আপনাকে সুন্দর করে তুলতে যে জাস্ট একটু কেশরই যথেষ্ট, এটা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু শুধু সুন্দর থাকতে নয়, কেশরের রয়েছে আরও হাজারো গুণ আমাদের ভালো রাখতে। সেটা অবশ্য এটার দাম দেখেই বোঝা যায়। এতে রয়েছে ভরপুর নিউট্রিইয়েন্টস ও ওষুধের মত গুণ। যেটা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে ওষুধের মত কাজ করে। তাহলে চলুন দেখে নি, কী কী গুণ রয়েছে কেশরের।
সারাদিন এতো কাজের মাঝে এনার্জি একদম কমে যাচ্ছে? তাহলে আপনাকে সাহায্য করবে কেশর আপনার হারানো এনার্জি ফিরিয়ে দিতে। কারণ এটা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। সেই সঙ্গে অক্সিজেনকে শরীরের সবদিকে সুন্দর ভাবে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। তার ফলে এনার্জি লেভেল একদম ঠিকঠাক থাকে।
ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ে অত ভাবার কিছু নেই, যদি সাথে রাখেন কেশরকে। কারণ কেশরে আছে যথেষ্ট পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। যেটা খুব সুন্দর ভাবে ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটা খুবই ভালো ওষুধ।
শরীরে প্রয়োজনীয় রক্তের অভাব ঘটছে? তাহলে কেশর কিনে আনুন। কারণ কেশরে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যেটা শরীরে প্রয়োজনীয় হিমোগ্লোবিনের জোগান দেয় এবং অ্যানিমিয়ার মত সমস্যা কমাতে ও এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। তাই শরীরে রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে খান কেশর।
কেশরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬। যেটা খুব কম ফল বা সবজিতেই পাওয়া যায়। এই ভিটামিন শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে ঠিক রাখে। শুধু নার্ভ সিস্টেম কেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। তার ফলে যেকোনো রোগ থেকেই বাঁচতে সাহায্য করে।
হজমের সমস্যা হচ্ছে ? তাহলে কেশরকে সঙ্গে রাখুন। রোজ একটু কেশরই খাবার হজম হতে সাহায্য করবে। তার ফলে অম্বল, গ্যাস, আলসার, কনস্টিপেশন এসব সমস্যা থেকেও আপনাকে অনেকটা দূরে রাখতে সক্ষম কেশর।
কেশরে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ সাহায্য করে। তার ফলে হার্টও থাকে সুস্থ। উচ্চ রক্তচাপ হার্টের জন্য একদম ভালো নয়। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে, নিজের ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন কেশরের সাহায্যে।
এটা কি কেউ জানেন, কেশরে আছে প্রায় ১২ টির থেকেও বেশী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট? আর এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে হেলদি রাখতে যে কতটা উপযোগী সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। শরীরের প্রতিটি কোষকে ভালো রাখে। শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালসের হাত থেকে বাঁচায়। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে এবং ক্যান্সার সমস্যায় এটা ওষুধের মত কাজ করে। ক্যান্সার আক্রান্ত হবার হাত থেকে তো বাঁচায়ই। এবং ক্যান্সার হলে শরীরে ছড়িয়ে পড়তে দেয় না।
এটা তো গেল শরীরের কথা, শরীরের সাথে সাথে মনকে ভালো রাখতেও যে সমান উপকারী কেশর এটা কি জানেন? আজ্ঞে হ্যাঁ। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্যও এটা ভালো। সেই সময় অনেক সময় পেট ব্যাথা করলে এটা কমাতে সাহায্য করে। আর এই সময় মনে নানারকম দুশ্চিন্তা হতেই থাকে। তাই এই সময় দুধ দিয়ে কেশর খেলে এটা মন ভালো রাখতে অনেকটাই সাহায্য করবে। আর বেবির জন্যও ভালো। আপনার সোনামণির স্কিনও হবে সুন্দর ও গ্লোয়িং।
ত্বক সুন্দর রাখতে কেশর যে কতটা উপকারী, সেটা অনেকেই জানেন। যদি সত্যি সুন্দর, স্মুদ ও রেডিয়েন্ট স্কিন চান, তাহলে কেশরের থেকে ভালো উপাদান বোধহয় আর কিছু হতে পারে না।
উপকরণ
জলে ভেজানো কয়েকটা কেশর।
পদ্ধতি
কেশর অন্তত তিনঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। আরও বেশী সময় ভিজিয়ে রাখতে পারলে আরও ভালো। এবার ওই জল দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। তারপর এটা মুখে আর কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটা সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন করতে পারলে, নিজের স্কিন টোনের পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন।
তাহলে দেখলেন তো কেশরের গুণ, নিজেকে হেলদি রাখতে এবার একটু খরচা করেই ফেলুন। তবে রোজ খাওয়ার দরকার নেই। সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন খেলেই যথেষ্ট। আপনি থাকবেন ফিট এবং সুন্দর।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…