শীত গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে।আর এই শীত পরার সময়ই যত শরীর খারাপের সম্ভবনা।তীব্র ঠাণ্ডায় জবুথবু,কিন্তু তাও নিজেকে সুস্থ তো রাখতেই হবে।তাই নিজেকে হেলদি রাখতে,কোন কোন টিপস মেনে চলবেন প্রতিদিন,চটপট চোখ বুলিয়ে নিন।
শীত মানেই নানারকম নতুন সবজির সম্ভার।আর শীতের এই মরশুমি সবজিগুলি কিন্তু শীতে শরীরকে হেলদি রাখার জন্য একান্ত দরকারি।শীতের প্রতিটা সবজিই ভীষণ উপকারী শরীরের জন্য।তবে শুধু সবজি নয়,শীতের মরশুমি ফল যেমন কমলালেবুও খুব ভালো।কমলালেবুতে আছে ভিটামিন সি যা শীতে ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।তাই শীতে প্রতিদিন একটা করে কমলালেবু খেতে পারলে,ডাক্তারের থেকে দূরে থাকা সম্ভব।এছাড়াও শীতে রোজ ভিটামিন ডি তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।তাই শীতে শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রচুর মরশুমি ফল,শাকসবজি খান।এটা শীতে সুস্থ থাকার প্রথম শর্ত।আর শুধু শাকসবজি নয়,প্রতিদিন একটা ডিম,মাছ-মাংস খান।কারণ শীতে বদহজম হবার সম্ভবনা অনেক কম।তাই অনায়াসে খান।
হেলদি খাবারের পর যেটা বলব সেটা হল পর্যাপ্ত ঘুম।কারণ সঠিক খাবার খাওয়ার পর ঠিক মত বিশ্রাম না হলে,সেই খাবার আবার হজম হবে না।তাই শরীরকে পর্যাপ্ত রেস্ট দিন।প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের দরকার।আর শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় এমনিতেই ঘুমের কোন সমস্যা হয় না।তাই ঘুমোন।আর যাদের ঘুমের সমস্যা আছে,তারা নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।জিমে যাওয়া সম্ভব না হলেও,প্রতিদিন সকালে হালকা কিছু ব্যায়াম রাত্রে ভালো ঘুমোতে সাহায্য করবে।ঘুমের সমস্যা না থাকলেও রোজ শরীরচর্চা অবশ্যই করুন।
শীতে যাদের ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে তারা মধু খান প্রতিদিন।সকালে গরমজলে দিয়ে বা রাত্রে শুতে যাবার সময় খান।এছাড়াও প্রতিদিন দুপুরে খাবার পর ১০০ গ্রাম দই খান।দই শরীরকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার হাত থেকে রক্ষা করে প্রায় ২৫ শতাংশ।এছাড়াও জ্বর,সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন চা খান।মানে আদা দেওয়া চা।যাদের ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা তারা এই ক’টি জিনিস শীতে নিয়মিত খান।উপকার পাবেন।
গরম কালে আমরা প্রচুর জল খাই,তরল জাতীয় খাবার খাই।কিন্তু শীতে অনেকেই জল তেমন বিশেষ খান না।এটা কিন্তু ঠিক নয়।শীতেও কিন্তু শরীরের জলের দরকার পড়ে।তাই শীতে প্রচুর জল খান।কারণ শীতে স্কিন শুকিয়ে যায়।তাই জল বেশি করে খেলে স্কিন ভেতর থেকে হাইড্রেড থাকবে।আর শীতে চারিদিকেই এমনিতেও শুকনো আবহাওয়া।তাই জল বেশি করে না খেলে শরীর শুকিয়ে যাবে।তাই প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার জল খান।স্কিনকে হাইড্রেড রাখুন।স্কিনকে ভালো রাখতে দিনে অন্তত দুবার ময়েশ্চারাইজার লাগান।
শীতে অনেকেরই প্রচুর সর্দি কাশির সমস্যা হয়।তাই পরিষ্কার হাতে খাবেন।আর শীতে অনেকেই ঠাণ্ডা জলে বার বার হাত ধুতে চান না।তাই ব্যবহার করুণ হ্যান্ড সানিটাইজার।এটা সবসময় সঙ্গে রাখুন।কারণ হাত থেকেই কিন্তু রোগ ছড়ায়।
তাহলে শীতে নিজেকে ভালো রাখতে এই টিপস গুলো মাথায় রাখুন।এছাড়াও শীতে বেশি করে মশলা খান।যেমন আদা,রসুন,গোলমরিচ,জিরে।বদহজম হবার সম্ভবনাও নেই,আবার উপকারও আছে।এছাড়াও নিজেকে হেলদি রাখতে আরেকটা খুব দরকারী টিপস হল,নিজেকে স্ট্রেস ফ্রী রাখা।অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।তাই নিজের মনের খেয়াল রাখা কিন্তু খুবই দরকার।শরীরের সাথে সাথে মন সুস্থ থাকলে তবেই কিন্তু ভালো থাকতে পারবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…