গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে শীত।আর শীতকাল মানেই কমলালেবু।আহা!শীতের দুপুরে রোদে দাঁড়িয়ে কমলালেবু খেতে কি ভালোই না লাগে।হ্যাঁ খাবেন তো অবশ্যই।কিন্তু খেয়ে খোসাটা ফেলে দেবেন না।ওটাও শীতের রোদে শুকিয়ে নিন।ওটাকে কাজে লাগান,শীতের ফ্যাকাসে স্কিনে এক্সট্রা গ্লো অ্যাড করতে।কারণ শীতের রূপচর্চায় কমলালেবুর খোসা জাস্ট এক্সসিলেন্ট।কমলালেবুর মত এর খোসাতেও রয়েছে অসাধারণ গুণাগুণ। খাওয়া তো সম্ভব নয়,তাই স্কিনে লাগান।তাহলে আর বাজার থেকে অরেঞ্জ পীল মাস্ক কিনে লাগাতে হবে না।
কমলালেবুর খোসায় আছে ভিটামিন সি,পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও সাইট্রিক অ্যাসিড,যা স্কিনের ডেড সেল সরিয়ে,স্কিনে দারুণ গ্লো আনে।সাইট্রিক অ্যাসিড স্কিনের যে কোনো দাগ,ট্যান দূর করে।আর ভিটামিন সি স্কিনকে নরম,কোমল রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস দূর করতেও উপকারী কমলালেবুর খোসা।
ইনস্ট্যান্ট পার্লারের মত ফেসিয়াল গ্লো পেতে,ব্যবহার করুন কমলালেবুর খোসা ও দই।
১চামচ কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো ও ২চামচ দই।
কমলালেবুর খোসা ভালো করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন।এরপর ১চামচ এই গুঁড়োর সাথে ২চামচ টক দই মেশান।ভালো করে মিশিয়ে এই ঘন পেস্টটা মুখে লাগান।২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।তারপর ধুয়ে ফেলুন। পার্টিতে যাবার কয়েক ঘণ্টা আগে লাগিয়ে নিন এটা।ব্যাস,স্কিন পার্টির জন্য একদম রেডি।
সুন্দর স্কিন পাওয়ার একটা প্রধান ও প্রথম শর্ত হল স্কিনকে পরিষ্কার রাখা।বাইরের ধুলোবালি,মেকআপ স্কিনের ভেতরে জমে থেকে,নানারকম স্কিন প্রবলেম শুরু হয়।
১চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো ও ১চামচ মুলতানি মাটি।
কমলেবুর খোসা গুঁড়ো ও মুলতানি মাটি মেশান।জল দিয়ে পেস্ট বানানোর পরিবর্তে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন আরও ভালো ফল পেতে।এবার এই ঘন পেস্ট মুখে,গলায় লাগান।হালকা শুকিয়ে এলে ধুয়ে নিন।এটা স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করবে।ব্ল্যাকহেডস,হোয়াইটহেডসের সমস্যা থাকলে,সেটাও কমে যাবে।
যদি হাতের কাছে মুলতানি মাটি ও গোলাপজল না থাকে তাহলে কি করবেন?দেখে নিন।
২ চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো,পরিমাণ মতো দুধ।
দুটো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মুখে আর হাতে মাখুন।১০ মিনিট রাখুন।শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।এরকমভাবেই স্কিন ক্লিঞ্জার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো ও দুধ।এটাও স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে।ভেতরের সমস্ত ময়লা,অতিরিক্ত তেল বার করতে সাহায্য করে এবং এটা ব্লিচ হিসাবেও কাজ করবে।
হেলদি স্কিনের আরেকটি রহস্য হল,স্কিনকে মাঝে মাঝে এক্সফোলিয়েট করা।কিভাবে করবেন দেখুন।
১চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো, ১চামচ মধু, ১চামচ চিনি ও একটু নারকেল তেল।
সমস্ত উপকরণগুলি ভালো করে মিশিয়ে নিন।এবার এই ঘন পেস্টটা মুখে লাগান।১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।এটা চাইলে সমস্ত শরীরেও লাগাতে পারেন।তবে পরিমাণটা বাড়িয়ে নেবেন।এটা স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করবে।একটা সুন্দর গ্লো দেবে এবং শরীরে ব্যবহার করলে, গোটা শরীরকে সুগন্ধে ভরিয়ে রাখবে।বেশ ফ্রেশ লাগবে।
এছাড়াও একইভাবে স্কিন এক্সফোলিয়েট করতে পারেন,কমলালেবুর খোসা গুড়ো,চন্দন পাউডার,ওয়ালনাট পাউডার,লেবুর রস ও গোলাপ জল দিয়ে।
১চামচ করে কমলালেবুর খোসা গুড়ো, চন্দন পাউডার, ওয়ালনাট পাউডার, লেবুর রস ও গোলাপ জল,লেবুর রস কয়েকফোঁট।
সমস্ত উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান।২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।স্কিনকে হেলদি গ্লোয়িং করে তুলতে,সপ্তাহে একদিন এভাবে স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে নিন।
তাহলে শীতে কমলালেবু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, খোসাকে এইভাবেই কাজে লাগিয়ে নিন।ব্যাস, শীতের ফ্যাকাসে স্কিন আর ফ্যাকাসে শুকনো লাগবে না।তবে আপনার হঠাৎ হেলদি গ্লোয়িং স্কিনের রহস্যটা কিন্তু কাউকে বলবেন না!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…