হেঁসেলে কালোজিরা নেই এরকম মানুষ কমই আছেন। সকালের তরকারি থেকে শুরু করে, সন্ধ্যের তেলেভাজা সবেতেই স্বাদ বাড়াতে কালোজিরা অনবদ্য। কিন্তু জানেনে কি স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও কালোজিরার আরও অনেক গুণ আছে? শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় কালোজিরার উপকারিতা জানলে আপনিও ব্যবহার করতে চাইবেন। আসুন জেনেনি কালোজিরার উপকারিতা।
কালোজিরা খুব সহজেই শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। কালোজিরাকে ওজন কমাবার একটা অন্যতম উপায় ভাবা হয়। কালোজিরা খুব সহজেই অতিরিক্ত মেদ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে জিমে না গিয়েও। যদি কালোজিরা বেটে গরমজলে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুবার খাওয়া হয়, তাহলে ওবেসিটির মত সমস্যা কমে।
সাইনাসের সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে কালোজিরা। এক্ষেত্রে কালোজিরার দানা খুবই কার্যকরী। একচামচ মধু ও দেড়চামচ কালোজিরা যথেষ্ট সাইনাসের সমস্যা কমাতে এবং যদি নাক বন্ধ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কালোজিরার তেল নাকে দিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কালোজিরা ডায়াবেটিসের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রক্তে গ্লুকোজ লেবেলকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে। তার ফলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আপনার কি নিম্ন রক্ত চাপের সমস্যা আছে? সেটি স্বাভাবিক রাখতে খান কালোজিরা। কালোজিরা নিম্ন রক্ত চাপ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কালোজিরা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান কমিয়ে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। অর্থাৎ কালোজিরা রক্ত চাপকে স্বাভাবিক রাখতে বেশ কার্যকরী।
যদি রোজ একটু করে রান্নায় কালোজিরা দেন তাহলে স্মৃতিশক্তি বাড়বে। কারণ এটি দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তার ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
এখন অনেকেই হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে কালোজিরা বেশ সাহায্য করে। যদি রোজ কালোজিরা খাওয়া যায়, তাহলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।
কালোজিরা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। কালোজিরা রক্তকে পরিষ্কার রাখে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তার ফলে দেহ সতেজ থাকে। বাইরের ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
সর্দিকাশিতেও কালোজিরা উপকারি। এসব হলে মাথা যন্ত্রণা করে সেই যন্ত্রণা কমাতে ব্যবহার করুন কালোজিরা। বা বার বার হাঁচি হচ্ছে? ব্যবহার করতে পারেন কালোজিরা। কালোজিরা হালকা একটু গুড়ো করে, একটা কাপড়ে বেঁধে নিয়ে, তা থেকে যে ঝাঁঝালো গন্ধ বেরচ্ছে সেটি নিতে হবে। তাহলে মাথা ভার ছেড়ে যায়। বন্ধ নাক দূর করতে বা মাথায় সর্দি বসে গেলেও কালোজিরা উপকার। সেক্ষেত্রে কালোজিরা একটু গুড়ো করে যদি নস্যির মত নেওয়া যায় তাহলে উপকার হয়। বা কালোজিরা বেটে কপালে লাগাতেও পারেন।
স্কিন ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও কালোজিরা সাহায্য করে। যেমন চুলকানিতে এটি উপকারি। কালোজিরার তেল লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায় কালোজিরার তেল। একটু সরষের তেলে কালোজিরা ভেজে সেই তেলটা লাগানো যেতে পারে। এছাড়াও কোন পোকা কামড়ে দিলে সেই জ্বালা থেকে মুক্তি পেতেও কালোজিরা ব্যবহার করা যায়। একটু কালোজিরা বেটে জ্বালার জেয়গায় লাগিয়ে নিলে উপকার পাওয়া যাবে।
এছাড়াও কালোজিরা শিশুর সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। শিশুর সঠিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে। মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখতে, এবং শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা সাহায্য করে।
কালোজিরা নানা ভাবে আমাদের সাহায্য করে দৈনন্দিন জীবনে। সুস্থ্য থাকতে হলে কালোজিরা খান নির্ভয়ে। শরীরের নানা সমস্যাকে বলুন টাটা যতক্ষণ কালোজিরে আপনার হেঁসেলে আছে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…