শীতকাল আসা মানেই নানা রকম সমস্যা শুরু হয়ে যাওয়া| ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক ও জেল্লাহীন হয়ে যাওয়া, পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, এছাড়া সর্দি-কাশি ইত্যাদি তো আছেই| কিন্তু সবথেকে বেশী এই সময় যে সমস্যাটি হয় তা হল চুল পড়ে যাওয়া| শীতকাল আসতে না আসতেই চুল রুক্ষ-শুষ্ক ও গোড়া আলগা হয়ে গিয়ে ঝরে পড়ে|
এগুলি কিন্তু সব ঘটে শরীরে পুষ্টির অভাবে| আপনি যতই এই সময় হেয়ার প্যাক, হেয়ার কাট বা হেয়ার স্পা করান, আপনার শরীর যদি পৌষ্টিক আহার ঠিকমতো না পায়, তাহলেই কিন্তু এই মরশুমে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়| তাই আজকের লেখা পরে আগে থাকতেই জেনে নিন শীতকালে চুল পড়া আটকানোর জন্য কী ধরনের পুষ্টিকর আহার আপনি খাবেন|
শীতের মরশুমে আমাদের শরীরের বিশেষ দেখভালের প্রয়োজন হয়| তা না হলেই কিন্তু নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয়| আজ আমি আপনাদের বিশেষ ৫ টি খাবারের সন্ধান দেব যা আপনারা শীতকালে একটু বেশী পরিমাণে খাবেন, আর তাহলেই আপনার চুল পড়ার সমস্যা কিন্তু একেবারেই আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নেবে না|
শীতকালে প্রতিদিন সকালে ব্রেকফাস্টে একটি করে ডিম, এক গ্লাস করে দুধ খেয়ে ফেলুন| আর দুপুরে খাওয়ার পর এক বাটি দই| এই তিনটি উপাদান কিন্তু চুল পড়াকে কম তো করবেই, তার সাথে নতুন চুলও গজাতে সাহায্য করবে| এই তিনটি খাবারই বায়োটিন (biotin) দ্বারা পরিপূর্ণ যা লড়াই করে চুল পড়া কম করতে| এছাড়া এতে ভিটামিন, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি তো আছেই| সুতরাং এই শীতে ডিম, দুধ এবং দই কিন্তু মাস্ট|
শীতকাল মানেই পালং শাকের টাইম| কারণ অন্য কোনো সময় ইনি দেখা দেন না| তাই এবার শীতে খুব করে পালক পনীর, পালক চিকেন, পালং শাকের সুপ, সবজি দিয়ে পালং শাকের ঝোল খান| এই শাক আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ| আমাদের দেহে কিন্তু আয়রনের অভাবে চুল পড়ার সমস্যা হয়| এছাড়া এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও সেবাম বর্তমান, যা আমাদের চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে| তাই চুল রুক্ষ হয় না এবং চুল পড়াও বন্ধ হয়|
এতদিনে বাজারে নিশ্চয়ই মিষ্টি আলু এবং ফ্রেশ গাজর পাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে| আপনিও কিন্তু এই সবজি দুটি বাজার থেকে আনতে ভুলবেন না| কারণ চুল পড়া কম করতে হলে কিন্তু এই দু’টিই খুব জরুরী| গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে, যার অভাবে কিন্তু আমাদের স্ক্যাল্প ড্রাই হয়ে গিয়ে চুল পড়ার কারণ হয়ে ওঠে| মিষ্টি আলুতে ভরপুর পরিমানে বিটা-ক্যারোটিন থাকে যা চুলকে মজবুত করার জন্য একেবারে অপরিহার্য| তাই এবার শীতে প্রচুর পরিমাণে গাজর ও মিষ্টি আলু খান আপনার প্রিয় চুলের আয়ু বাড়াতে|
শীতের মিঠে রোদে দুপুরে খাওয়ার পর নিশ্চয়ই আপনি কমলালেবু খান| আর যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু খুব সমস্যা। কারণ ভিটামিন সি-এর অভাবে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা হয়। বিশেষ করে শীতকালে চুল রুক্ষ, ডগা ফাটা এবং চুলের গোড়া আলগা হয়ে গিয়ে চুল পড়া খুব বেশী পরিমাণে বেড়ে যায়| আর কমলালেবু হলো ভিটামিন সি-এর ভান্ডার| তাই চিবিয়েই হোক বা জুস করেই হোক চুল পড়া আটকাতে কমলালেবু আপনাকে খেতেই হবে|
এই খাদ্যটি কিন্তু বর্তমানে খুব জনপ্রিয়, তার কারণ অবশ্যই এর উপকারিতা| আপনি কিন্তু সকালের ব্রেকফাস্ট হিসেবে দই ও মধু সহযোগে এই ওটস খেতেই পারেন| এতে ফাইবার, আয়রন, জিঙ্ক ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বর্তমান, যা আপনার চুলের গোড়া মজবুত করে, চুলের ব্রেকেজ সারিয়ে তোলে| ফলে চুল পড়া কমে যায়| সুতরাং বুঝতেই পারছেন ওটস আপনার চুলের লম্বা আয়ুর জন্য কত জরুরী|
এই সব খাবার তো খেতেই হবে, তার সাথে প্রচুর জল, সিজনাল ফল, খেজুর, আখরোট, চিকেন, সবুজ শাক-সবজি, ডাল ইত্যাদিও বেশী করে খেতে হবে| এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব ঘটবে এবং তার ফলে আপনার চুলেরও স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটবে। ফলে চুল পড়া থেকে আপনি মুক্তি পাবেন সহজেই|
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…