নুসরত জাহান টিপস দিলেন কম মেকআপে নিজেকে সুন্দর সাজানোর!
সবসময় সবজায়গায় যে বিয়েবাড়ির মতো চড়া মেকআপ করতে ভালোলাগে এমনটা নয়, অনেকসময় তো চড়া মেকআপ সব জায়গায় মানায়ও না। তাই প্রতিদিনের অফিস হোক বা কলেজ হালকা মেকআপে কীভাবে নিজেকে সুন্দর করে তোলা যায় সেই টিপসই দিলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
অবশ্যই অ্যাপ্লাই করুন এটি
সবার প্রথমে দিনের বেলা বাইরে বেরোনোর আগে, তা আপনি মেক করুন বা না করুন একটা ভালো সানস্ক্রিন অবশ্যই অ্যাপ্লাই করুন।
পাশাপাশি মুখে কোনও দাগ, যেমন পিম্পল হোক বা কোনও মার্ক, তা অল্প মেকআপে কীভাবে কভার করা যায় সেই টিপসই দিলেন নুসরত।
মেকআপ করার একেবারে প্রথম ধাপেই আপনার স্কিন টোন অনুসারে একটি ফাউন্ডেশন নিন।
এবার তা ব্লেন্ডারের সাহায্যে মুখের দাগগুলির ওপরব এবং চোখের নীচের অংশে অ্যাপ্লাই করুন। সারা মুখে কিন্তু লাগানোর প্রয়োজন নেই।
যেহেতু সারাদিনের জন্য বাইরে থাকা তাই ত্বক যাতে ভালো করে শ্বাস নিতে পারে, সেই দিকেও নজর রাখা উচিত। তবে অল্প যেটুকু বাঁচবে সেটা আপনি পুরো ফেসে হালকা করে অ্যাপ্লাই করে নিন।
এরপর হালকা একটা কমপ্যাক্ট পাউডার নিয়ে আস্তে আস্তে চোখের তলায় অ্যাপ্লাই করুন।
একইভাবে সারা মুখে অ্যাপ্লাই করুন। এবার গোলাপি শেডের যেকোনও একটা ব্লাশার নিয়ে দুই গাল রাঙিয়ে তুলুন।
দেখবেন অতিরিক্ত অ্যাপ্লাই করবেন না যেন। নুসরতের কথা, মেকআপ করার সময়ে চেহারায় একটা ঔজ্জ্বল্য থাকাটা জরুরী।
যেন কখনওই মেকআপ করেছেন এমন দেখতে না লাগে।
ইচ্ছে হলে ব্যবহার করতে পারেন
এরপর আপনি যদি মনে করেন তাহলে অল্প শিমারও অ্যাপ্লাই করেতে পারেন।
পাউডার শিমার বা লিক্যুইড শিমার নিয়ে তা হাই চিক বোনস-এ (গালের ওপর এবং চোখের তলার অংশে) লাগিয়ে নিন।
এবার আসুন চোখের মেকআপে। প্রথমে আপনার আইশ্যাডো প্যালেটের ব্রাউন শেডটা নিয়ে চোখের ওপর ভালো করে অ্যাপ্লাই করুন।
এবার এই শ্যাডোটিকে ব্লেন্ড করার জন্য এর থেকে দু’শেড হালকা একটা শ্যাডো নিয়ে চোখের খাঁজের অংশটি ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।
এই ব্লেন্ড করাটা কিন্তু খুবই জরুরী।
প্রয়োজনে প্রথমে ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে তারপর আঙুলের সাহায্যেও ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।
এরপর যেকোনও একটি ব্রাইচ শেডের আইশ্যাডো নিয়ে চোখের লিডের ওপর মাঝ বরাবর অ্যাপ্লাই করে নিন।
ব্রাশের সাহায্যে অথবা হাতের সাহায্যে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।
ওই একই শেড দু’চোখের কোণায় এবং ভ্রুর নীচের অংশেও অ্যাপ্লাই করে নিন।
হাইলাইট পার্ট
এই অংশগুলে হাইলাইট হলে মেকআপ খুব ভালো করে খোলে। এবার মাস্কারা নিয়ে চোখের পাতায় ভালো করে ব্রাশ করে নিন।
দিনের বেলায় ডেইলি যারা মেকআপ করেন, তাদের ফেস কন্টোরিং বা অতিরিক্ত ব্লাশ অন না করাই ভালো।
কারণ ছিমছাম মেকআপেও কিন্তু পাওয়া যায় একটা সুদিং লুক।
এরপর যদি মনে হয় যে আপনার চোখটি একটু ছোট দেখাচ্ছে সেইসঙ্গে সকালবেলা চোখের তলায় কাজল পরতে ইচ্ছে করছে না তাহলে যেকোনও ব্রাউন বা ডার্ক পিচের কোনও একটা শেড নিয়ে চোখের তলায় অ্যাপ্লাই করা যেতে পারে। তবে বেশি নয়।
এটা কিন্তু নুসরতও এই ট্রিক ফলো করেন। এবার আসা যার ভ্রুতে।
যাদের ভ্রু নুসরতের মতো একটু চওড়া তারা একটা অ্যাঙ্গেলড শেপের আইব্রো ব্রাশ নিন।
সেইসঙ্গে নিন মানানসই একটা ডার্ক শেড। এবার ব্রাশে নিয়ে শেডটি ভ্রুতে যেখানে ফাঁকা রয়েছে, সেই জায়গাটি ফিল আপ করে নিন।
গোটা ভ্রুতে লাগানোর প্রয়োজন নেই।
লিপ মেকআপ টিপস
সবশেষে আসে লিপস্টিক। তবে কেউ যদি লিপ বাম পছন্দ করেন সে লিপবাম বা গ্লসও অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
তা না হলে আপনার পছন্দের যেকোনও রঙের লিপস্টিক পরে নিন।
ব্যস আর কি চাই। নুসরতের মতো ঝকঝকে লুক পেতে অবশ্যই এই মেকআপ ট্রাই করুন।