ফলের উপকারিতা আমরা সবাই জানি। ফলে থাকে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ভিটামিন আরও অনেক খাদ্যগুণ যা আমদের প্রতিদিন দরকার। কিন্তু ফল খাবারও কিছু নিয়ম আছে যখন তখন ফল খাওয়া ভালো না। আবার কিছু কিছু ফল অতিরিক্ত খাওয়াও ভালো না। ফলের যেমন ভালো দিক আছে তেমনই কিছু কিছু ফলের কিছু খারাপ দিকও আছে। এরকমই একটি ফল হল আঙুর যা অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না। অতিরিক্ত আঙুর খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক আছে যেগুলি হয়তো আমরা তেমন ভাবে জানি না। আসুন জেনে নি কেন অতিরিক্ত আঙুর খাওয়া ভালো না।
অনেকেরই আঙুরে অ্যালার্জি হয়। আবার খেতেও হয় না, অনেকের আঙুরে হাত দিলেই অ্যালার্জি হয়। আঙুরের কিছু উপাদান অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করে। অনেকের লাল লাল ফুসকুড়ির মত অ্যালার্জি হয়। আবার অনেকের অতিরিক্ত আঙুর খাবার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হয়। এছাড়াও হাঁচি হয়। এগুলি সবই আঙুরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এগুলি এক একজনের ওপর এক এক রকম। যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে আঙুর না খাওয়াই ভালো।
আঙুরে ক্যালোরি কম থাকে। এক কাপ আঙুরের রসে ১০০ গ্রাম ক্যালোরি থাকে যেটি বেশি না। কিন্তু আঙুর খুব ছোট ফল হবার ফলে আমরা একসঙ্গে অনেক আঙুর নিয়ে খাই। তার ফলে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। যেটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যদি রোজ আঙুর খাওয়া হয় তাহলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রোজ খুব বেশি পরিমাণ আঙুর খেলে এই সমস্যা হতে পারে।
আঙুর খেলে অনেকেরই বদহজম হয়। অতিরিক্ত আঙুর খেলে হজমের সমস্যা হয়। আবার এর ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাও হতে পারে। পাকা আঙুর ও শুকনো আঙুর দুটিতেই হয়। আঙুরের একটি কমন সাইড এফেক্ট। যাদের ফ্রুকটোজ উপাদানে শরীরে সমস্যা হয় তাদের আঙুর না খাওয়াই ভালো। কারণ আঙুরে থাকা এই উপাদানটি শরীরে নানা সমস্যা, বিশেষত কিডনি ড্যামেজের মত সমস্যাও হতে পারে।
এখন প্রচুর মানুষ গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। এর একটি কারণ আঙুরও হতে পারে। এর কারণ আঙুরে থাকা ফ্রুকটোজ। ফ্রুকটোজ এই উপাদানটি সহজে হজম হয় না, আর পেটের ভেতরে গ্যাসের সৃষ্টি করে। এর কারণে গ্যাসের ব্যাথাও হয়। তাই যাদের গ্যাস অম্বলের সমস্যা আছে তাদের আঙুর না খাওয়াই ভালো।
আঙুরে অতিরিক্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেড থাকে। এই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেড শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কার্বোহাইড্রেড আমাদের প্রতিদিন দরকার। কিন্তু অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেড গ্লুকোজে পরিনত হয় এবং এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীরের জন্য ভালো না। এর ফলেই সুগারের মত সমস্যা হয়।
শরীরে কার্বোহাইড্রেডের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। বেঁচে থাকার জন্য সব উপাদানই দরকার কিন্তু সবটাই পরিমিত হওয়া উচিৎ।
কি ভাবছেন এবার থেকে আর আঙুর খাবেন না? না সেটা একদমই না। আঙুরের খারাপ দিকের সঙ্গে ভালো দিকও আছে। আঙুরে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে বিভিন্ন সমস্যা রোধ করার পাশাপাশি, শরীরকে ফিট রাখার জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।
তাই খান কিন্তু পরিমাণ বুঝে। ওই যে কথায় বলে না অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভাল না। পরিমান বুঝে খেলে কোন ক্ষতি হবে না। বরং শরীরের ভালোই হবে। তাই ভয় না পেয়ে পরিমাণ বুঝে খান।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…