চুলের ক্ষেত্রে খুশকির সমস্যা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আর এই শীতের সময়ে খুশকির সমস্যা একটু বেড়েই যায়। অনেক সময়ে অনেক কিছু ব্যবহার করেই খুশকির থেকে সম্পূর্ণ ভাবে মুক্তি পাওয়া যায় না। কিন্তু আজকের প্রতিবেদনে বলা এই কয়েকটি জিনিস মেনে চললে এবার খুশকির থেকে চিরকালের মতো মুক্তি পাবেন।
রাতে শুতে যাওয়ার আগে পরিমাণ মতো টি ট্রি অয়েল মাথায় মেখে নিন। হাল্কা হাতে অবশ্যই ম্যাসাজ করবেন। তেল কিন্তু গরম করার দরকার নেই। পরের দিন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। টি ট্রি অয়েলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এক মাসের মধ্যে খুশকির সমস্যা ৪১% মতো কমিয়ে আনে।
রাতে শুতে যাওয়ার আগে নারকেল তেল মাথায় মাখতে পারলে ভাল হয়। না হলে স্নানের এক ঘণ্টা আগে মেখে নিন। কিন্তু মাখার আগে তেল অল্প গরম করে নেবেন। অল্প ম্যাসাজ করে মেখে রেখে দিন আর শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার অবশ্যই ব্যবহার করবেন। রোজ নারকেল তেল মাখলে খুব ভাল। না হলে এক ছাড়া ছাড়া অবশ্যই করুন।
অ্যালোভেরা জেল গাছ থেকে নিলে সেটা মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন আগে। আর দোকান থেকে জেল কিনলে তো খুবই ভাল। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট লাগিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এটি সপ্তাহে তিন দিন করলে খুব ভাল।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার স্ক্যাল্পে আর চুলে খুব ভাল করে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট মতো রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। অবশ্যই ভাল কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। সপ্তাহে দুই দিন এটি করলেই হবে।
বেকিং সোডা আর অলিভ তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন আর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে এক দিন একটা করলেই খুশকি থেকে সহজে মুক্তি পাবেন।
দুটি উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। স্নানের এক ঘণ্টা আগে চুলে লাগিয়ে রেখে দিন। তেল গরম করার দরকার নেই। তারপর ভাল কোনও শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে দিন। এক দিন বাদ দিয়ে দিয়ে এটি করুন।
মেথির বীজ আগের দিন সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন এটি বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এর মধ্যে অলিভ, নারকেল, জোজোবা যে কোনও তেল দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে চুলে লাগান আর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিন দিন করলেই হবে।
শুধু টক দই দিয়েই খুশকির সমস্যা কম করা সম্ভব। টক দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তারপর তা স্ক্যাল্পে, চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। মাসে সুই থেকে তিন বার করলেই হবে।
নিম পাতা জলে খানিক সেদ্ধ করে নিন। তারপর সেই নিম পাতা বেটে তার থেকে রস বের করে নিন। এই রস চুলে আর স্ক্যাল্পে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু না করলেও চলবে। আপনি চাইলে নিম তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
শীতের সময়ে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। কমলালেবুর খোসা অল্প শুকিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। অনলাইনে অরেঞ্জ পিল পেয়ে যাবেন, তাও ব্যবহার করতে পারেন। এই খোসার সঙ্গে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে সেটি জল দিয়ে বেটে নিন। এই মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করলে খুব ভাল ফল পাবেন। শুধু ১৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিন, তাহলেই হবে।
আগে ভিনিগার অল্প গরম করে নিন। এর মধ্যে ভিনিগারের অর্ধেক জল নিন আর দুটো উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে, চুলে দিয়ে ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু না করলেও চলবে। সপ্তাহে তিন দিন করলেই হবে।
গন্ধ সহ্য করে নিতে পারলে এর থেকে ভাল কিছু হয় না খুশকির হাত থেকে মুক্তি পেতে। কুসুম ভাল করে ফেটিয়ে নিন। চুল যেন অবশ্যই শুকনো থাকে। চুলে ফেটানো কুসুম দিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। ভাল করে এরপর শ্যাম্পু করে নিন। এক মাসের মধ্যে খুশকি দূর হয়ে যাবে সপ্তাহে তিন দিন করে ব্যবহার করলে।
দুটি টি ব্যাগ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর টি ব্যাগ তুলে সেই জল ঠাণ্ডা করে নিন। এই জল এবার চুলে, স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন আর ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার সাধারণ জলে চুল ধুয়ে নিন। এক দিন ছাড়া ছাড়া করতে পারলে খুবই ভাল।
তুলসী পাতা আগে ভাল করে ধুয়ে বেটে নিন। আমলা পাউডার এই তুলসী পাতা বাটার মধ্যে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রেখে দিন ২৫ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। আমলা থাকার জন্য খুশকি সুন্দর ভাবে দূর হয়ে যাবে।
আমলকি তিনটে নিন আর আগে সেদ্ধ করে নিন। তারপর বীজ বের করে সেই আমলকি চটকে নিন। এবার এই আমলকি চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা মতো রেখে দিন। আমরা জানি আমলা চুলের জন্য কতো ভাল। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। নিয়ম করে ব্যবহার করলে দুই মাসের মধ্যে খুশকি মুক্ত চুল পাবেন।
একটা কলা ভাল করে চটকে নিন। এর মধ্যে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে এক দিন করে করলেই হবে।
রসুন আগে অল্প থেঁতো করে নিন। এর মধ্যে মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণ চুলে আর স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিন। ভাল করে শ্যাম্পু করবেন, না হলে গন্ধ থাকবে। সপ্তাহে দুই দিন করুন।
ভাল ব্র্যান্ডের মেহেন্দি পাউডার আজকাল বাজারে পাওয়া যায়। সেই মেহেন্দি পাউডার জলে ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সেই মেহেন্দির মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্প আর চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন আর অন্তত এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। এতে খুশকি অনেক কমে যাবে। সপ্তাহে এক দিন করে ব্যবহার করাই যথেষ্ট। মেহেন্দি চুলের সব দিক থেকে সুন্দর থাকার প্রধান চাবিকাঠি। অনেকে মেহেন্দির সঙ্গে ডিম, চা পাতা এসব দিয়ে থাকেন। কিন্তু খুশকির হাত থেকে রক্ষা পেতে শুধু মেহেন্দি ব্যবহার করলেই ভাল ফল পাওয়া সম্ভব।
মুলতানি মাটি আর জল মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন ভাল করে ৩০ মিনিট। তারপর ধুয়ে নিন আর শ্যাম্পু করে নিন। শুধু স্কিনের ক্ষেত্রেই নয়, মুলতানি মাটি চুল বা স্ক্যাল্পের জন্যও খুব ভাল। মুলতানি মাটি যেহেতু ময়লা খুব ভাল পরিষ্কার করে তাই ময়লা, মরা স্কিন সেল সব দূর হয়ে যায়। আর ময়লা সহজে জমতে পারে না বলে খুশকি সহজেই দূর হয়ে যায়।
লেমনগ্রাস এসেনসিয়াল অয়েল এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। এই তেল নিয়ে চুলে আর স্ক্যাল্পে স্নানের দুই ঘণ্টা আগে লাগিয়ে রাখুন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার অবশ্যই ব্যবহার করবেন। এই তেলের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুশকি দূর করে দেয়। আর এমনিই যে কোনও ধরণের তেলের ম্যাসাজ স্ক্যাল্পের পি.এইচ লেভেল বজায় রাখার জন্য খুব দরকার। এতে স্ক্যালের ড্রাইনেস সহজে আসে না। তাই খুশকি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যায়।
বাইরে থেকে বেশ কিছু জিনিস অ্যাপ্লাই করা যেমন দরকার, তেমনই ভিতর থেকে সুস্থ থাকাও দরকার। তাই নিচের এই কয়েকটি কথা আপনাকে মেনে চলতে হবে।
এটি চুলের সার্বিক উন্নতির জন্য খুব ভাল। মূলত বাদাম, ওয়ালনাট এই ধরণের জিনিসে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে। এটি স্ক্যাল্পে স্বাভাবিক তেলের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে স্ক্যাল্প হাইড্রেটেড থাকে আর খুশকি বেশি হতে পারে না। তাই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে।
খুশকির থেকে মুক্তি পেতে ডায়েটের দিকেও নজর দিতে হবে। অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার স্ক্যাল্পে তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ময়লা বেশি জমে। এছাড়া বেশি কার্বোহাইড্রেট খেলেও তার প্রভাব পরে খুশকির সমস্যা হওয়ার ক্ষেত্রে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি আর ডেয়ারি প্রোডাক্ট সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ডকে বেশি উত্তেজিত করে। তখন বেশি তেল উৎপন্ন হয় আর তার ফলে ব্যাকটেরিয়াল প্রকোপ বেশি হয়। ফলে খুশকি হওয়া খুব স্বাভাবিক। তাই এই ধরণের খাওয়া একটু কম করতে হবে।
স্ক্যাল্প যত অপরিষ্কার থাকবে তত খুশকির সমস্যা বাড়বে। তাই স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা খুব দরকার। এখন আপনি বলবেন শীতের সময়ে বারবার চুল ধোয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এটা ভুললে চলবে না, আমরা এখন ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের যুগে চলে এসেছি। এখন আপনারা মাঝে মাঝেই এই ড্রাই শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন। এতে ঠাণ্ডাও লাগবে না, আর চুল পরিষ্কার থাকবে। স্ক্যাল্পে আর চুলের উপর ড্রাই শ্যাম্পু নিয়ে ছড়িয়ে দিন। হাল্কা হাতে চুলে খানিক ম্যাসাজ করে নিন যাতে সারা মাথায় শ্যাম্পু লেগে যায়। খানিক ক্ষণ রেখে একটা বড় মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। ড্রাই শ্যাম্পুর সঙ্গে সব ময়লা বেরিয়ে আসবে। চুল হয়ে উঠবে সুন্দর আর ফুরফুরে।
স্ক্যাল্প অপরিষ্কার হয়ে যাওয়ার আরেক বড় কারণ হল ডেড সেল জমা হতে থাকা। এই শীতের সময়ে স্ক্যাল্প ড্রাই হয়ে গিয়ে স্ক্যাল্পে বেশি করে ডেড সেল জমতে থাকে। আপনি যদি বেশি চুলকান মাথা তাহলে বেশি করে মরা চামড়া উঠে আসবে। এটি সারা মাথায় ভরে গিয়ে মাথা অপরিষ্কার করবে আর এখানেই ব্যাকটেরিয়াল সমস্যা শুরু হয়ে খুশকি বেড়ে যাবে।
শুনতে খারাপ লাগলেও স্ট্রেস কিন্তু খুশকির জন্য অনেকটা দায়ী। স্ট্রেস হলে স্ক্যাল্প সাধারণ তেল উৎপাদন করতে পারে না। ফলে স্কিন বেশি ড্রাই হয়ে যায়। স্ক্যাল্প ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা হারায়। তাই খুশকি হলে তার সঙ্গে স্ক্যাল্প লড়তে পারে না। তাই স্ট্রেস কম করুন অবশ্যই, তাহলেই চিরতরে খুশকি কমে যাবে।
এতোখানি পড়ে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে খুশকি বন্ধ করার জন্য স্ক্যাল্প হাইড্রেটেড থাকা কতটা জরুরি। আর আমাদের শরীর হাইড্রেটেড রাখার সবচেয়ে বড় উপায় হল বেশি করে জল খাওয়া। শীতকালে আমাদের বেশি খুশকি হয় কারণ আমরা এই সময়ে জল খাওয়া কমিয়ে দিই। তাই আমাদের শরীর হাইড্রেটেড থাকে না আর খুশকির প্রকোপ বাড়তে থাকে।
শীত হোক বা গরম, মাথা ঢেকে রাখা খুব দরকার। এতে আপনার স্ক্যাল্প আর চুল বাইরের ধুলো, ধোয়া থেকে অনেকটা রক্ষা পায়। তাই ছাতা হোক, টুপি হোক ব্যবহার করুন। সুন্দর ডিজাইনের স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন। এতে স্টাইলও হবে আর চুলও রক্ষা পাবে। আর খুব একটা খুশকির সমস্যা হবে না।
অ্যাসপিরিন একটি খুব ভাল অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি যদি শ্যাম্পুর সঙ্গে ব্যবহার করা যায় তাহলে কিন্তু খুশকির হাত থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়। যে কোনও ভাল ওষুধের দোকানে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট পাওয়া যায়। দুটি ট্যাবলেট নিয়ে ভেঙে গুঁড়ো করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে দিন। তারপর সেই শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এতে খুশকির প্রকোপ অনেক কমে আসবে।
এবার আপনাদের দুটি হেয়ার মাস্কের কথা বলব। মাঝে মাঝে এই দুটি মাস্কের ব্যবহার আপনাকে খুশকির থেকে অতি অবশ্যই তাড়াতাড়ি মুক্তি দেবে।
এই প্যাকটি খুশকি দূর করার সঙ্গে সঙ্গে চুলের সার্বিক উন্নতি ঘটাবে। চুল হবে সুন্দর আর ঘন।
একটি কাঁচা ডিম কুসুম সুদ্ধ নিয়ে নিন একটি পাত্রে। একটা পাকা কলা আগে চটকে নিন। এর মধ্যে এবার ফেটানো ডিম, লেবুর রস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। একটি পেঁয়াজ কেটে থেঁতো করে তার থেকে রস বের করে নিন আর এই রস মিশিয়ে দিন ওই মিশ্রণে। ভাল করে সব উপকরণ মিশিয়ে চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। অপেক্ষা করুন এক ঘণ্টা মতো।
তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু বা বেবি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন। ভাল কন্ডিশনার অবশ্যই ব্যবহার করবেন। সপ্তাহে একদিন করে এটি ব্যবহার করে দেখুন। ফল পেতে আপনি বাধ্য।
চুলের জন্য দারচিনি খুবই ভাল। দারচিনির এই মাস্ক চুলে লাগিয়ে হাল্কা হাতে অল্প ম্যাসাজ করলে ডেড সেল উঠে যাবে। এতে স্ক্যাল্পের এক ধরণের স্ক্রাবিং হয়ে যাবে।
একটি পাত্রে তিনটি জিনিস নিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে নিন। বেবি শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। সিরাম বা ভাল কন্ডিশনার অবশ্যই ব্যবহার করবেন। সপ্তাহে দুই দিন মতো ব্যবহার করুন। এতেও খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। উষ্ণ একটু গরম জল দিয়ে যদি চুল আগে ধুয়ে নিতে পারেন তাহলে আরও ভাল হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, খুব বেশি গরম জল কিন্তু ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
এর মধ্যে যে কয়েকটি আপনি সুবিধে মতো ব্যবহার করতে পারবেন করুন। তাতেই অনেক ভাল থাকবেন আপনি। খুশকির মতো সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
Amer khub hair fall hocha