বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি।আর পার্টি মানেই একটু হট ড্রেস,একটু শর্ট ড্রেস।আর সাধের শর্ট ড্রেসটা পরতে গিয়ে যদি দেখেন কালো পা,তাহলে কেমন লাগবে বলুন তো।মানে ওই সান ট্যান।ইস!তখন পুরো সাজটাই মাটি।হাজার ইচ্ছা থাকলেও নিজেকে সুন্দর ভাবে সাজাতে পারবেন না।কিন্তু নিজের সৌন্দর্যের সাথে কোনো কম্প্রমাইজ করা যায়?একদম না।ব্যাস,তখনই একরাশ মন খারাপ।কিন্তু আর মন খারাপ নয়।কারণ আমি পায়ের ওই ট্যান রিমুভ করে,পা’কে আবার আগের মত ফর্সা করে দিতে সাহায্য করব আপনাকে।আরে আমি করব না,করবেন আপনি।কিভাবে?দেখে নিন।
এটা ট্যান রিমুভ করার একটা ট্রিটমেন্ট।যেখানে অ্যালোভেরা স্কিনকে হাইড্রেড করে,টম্যাটো প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে,আর মুসুর ডাল স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে।তাহলে বুঝতেই পারছেন ট্যান রিমুভ করার ক্ষেত্রে,এই তিনটি একসাথে কত ভালো কাজ করবে।
উপকরণ
হাফ কাপ মুসুর ডাল, ২চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ২চামচ টম্যাটো পাল্প।
পদ্ধতি
মুসুর ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।সকালে পুরো নরম হয়ে গেলে,এটার পেস্ট করে নিন।এবার এতে অ্যালোভেরা জেল ও টম্যাটো পাল্প মিশিয়ে নিন।ভালো করে সব উপকরণগুলি মেশান।এবার এই পেস্টটা পায়ে ও পায়ের পাতায় ভালো করে লাগান।২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে তিনদিন করুন তাড়াতাড়ি পায়ের ট্যান রিমুভ করার জন্য।
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি স্কিনের যে কোনো দাগ দূর করতে সক্ষম।তাহলে ট্যানের দাগ কেন নয়।আর চিনি তো স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে।তাই এই দুটো একসাথে খুব ভালো কাজ করবে ট্যানের সমস্যায়।
উপকরণ
১ কাপ চিনি ও ২ থেকে ৩চামচ লেবুর রস।
পদ্ধতি
চিনির মধ্যে লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন।এবার এটা পায়ের ট্যান পড়া জায়গায় লাগান।একটু ঘষুন যাতে চিনি গুলো মিশে যায়।চিনির দানা গুলো পুরো গলে গেলে ধুয়ে নিন।সপ্তাহে দুবার করুন।তারপর নিজেই দেখুন ফল।
যদি খুব তাড়াতাড়ি ট্যান রিমুভ করতে চান তাহলে এটা ট্রাই করে দেখুন।মুসুর ডাল স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করার সাথে সাথে,সান ট্যানকেও সরায়।
উপকরণ
১কাপ মুসুর ডাল,১টা টম্যাটো ও ২চামচ লেবুর রস।
পদ্ধতি
মুসুর ডাল আগেরদিন রাত্রে ভিজিয়ে রাখুন।মুসুর ডাল নরম হয়ে গেলে,পেস্ট করে নিন।এবার এতে একটা পাকা টম্যাটো দিন।তারপর দিন লেবুর রস।ভালো করে সব উপকরণগুলি মেশান।এবার এই ঘন পেস্টটা পায়ে লাগান।পায়ের পাতায় লাগান।এবার হালকা শুকিয়ে এলে,একটু স্ক্রাবিং করে তুলুন।অর্থাৎ তোলার সময় একটু ঘষে নিন।সপ্তাহে দুদিন করুন।এটা শুধু ট্যান রিমুভ করবে না,সঙ্গে স্কিনকে একটা দারুন গ্লো দেবে।
এটাও একটা অসাধারণ ট্রিটমেন্ট,সান ট্যান রিমুভ করতে।এখানে শসা ও লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে।লেবুর রস ধীরে ধীরে ট্যান হালকা করে।আর শসা ও গোলাপজল স্কিনকে ঠাণ্ডা করে ও ট্যান রিমুভ করে।
উপকরণ
১টি শসা,১টি লেবু ও ২চামচ গোলাপজল।
পদ্ধতি
প্রথমে শসা ব্লেণ্ড করে নিন।এবার এটা থেকে রস বার করে নিন।তারপর এই রসে লেবুর রস মেশান।আর দিন গোলাপজল।ভালো করে সব মিশিয়ে নিন।এবার এই মিশ্রণ ট্যান পড়ে যাওয়া জায়গায় লাগান।১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এটা সপ্তাহে তিনদিন করুন ভালো ফল পাবার জন্য।তবে এটা করে কিন্তু রোদে যাবেন না।তাই রাত্রে করুন।
এই সবকটাই খুব ভালো কাজ করবে ট্যানের সমস্যায়।এক এক সপ্তাহে এক একটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ট্রাই করুন।তারপর কথা দিচ্ছি,নিজেই নিজের পা দেখে খুশী হবেন।
এছাড়া কয়েকটি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন যদি সময়ের অভাব থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী কয়েকটি ক্রিম সম্পর্কে জানালো হল। যা অনায়াসে সান ট্যানের কালো দাগ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…