বেকিং সোডা বা যার ভালো নাম সোডিয়াম বাইকার্বোনেট আমাদের জীবনের অনেক মুশকিল আশান করে খুব সহজে। স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব কাজেই এই বেকিং সোডা ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। আসুন না আজ জেনেনি বেকিং সোডা কি কি ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে বেকিং সোডা নানা ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। আসুন দেখে নি তার কিছু নমুনা।
মুক্তোর মতো জকঝকে সাদা দাঁত কে না চায়। বেকিং সোডা এই মুক্তোর মতো সাদা দাঁত পেতে সাহায্য করে। টুথ পেস্টের বদলে মাঝে মাঝে বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মাজলে পেয়ে যেতে পারেন মুক্তোর মতো সাদা দাঁত।
একগ্লাস জলে ১ চা চামচ বেকিং সোডা ভালো করে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মাউথ ফ্রেশনার এর মতো কাজ করে। অনেকসময় গরম কালে আমাদের ত্বক এ নানা রকমের ইনফেকশন হতে দেখা যায় বা অনেক সময় শীত কালে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। স্নানের জলে এককাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিলে এইসব সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ছোট বাচ্ছাদের আমরা আজকাল প্রায় সবসময় ডাইপার থাকতে দেখি। এর ফলে অনেক সময় ছোট বছরের নরম ত্বকে ইনফেকশন হয়ে যেতে দেখি। বাচ্ছাদের স্নান করানোর সময় জলে ২ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। পায়ের পাতার যত্ন নিতেও বেকিং সোডার জুড়ি নেই। উষ্ণ গরম জলে ৩ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এবার পায়ের পাতা জলে কিছুক্ষন চুবিয়ে রাখুন। এতে আপনার পায়ের পাতাটি নরম এবং মসৃন হয়ে উঠবে।
পোকা মাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা হয় যেমন চুলকানো বা লাল হয়ে ফুলে ওঠা। উষ্ণ গরম জল এবং বেকিং সোডা পেস্ট বানিয়ে সেটি লাগিয়ে কিছুক্ষন রাখলে আপনি আরাম পেতে পারেন।
ট্যান হওয়ার ফলে আমাদের ত্বকে নানা রকমের সমস্যা হয়। বেকিং সোডা তা উপশমের কাজেও ব্যবহার করা যায়। ১ বা ২ চা চামচ বেকিং সোডা ১ কাপ ঠান্ডা জলে মিশিয়ে নিন। এবার একটি পরিষ্কার কাপড় বা টাওয়াল জলে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। এবার সেটি ট্যান হয়ে যাওয়া অংশে কিছুক্ষন রেখে দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এটি ট্যানের প্রভাবকে কম হতে সাহায্য করে।
এক চা চামচ বেকিং সোডা ,১ চা চামচ লেবুর রস ,৩ থেকে ৪ ফোটা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের মিশ্রণ বানিয়ে মুখে মাখুন। ৪ থেকে ৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার মিশ্রণটি ব্যবহার করলে স্কিন টোনের অসামঞ্জস্যের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। অনেকের পায়ের নখের ভেতর অনেক সময় ময়লা জমে। এর ফলে নখটি যেমন দেখতে খারাপ লাগে তেমনই ইনফেকশন এর ভয় থাকে। জলে ১বা ২ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে সেটি নখে লাগালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
চুলের রুক্ষতা বা অতিরিক্ত তেলাভাব দূর করতে বা খুশকি দূর করতে বেকিং সোডা অত্যন্ত্য উপকারী। আমরা যে ফল বা শাকসবজি খাই বেশির ভাগ সময়েই তাতে পেস্টিসাইড ,ধুলো বা মোমের প্রলেপ থাকে। যা অত্যন্ত্য ক্ষতিকারক। একটি পাত্রে ঠান্ডা জল রেখে তাতে ২ বা ৩ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে দিন। এই জলে ফল ও সবজি খাওয়ার আগে ধুয়ে নিলে ক্ষতিকারক জিনিস গুলি ধুয়ে যায়।
শরীর এর যত্ন নেওয়ার সাথে সাথে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেকিং সোডা নানা ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে।আসুন দেখে নেওয়া যাক এক্ষেত্রে বেকিং সোডা আমাদের কি কি উপকারে লাগে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…