স্কিন ফর্সা দেখাবার জন্য জাস্ট বেরবার আগে একটা ফেয়ারনেস ক্রিম? এতে সাময়িক লাভ হলেও, আদৌ কোন কাজ হয় না। বরং ত্বককে আরও নষ্ট করে দেয় অতিরিক্ত। তাহলে করব কি? কিচ্ছু না জাস্ট ব্যবহার করুন কয়েকটা খুব সহজ উপাদান। ব্যাস তারপর উজ্জ্বল ত্বক কাকে বলে! তখন আর ভুরি ভুরি কসমেটিক ব্যবহার করতেও হবে না। তাই আজকের লেখা মন দিয়ে পড়ুন। যদি সত্যি সুন্দর, ব্রাইট স্কিন পেতে চান।
মধু প্রাকৃতির একটা উপহার সুন্দর ত্বকের জন্য। এটি ত্বককে শুধু উজ্জ্বলই করে না, ত্বকে নানারকম দাগ, নানা সমস্যার ক্ষেত্রেও বেশ উপকারি। জাস্ট একটু মধু নিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট মত। তারপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। টানা একমাস করুন তারপর তফাৎ টা দেখুন। এটি স্কিনের ডেড সেল সরিয়ে একটা ফ্রেশ ও উজ্জ্বল স্কিন দেবে। এছাড়াও মধু, লেবুর রস, গুড়ো দুধ ও আমণ্ড অয়েলের পেস্ট বানান। এটি লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট মত। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দারুন কাজ হবে।
টকদইয়ে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড। যা প্রাকৃতিক ব্লিচ। রোজ একটু টকদই হালকা হাতে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। ম্যাসাজ করে ধোয়ার পরই দেখবেন স্কিনটা কেমন সুন্দর লাগছে। এটা রোজ করুন। একমাস পর তফাৎটা নিজেই বুঝতে পারবেন। এছাড়াও টকদইয়ের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। সপ্তাহে তিনদিন করুন। তারপর দেখবেন স্কিন টোনের পরিবর্তন।
স্কিন টোন লাইট করতে টম্যাটো বেশ সাহায্য করে। এর জন্য জাস্ট কয়েক টুকরো টম্যাটো কেটে স্কিনের ওপর ঘষুন। বা টম্যাটোর রস করেও স্কিনে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট মত রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের রঙ হালকা হবে। হাতে পায়েও লাগাতে পারেন এই পেস্ট ফর্সা হবে।
রূপচর্চায় হলুদের গুণ আমরা অনেকেই জানি। এর জন্য একচামচ হলুদ, একচামচ বেসন ও একটু কাঁচা দুধ ভালো করে মেশান। এবার এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। সপ্তাহে দুবার করুন ভালো ফল পাবার জন্য। স্কিনকে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলবে এই প্যাক।
স্কিনকে ব্রাইট করার জন্য লেবুর জুড়ি নেই। এটি খুব ভালো ব্লিচের মত কাজ করে। এটি স্কিনের যেকোনো দাগ দূর করে স্কিন ব্রাইট করে তোলে। এর জন্য একচামচ লেবুর রস ও একচামচ চিনি মেশান। এটি হালকা ম্যাসাজ করে, লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট মত। এর চেয়ে বেশি লাগিয়ে রাখার দরকার নেই। তারপর হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। কিন্তু ত্বকে কোন জায়গায় কাটা থাকলে এটা লাগাবেন না।
ময়দা শুধু না খেয়ে কাজে লাগান রূপচর্চায়। ময়দার ও গোলাপ জল ভালো করে মেশান। এই পেস্টটি মুখে, হাতে, গলায় লাগান। হালকা শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও ময়দা ও দুধের সর মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। দেখবেন ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হচ্ছে।
ত্বক ফর্সা করতে ভিটামিন সি বেশ কার্যকরী। আর কমলালেবুতে প্রচুর আছে ভিটামিন সি। তাই সপ্তাহে তিন চার দিন কমলালেবুর রস খেলে দেখবেন নিজেকে কেমন উজ্জ্বল লাগছে। এছাড়াও কমলালেবুর খোসা গুড়ো করে, তাতে একটু দই মিশিয়ে পেস্ট বানান। লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও কমলালেবুর রসের সাথে একটু হলুদ গুড়ো মিশিয়েও একই ভাবে লাগাতে পারেন। দারুন কাজ হবে।
এই প্রতিটা উপাদানই কিন্তু বেশ কার্যকরী। জাস্ট ব্যবহার করুন এক থেকে দুমাস তারপর সব প্রশংসা থাকবে আপনার ঝুলিতে। তাই আর দেরি নয় আজ থেকেই শুরু করে দিন উজ্জ্বল ত্বকের প্রস্তুতি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…