যদি আপনার চুল শুষ্ক রুক্ষ ও প্রাণহীন হয় তাহলে কলার হেয়ার মাস্ক আপনার চুলের জন্য একদম পারফেক্ট। কারন আমার চুল একেবারে শুষ্ক হয়ে উঠেছিল নানা কারনে। চুল আঁচড়াতে ভয় পেতাম এত চুল উঠতো। কলার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে আমি ভালো ফল পেয়েছি। চুল পড়া অনেক কমেছে। শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব কমে বরং সিল্কি হয়ে উঠেছে আমার চুল।
কলার হেয়ার মাস্ক মাথার ডেড সেলকে পরিষ্কার করে। চুলের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখে ফলে চুল নরম ও সুন্দর হয়ে ওঠে।
• চুলকে ভেতর থেকে কন্ডিশনিং করে ও হাইড্র্যাটসের মাত্রা বজায় রাখে। চুল নরম, সিল্কি ও জেল্লাদার হয়ে ওঠে।
• চুলের বৃদ্ধি হতে দ্রুত সাহায্যে করে। চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা কমায়।
• চুলের থেকে খুশকি ও ডেড সেল পরিষ্কার করে।
কলার হেয়ার মাস্ক বানানো কলার সেক বানানোর মতই সহজ। কলাকে ভালো ভাবে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিয়ে খাওয়ার বদলে জাস্ট মাথায় মাখা। 😎
• ১ টা গোটা পাকা কলা (চুল অনেক লম্বা হলে ২ টো কলা নিতে পারেন)।
• ২ চা চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল।
• ২ চা চামচ মধু।
• ১/২ কাপ ফ্যাট মিল্ক(নারকেলের দুধ বা টকদই ব্যবহার করতে পারেন)।
একটা পাকা কলা নিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করুণ। আমার চুল ছোট তাই একটা কলায় হয়ে যায়। আপনার চুল লম্বা হলে প্রয়োজনে দুটো কলা নিতে পারেন। ভালো করে পেস্ট বানিয়ে তাতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মেশান। আমি নারকেল তেল ব্যবহার করি।
তারপর তাতে ২ চা চামচ মধু মেশান। ভালো করে তিনটি উপকরন মেশানোর পর হাফ কাপ ফ্যাট মিল্ক মেশান। আমি ফ্যাট মিল্কের বদলে টকদই মেশাই। আপনি আপনার যা পছন্দ বা সহজলভ্য তা মেশাতে পারেন। এবার ২ মিনিট ধরে ভালো করে ৪টে উপকরন মিশিয়ে নিন। রেডি আপনার হেয়ার মাস্ক।
আপনার যদি সময় হাতে কম থাকে তাহলে কলার পেস্ট বানানোর বদলে কলার পাউডার বা (banana baby food puree) ব্যবহার করতে পারেন। আমি সাধারণত কলার পেস্ট বানিয়ে নি। বাইরে কাজে গেলে তখন রেডিমেড পেস্ট ব্যবহার করি।
• হেয়ার মাস্কটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগান। খেয়াল রাখবেন যেন মাথার তালুতেও হেয়ার মাস্ক লাগে।
• পুরো মাথা ও চুলে লাগানোর পর শাওয়ার ক্যাপ (shower cap) বা তোয়ালে দিয়ে চুল কভার করে নিন।
• হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে চুল কভার করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুণ। ততক্ষণ আমাদের হোমপেজে গিয়ে নানা ধরনের লেখা পড়তে পারেন। আমি সাধারণত এই সময় একটু ফেসবুক করি।
• ৩০ মিনিট পর ভালো করে প্রথমে ঠাণ্ডা জলে মাথা ধুয়ে নিন হেয়ার মাস্ক পরিষ্কার করে নর্মাল শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশানার লাগাবেন না।
• ভালো করে এরপর চুল শুকিয়ে নেবেন স্বাভাবিক ভাবে। হেয়ার ডায়ার ব্যবহার করবেন না।
চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর নিজে অনুভব করতে পারবেন চুলের নমনীয়তা।তাহলে দেরি না করে আপনিও আমার মত হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুণ আর খুশি হন সুন্দর চুলের মালকিন হয়ে উঠতে পারার জন্য।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…