সর্ষে বা রাই পোস্তর মতোই সমান ভাবে জনপ্রিয়। আমাদের দেশ ছাড়াও এটি বিদেশী খাবারে ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় উপাদান। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে সর্ষে আমাদের শরীরকে নানাভাবে উপকৃত করে। এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম বর্তমান। এছাড়া এতে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। ফলত স্বাভাবিক ভাবেই এটি শরীরের জন্য সুফলদায়ী। আসুন দেখে নিই এর উপকারিতা।
১. ক্যান্সার প্রতিরোধক
সর্ষে দানায় গ্লুকোসিনোলেটস এবং মিরোসাইনাস(মিরোসিনসি) কম্পাউন্ড বর্তমান যা আমাদের শরীরে ক্যান্সার এর কোষগুলিকে বৃদ্ধি পেতে দেয় না। এছাড়া সেলেনিয়াম থাকার জন্য এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
২. মেনোপজ সংক্রান্ত সমস্যা
সর্ষে দানায় প্রচুর পরিমানে মিনারেলস যেমন ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার, আয়রণ সেলেনিয়াম ইত্যাদি থাকার জন্য এটি আমাদের শরীরে রক্ত চাপকে স্বাভাবিক রাখে। এটি মেনোপজ সংক্রান্ত সমস্যাকে দূর করে।
৩. এস্থেমা
নিয়মিত এবং পরিমান মতো সর্ষে সেবন এস্থেমা রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে পারে। এর জরুরি মিনারেলস যেমন পটাশিয়াম, কপার, সেলিনিয়াম আয়রণ এস্থেমা এটাক এর প্রবণতা কে কম করে।
৪. স্কিন ডিসিস
সর্ষে psoriasis নামক রোগ কে সরিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
এটি এক ধরণের স্কিন ডিসিস যা বড়দের হয়ে থাকে। এটি জীনগত কারণে বা ধুলোবালি লাগার কারণে হয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের স্কিনে নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে। এটি সহজে সরানো যায় না। এর ফলে স্কিনে লাললাল ছোপ, চুলকানি ইত্যাদি হতে থাকে। সর্ষের মধ্যে থাকা উপাদান গুলির জন্য এটি আমাদের এই রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে বা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
৫. শরীরে বিষক্রিয়া কম করে
সর্ষে তে উপস্থিত প্রোটেক্টিভ ইমেটিক আমাদের শরীরে যে কোনো রকম বিষক্রিয়াকে কম করতে সাহায্য করে। ড্রাগস সেবন বা অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে শরীরে যে বিষক্রিয়া হয় সর্ষে তা কম করতে বা পুরোপুরি নষ্ট করতে সহায়ক।
৬. মাইগ্রেন
আমাদের খাদ্যে পটাসিয়াম এর অভাবে মাইগ্রেন নামক রোগটি হয়ে থাকে। আজকাল এর প্রকোপ খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। সর্ষে দানায় প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, এছাড়া ওমেগা ৩ থাকার জন্য সর্ষে মাইগ্রেন রোগ সারাতে কার্যকরী।
৭. আর্থরাইটিস
সর্ষে দানায় প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম ও সেলেনিয়াম থাকে। ফলত এটি আমাদের রিউমেটিক আর্থরাইটিস হওয়ার প্রবণতা কে কম করে।
৮. ত্বক ও চুল
সর্ষে আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।
সর্ষে দানা ভিটামিন এ, ভিটামিন কি, ভিটামিন কে এর অফুরন্ত ভান্ডার। ফলত এটি আমাদের ত্বককে নানা ভাবে উপকৃত করে।
সর্ষে দানা গোলাপ জলের সাথে মিশিয়ে মুখে মাখলে আমাদের ত্বক গভীর ভাবে পরিষ্কার করে। এবং মৃত কোষ গুলিকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে।
এছাড়া এলোভেরা মিশিয়ে মুখে মাখলে আমাদের ত্বককে নমনীয় ও সতেজ করে তোলে। এর ভিটামিন উপাদানগুলি আন্টি এজিং হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমানে সালফার থাকার জন্য এটি আন্টি ফাঙ্গাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলত দাদ বা অন্য যেকোনো রকম ইনফেকশন এর প্রভাবকে তাড়াতাড়ি কম করতে সাহায্য করে।
সর্ষে দানা থেকে যে তেল পাওয়া যায় তাতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে।
যা চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই দানায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ওমেগা ৩, ওমেগা ৬ আমাদের চুলকে মজবুত করে, চুল পড়া কম করে এছাড়া ফ্যাটি অ্যাসিড গুলি চুলকে মসৃন ও উজ্জ্বল করে তোলে।
তবে সর্ষের অতিরিক্ত সেবন আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। অতিরিক্ত সর্ষে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর গরম হয়ে যেতে পারে এছাড়া হজমের সমস্যা তৈরী হয়। যাদের অতিরিক্ত ত্বক অতিরিক্ত সেন্সিটিভ তাদের সর্ষে মুখে না লাগানোই ভালো। এছাড়া সর্ষে যদি ভালো করে রান্না না হয় বা কাঁচা থেকে যায় তাহলে তা থাইরয়েড হওয়ার সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়া কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা তৈরী হয়। এছাড়া অতিরিক্ত সর্ষে(কালো ) খাওয়ার ফলে গর্ভপাত হতে পারে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…