বয়সের আগেই স্কিন বুড়িয়ে যাচ্ছে? স্কিন দেখে মনে হচ্ছে অনেক বয়স? এসব থেকে মুক্তি পাবার জন্য অহেতুক অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার করি। কিন্তু শুধু অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার করলেই কি সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে? আরও কিছু টিপস মেনে চলা দরকার প্রতিদিন। তাহলেই স্কিন এজিং থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অল্প বয়স থেকেই অ্যান্টি এজিং ক্রিম মাখা ঠিক নয়। তবে স্কিন এজিং কিন্তু স্কিন টাইপ, লাইফস্টাইল এসবের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। যেমন, খুব বেশি ড্রাই স্কিন হলে রিংকেলস, ফাইন লাইনস এসব সমস্যা বেশি দেখা যায়। বা স্কিন এজিং তাড়াতাড়ি আসে। তাই স্কিন খুব ড্রাই হলে, ২৫ বা ২৬ থেকে অ্যান্টি এজিং ক্রিমের ব্যবহার শুরু করা যায়। নাহলে ৩০ এর পরই ব্যবহার করা ভালো।
খুব বেশি প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো। চোখের চারপাশটা দেখে আগে স্কিন এজিং বোঝা যায়। চোখের চারপাশটা আগে কুঁচকে যায়। তাই বিভিন্ন আন্ডার অ্যাই ক্রিম, সিরাম ব্যবহার করা ভালো। যাতে চোখের চারপাশটা না কুঁচকে যায়। এবং এস.পি.এফ. যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ভালো। এমন মেকআপ বা ক্রিম ব্যবহার করুন যাতে এস.পি.এফ. থাকে।
বয়স তিরিশ পেরলে আস্তে আস্তে স্কিনের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা কমতে থাকে। স্কিন ঝুলে যাওয়া, কুঁচকে যাবার প্রবণতা দেখা দিতে থাকে। তাই তখন ডায়েটের দিকে একটু বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। লাইফ স্টাইলের দিকে নজর দেওয়া দরকার। একটা রুটিন লাইফ স্টাইল মেনে চলুন। কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন যা স্কিন এজিং এর জন্য উপকারী। বেশি করে রোজ মরশুমি সবরকম ফল, শাকসবজি আর প্রচুর জল খান। এবং নিয়মিত অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার করুন।
স্কিন এজিং রোধে আগে দরকার সঠিক খাবার বেছে নেওয়া। তাই সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে চলুন। ডায়েটে যেন প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন এ। স্কিন সুন্দর রাখতে বেশি করে খান কাঁচা হলুদ, ডার্ক চকোলেট। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট চার্ট মেনে চলুন।
প্রতিদিন উপযুক্ত বিশ্রাম নিন। স্কিনকে তরতাজা রাখতে উপযুক্ত বিশ্রাম অবশ্যই দরকার। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার।
ধূমপান নয় আর যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে সেটি ত্যাগ করতে হবে। দেখা গেছে বেশি ধূমপান তাড়াতাড়ি স্কিন এজিং ডেকে আনে।
অবশ্যই রোদে বেরবার আগে সানস্ক্রিন লাগান। কারণ ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি থেকে খুব তাড়াতাড়ি স্কিন এজিং আসে। প্রতিদিন স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করা দরকার। তাই প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার মাখুন। আর স্কিনকে পরিষ্কার রাখুন। কারণ ক্রমাগত স্কিনে ময়লা জমতে থাকলে স্কিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটাও স্কিন স্কিন এজিং ডেকে আনে।
স্কিন এজিং থেকে দূরে থাকতে রোজ এই টিপস গুলো মাথায় রাখুন। ব্যাস তাহলে স্কিন দেখে আপনার আসল বয়সটা আর কে বুঝবে!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…