শীতের মিঠে রোদ যতই ভালো লাগুক,বেশিক্ষণ এই রোদ যে স্কিনের জন্য একদমই ভালো না তা আর বুঝতে নিশ্চয়ই বাকি নেই।কিন্তু রোদের ভয়ে তো আর বাড়িতে বসে থাকা সম্ভব নয়।আর যদি রোদেই আপনার কাজ হয়,তাহলে হাতে করে সানস্ক্রিন নিয়ে ঘোরাও সম্ভব নয়।তবে যেটা সম্ভব সেটা হল স্কিনের বেস্ট কেয়ার নেওয়া।তাহলেই রোদ লাগলেও স্কিন ট্যান বা ড্যামেজের ভয় থাকবে না।রোদের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে কিভাবে নেবেন স্কিনের যত্ন।দেখে নিন।
অনেকেই বাড়ি থেকে বেরবার জাস্ট একটু আগেই সানস্ক্রিন লাগান।ওই কয়েক মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না।তাই রোদে যাবার অন্তত ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখা দরকার।স্কিনকে এটা নিতে একটু সময়তো দিতেই হবে।আর সানস্ক্রিন অন্তত এস.পি.এফ ২৪ হওয়া দরকার।আরও বেশি হলে আরও ভালো।যারা সারাদিন রোদে ঘুরে ঘুরে কাজ করেন,তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি এস.পি.এফ ভালো এবং দু থেকে তিন ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন লাগানো দরকার।কিন্তু খুব বেশি রোদে বেড়িয়ে কাজ না করতে হলে,এটা দরকার নেই।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সময়ের রোদ বেশি ক্ষতিকর স্কিনের জন্য।তাই ওই সময়টা একটু এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো হয়।বিশেষত গরমকালটা।ওই সময় রোদ খুব চড়া থাকে।তাই দিনের বাকি সময়টা বাইরের কাজ করে নিতে পারলে ভালো।তবে খুব বেশি কাজ থাকলে তো বেরোতেই হবে।তাই সেই সময়ের ভরসা সানস্ক্রিন তো আছেই।বেশি এস.পি.এফ যুক্ত সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে।
শীতের রোদ হালকা হলেও,গরমের রোদ কিন্তু খুব চড়া।তাই ও সময় যতটা সম্ভব ফুলহাতা জামা প্যান্ট ভালো।যতটা স্কিনকে ঢেকে রাখা যায়,ততই ভালো।আর গোটা শরীরকে ঢেকে রাখতে,ছাতা তো অবশ্যই।
রোদের ট্যান হওয়ার হাত থেকে স্কিনকে বাঁচাতে,প্রতিদিন বেশি করে জল খান।শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেড রাখা কিন্তু খুব জরুরী।আর জল শরীরের সাথে সাথে স্কিনকেও রাখবে হাইড্রেটেড।তাই প্রচুর জল ও প্রতিদিন ফল খাওয়া দরকার যদি রোদের হাত থেকে স্কিনকে বাঁচাতে চান।
রোদের হাত থেকে স্কিনকে বাঁচিয়ে রাখতে,খাবারের দিকে মন দেওয়াও দরকার।খাবারের তালিকায় রাখুন প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।তাই বেশি করে ফল শাকসবজি খান।বিশেষ করে কালোজাম,কালোআঙুর,আপেল, পালংশাক,বিনস এগুলো খাবারের তালিকায় রোজ রাখুন।এছাড়া সব ফলেই এবং সবুজ শাকসবজিতেই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোদের স্কিন ড্যামেজ,স্কিন অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও ফ্রী রেডিকেলসের হাত থেকে বাঁচায় এবং অতিরিক্ত রোদ থেকে তাড়াতাড়ি স্কিন এজিং,রিঙ্কেলস চলে আসে।অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সেটা থেকেও স্কিনকে প্রোটেক্ট করে।এক্ষেত্রে রোজ গ্রীন টি কে সঙ্গে রাখুন।
রোদের স্কিন ড্যামেজ থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে রাখতে,রোজের একটা স্কিন কেয়ার রেজিম মেনে চলা দরকার।যেমন রোজ স্কিনকে পরিষ্কার করা।পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগানো।মুখের ক্ষেত্রে প্রথমে ক্লিঞ্জিং তারপর টোনিং তারপর ময়েশ্চারাইজিং এই তিনটি জিনিস রোজ করতে হবে।মানে প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া,তারপর টোনার লাগানো,এর কিচ্ছুক্ষণ পর সেটা ধুয়ে ফেলে ময়েশ্চারাইজার লাগানো।আর সপ্তাহে একদিন স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করা দরকার।এই এক্সফোলিয়েট ত্বকের মরা কোষকে সরিয়ে দেয়।নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে।তার ফলে ট্যান রিমুভ হয় খুব সহজে এবং স্কিন হয় হেলদি।
বাড়ির কিছু সহজ উপকরণ দিয়েই স্কিন এক্সফোলিয়েট করা যায়।
উপকরণ
১ চামচ মধু,১ চামচ চিনি ও হাফ চামচ লেবুর রস
পদ্ধতি
তিনটি উপকরণ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন।এবার এটা মুখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।একদম জোরে নয়,আস্তে আস্তে করবেন।২ থেকে ৩মিনিট ঘষে নিন,এবার এটা স্কিনে লাগিয়ে রাখুন এটা ৫ মিনিট।তারপর ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন।সপ্তাহে একদিন এভাবে স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করুন।
তাহলে বুঝে গেলেন তো রোদের হাত থেকে স্কিনকে বাঁচাতে কি কি করতে হবে।ব্যাস এগুলো প্রতিদিন মাথায় রাখুন।তাহলেই রোদ যতই থাক রোদের জন্য স্কিন ড্যামেজের চিন্তা থাকবে না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…