পেয়ারাকে অনেকে আপেলের সমান বলে থাকেন। কারণ পেয়ারাতে সত্যি আপেলের সমান পুষ্টি গুণ আছে। পেয়ারার পুষ্টি গুণ জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। পেয়ারা হল এনার্জি, ডায়টারি ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলসের ভাণ্ডার। এতে ভিটামিন-এ, সি, বি-৬, থিয়ামিন। শুধু ভিটামিন নয় এতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও আরও অনেক পুষ্টি গুণ। মনে করা হয় কয়েকটা পেয়ারা আপনাকে সারা বছর ডাক্তারের থেকে দূরে রাখতে সক্ষম।
পেয়ারার জুস ক্যান্সারের জন্য ওষুধের মত কাজ করে। পেয়ারার মধ্যে আছে এমন একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা খুব কম ফলেই পাওয়া যায়। যা ক্যান্সারের জন্য ওষুধ হিসাবে কাজ করে। এটি দেহকে ক্ষতিকর ফ্রি রাডিকেলসের হাত থেকে বাঁচায়। যেটা ক্যান্সারের জন্য দায়ি। এটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। এবং ক্যান্সারকে ছড়িয়ে পড়তে দেয়না। ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি খুবই উপকারি একটি উপাদান।
পেয়ারা দেহে পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের ভারসাম্যকে ঠিক রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হাইপারটেনশন কম করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল ‘এল ডি এল’ এর পরিমাণ কমায়। এবং উপকারি কোলেস্টেরল ‘এইচ ডি এল’ পরিমাণ দেহে স্বাভাবিক রাখে। হার্টকে ভেতর থেকে সুস্থ্য রাখে।
পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কার্যকরী। এতে আছে প্রচুর পরিমানে ডায়টারি ফাইবার। একটা পেয়ারা প্রতিদিন ১২% পর্যন্ত আমাদের দেহের ফাইবারের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এই ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখার জন্য একটি উপকারি উপাদান এবং পেয়ারার দানা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার জন্য বেশ উপকারি। দানা সহ পেয়ারা চিবিয়ে খাওয়া হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পেয়ারাতে আছে ভিটামিন এ যা চোখকে ভালো রাখার জন্য খুবই উপকারি একটি উপাদান। এটি চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। চোখকে ভালো রাখে। দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। শুধু ভিটামিন এ নয়, এতে চোখের জন্য আরও অনেক উপকারি উপাদান আছে। তাই একে গাজরের সমান উপকারি হিসাবে মনে করা হয়। যদি আপনার গাজর খেতে ভালো না লাগে তাহলে আপনি পেয়ারা খেতে পারেন। চোখকে ভালো রাখার জন্য।
পেয়ারাতে থাকা আর দুটি খুবই উপকারি উপাদান হল ভিটামিন বি- ৬ ও বি- ৩ যেটা মস্তিষ্কের জন্য খুব দরকারি দুটি উপাদান। ভিটামিন বি- ৩ মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। এবং ভিটামিন বি- ৬ ও মস্তিষ্কের জন্য আরেকটি দরকারি উপাদান। যেটা নার্ভ সিস্টেমের জন্য উপকারি। এটি ব্রেন ও নার্ভকে রিলাক্স রাখতে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সর্দি কাশি জ্বর লেগেই থাকে। এই ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে খান পেয়ারা। এতে থাকা ভিটামিন সি দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলে। দেহকে এই সমস্ত ভাইরাস থেকে রক্ষা করে। সর্দির সময় গলা ব্যাথাও কমায় পেয়ারা।
পেয়ারা শরীরের সাথে সাথে ত্বককে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। পেয়ারা সূর্যের ক্ষতিকর ‘ইউ ভি’ রস্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। শুধু সূর্য রস্মি নয়, বাইরের দূষণ, ধুলো থেকেও আমাদের ত্বকের ক্ষতি হয়। সেটির হাত থেকেও বাঁচায় পেয়ারা। এটি সান প্রোটেকশনের কাজ করে। এছাড়াও পেয়ারাতে আছে ত্বকের জন্য উপকারি ভিটামিন এ, সি, ও বি এবং পটাশিয়াম যেটা খুব উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ডিটক্সিফায়ার। যেটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। তার ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল। ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়াকে রোধ করে।
দেহকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। দেহে জন্য অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকারক উপাদানগুলিকে বের করে। দেহ থেকে টক্সিন বার করে দেয়। যেটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসাবে কাজ করে। যা দেহকে পরিষ্কার রাখে।
তাহলে এবার বুঝতে পারলেনতো কেন পেয়ারাকে আপেলের সমান মনে করা হয়? পেয়ারার দামও সাধ্যের মধ্যে। তাই এবার থেকে সাধ্যের মধ্যে ভালো থাকার জন্য খান পেয়ারা।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…