দুধ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এবং জরুরী। দুধের ভিতর ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম,আয়োডিন,ভিটামিন ডি ইত্যাদি থাকে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বাচ্চাদের দুধ খাওয়া খুবই দরকারী। জন্মানোর পরই নবজাত শিশুদের দুধ দেওয়া হয়। দুধের মত পুষ্টিকর খাবার খুব কমই আছে। দুধ আমাদের হাড়, পেশী,দাঁতকে ভালো রাখে। আমাদের ত্বকেরও উন্নতি করে দুধ। গরুর দুধ হল মা এর দুধের পর সবচেয়ে উপকারী। দুধের অনেক উপকারী গুন। তাহলে আজ বিস্তারিত ভাবে জানা যাক দুধের বিভিন্ন অতুলনীয় উপকারীতাগুলি।
ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি থাকে যা আমাদের দাঁত আর হাড়কে শক্তিশালী বানায়।অস্টেওপরোসিসের সম্ভাবনাকে কমিয়ে তোলে। হাড়ের এক প্রধান উপকরণ হলো ক্যালসিয়াম। হাড়ের বেশির ভাগ অংশেই ক্যালসিয়াম থাকে। দুধে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে যা আমাদের হাড় আর দাঁতের জন্য খুবই জরুরী। ৩০বছর বয়েসের পর আমাদের হাড় দুর্বল হতে থাকে। আজকাল আমরা প্রচুর মানুষজনদের দেখতে পাই যারা অস্টেওপরোসিসের মতো রোগে ভুগছেন। দুধ আমাদের হাড়কে শক্ত বানায়। অস্টেওপরোসিস রোগ কিন্তু হাড়ে ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি এর অভাব থাকার ফলে হয়। আর যেহুতু দুধ ক্যালসিয়ামের উৎস তাই অবশ্যই দুধ খাওয়া জরুরী আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য।
দুধে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে যা আমাদের শরীরের কোষের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন ডি আমাদের ক্যান্সারের থেকে সুরক্ষা যোগায়। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট একটি গবেষণার মাধ্যমে দাবি করেছে যে দুধ ওভারিয়ান ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে কমায়। তাই দুধ খাওয়া খুবই ভালো অভ্যাস। কোলন ক্যান্সারের রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে দুধ।
দুধে আয়োডিন থাকে যা আমাদের থাইরয়েডের মতো রোগ থেকে সুরক্ষা যোগায়। থাইরয়েডে আজকাল ভুগছেন প্রায় কম বেশি মানুষ। থাইরয়েড রোগটি কিন্তু আয়োডিনের অভাবে দেখা দেয়। তাই যদি রোজ দুধ খাওয়া যায় তা আমাদের থাইরয়েডের মতো রোগের থেকে দূরে থাকতে পারি।
ল্যাকটিক আ্যসিড এবং আ্যামাইনো আ্যসিড থাকে যা আমাদের ত্বককে উজ্বল করে তোলে। ধুলো বালি আমাদের ত্বকের উপর জমা হয় এবং আমাদের ত্বকের পোর্সকে বন্ধ করে দেয়। ফলে আমাদের ত্বকের সাংঘাতিক ক্ষতি হয়ে যায়। যা দামি ক্রিম কোনো ভাবেই সারিয়ে তুলতে পারে না। এই সমস্যার থেকে বাঁচার জন্য দুধ খাওয়া খুবই ভালো অভ্যাস।
দুধের মধ্যে ল্যাকটিক আ্যসিড এবং আ্যামাইনো আ্যসিড থাকে যা আমাদের ত্বককে রক্ষা করে এবং উজ্বল করে তোলে। আমাদের শুষ্ক ত্বককে দুধ মসৃণ করে তোলে। দুধে ভিটামিন এ থাকে যা আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ত্বকের উপর দুধের সাথে মধু মিশিয়ে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল আর মসৃণ হয়ে ওঠে।কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে দুধ ও মধুর মিশ্রণ তা যেন অন্তত ১৫ মিনিট রাখা হয়ে ত্বকের উপর।
আমরা অনেকেই শুনে এসেছি রাত্রিবেলা উষ্ণ গরম দুধ খেলে ভালো ঘুম হয়। আমরা কিন্তু খুঁজে বের করার চেষ্টা করিনি যে তা সত্যি কিনা। অবশ্যই উষ্ণ গরম দুধ নিদ্রা এনে দেয়। দুধের মধ্যে ট্রিপটোফ্যান থাকে। যখন আমাদের ব্রেনে তা পৌঁছায় তখন সেরটিন বলে একটি পদার্থের উন্মোচন করে যার ফলে আমাদের ব্রেন চাপমুক্ত হয়ে যায়। আর আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারি। যারা অনিদ্রা থেকে ভুগছেন তারা অবশ্যই প্রতি রাতে গরম দুধ খেয়ে দেখতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…