েছেন কি? অবাক লাগছে? ভাবছেন এটি তো রান্নায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই নারকেলের দুধও সপ্তাহে দু তিন দিন ডায়েট চার্টে যোগ করতে পারেন। কারণ অন্যান্য দুধের মত এই দুধেও আছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আমাদের সুস্থ ভাবে বেছে থাকার জন্য খুবই দরকারি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে নারকেলের দুধে।
নারকেলের দুধে থাকে প্রচুর প্রোটিন, আর বিভিন্ন ভিটামিন যেমন, ভিটামিন-সি,ই, বি-১, বি-৩, বি-৫ এছাড়াও আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আরও অনেক পুষ্টিগুণ।
বয়স বাড়লে হাড়ের জোড় কমে আসা একটি সাধারন সমস্যা। মেয়েদের এই সমস্যা বেশি হয়। এই সমস্যার ক্ষেত্রে নারকেলের দুধ বেশ উপকারি। কারণ এক কাপ নারকেলের দুধে আছে ৩৮ গ্রাম ক্যালসিয়াম। এছাড়াও আছে ফসফরাস। যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। হাড়ের শক্তি বাড়ায়।
অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থেকে নানা সমস্যা হয়। রক্তের এই অতিরিক্ত কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে নারকেলের দুধ। এতে আছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায় ও খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। যার ফলে হার্ট ভালো থাকে। ও হার্টের বিভিন্ন অসুখ থেকে হার্টকে বাঁচিয়ে রাখে।
নারকেলের দুধ হল ম্যাগনেসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এক কাপ দুধে ৮৯ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এটি শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। যা শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে ভালো রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এবং শরীরকে ভেতর থেকে সতেজ রাখে।
নারকেলের দুধে ফ্যাট থাকলেও সেটি উপকারি ফ্যাট। তার ফলে ওজন বাড়ে না। বরং নারকেলের দুধ খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরতি থাকে। তার ফলে খিদে কম পায়। আর এতে আছে প্রচুর ফাইবার যা শরীরকে ফিট রাখে এবং অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মেয়েদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। তার ফলে হাড়ের জোড় কমে আসে। ও নানান হাড়ের সমস্যা দেখা যায়। নারকেলের দুধ এই সকল হাড়ের সমস্যার ক্ষেত্রে বেশ উপকারি। হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যাথার ফলে হাঁটার শক্তি একেবারে চলে যায়। এই সমস্যা রোধ করে নারকেলের দুধ। জয়েন্ট পেইন কমায়।
নারকেলের দুধে থাকা বিভিন্ন রকম ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরকে বাইরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার হাত থেকে বাঁচায়। এমনকি এইচ আই ভি ভাইরাসের হাত থেকেও দেহকে রক্ষা করে। প্রায়ই জ্বর সর্দি কাশি ঠাণ্ডা লেগে যাবার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে।
নারকেলের দুধ শরীরের সাথে সাথে চুলের জন্যও বেশ উপকারি। যদি একটু নারকেলের দুধ নিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করা যায়, তাহলে চুল অনেক বেশি নরম হয়। এটি চুলকে কন্ডিশনিং করে। তার ফলে রুক্ষ চুল, চুল ফেটে যাওয়া, চুলে জট পরা এসব সমস্যার সমাধান হয়। তার সাথে সাথে চুলের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে। সহজে চুল না বাড়লে না, তারা এই দুধ লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
রোদে পুড়ে খুব ট্যান পরে গেছে? ব্যবহার করতে পারেন নারকেলের দুধ। ট্যান পরে যাওয়া অংশে একটু নারকেলের দুধ একটু খানি ম্যাসাজ করে সারারাত রেখে দিন। উপকার পাবেন। শুধু ট্যানের সমস্যাই নিয়ন্ত্রন করে না। ত্বকের বার্ধক্যকে রোধ করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে ভেতর থেকে ফ্রেস রাখে। এজিং প্রসেসকে নিয়ন্ত্রণ করে। ত্বককে রাখে টানটান।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
Niarkiler dud mani ki bujlam na.