ইরাবতীর চুপকথা ধারাবাহিকের আকাশ চ্যাটার্জী থেকে খেলাঘরের শান্টু চরিত্র করে যিনি সিনে অনুরাগীদের মন জয় করেছেন তিনি আমাদের সকলের প্রিয় অভিনেতা সৈয়দ আরেফিন।
অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে যিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন,আর আজ জীবনের বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে তিনি সফল অভিনেতা, সন্ধ্যা ছয়টার স্লট লিডার ধারাবাহিক খেলাঘরের তিনিই হিরো। ঘরোয়া আড্ডায় সেই জনপ্রিয় অভিনেতা আরেফিন সঙ্গীতা চৌধুরীর সাথে খোলামেলা সাক্ষাৎকার দিলেন।
আরেফিনঃ বোম্বেতে আমি কাজ খুঁজেছি, করেছি। প্রচুর অডিশন দিয়েছি, থিয়েটার করেছি। ওখানে কিছু ন্যাশানাল এড শ্যুট করেছি আর কিছু শর্ট ফিল্ম করেছি তবে শর্টফিল্মগুলো রিলিজ হয়নি (একটু থেমে)হরলিক্স, ব্রিটানিয়া পারলের এড করেছিলাম আর ও কিছু এড করেছিলাম তবে এইমুহুর্তে মনে আসছে না। এছাড়া আমি বোম্বেতে জিম ট্রেনিং করাতাম। সেই সময় ফাইট, ড্যান্স যা যা হিরো হওয়ার জন্য দরকার সব শিখেছিলাম। আমি মনে করি প্রতিটা অভিনেতার একবার বোম্বে যাওয়া উচিত, ওখান থেকে অনেক কিছু শেখা যায় যা আমি শিখেছি।
আরেফিনঃ বোম্বে থাকাকালীন আমার কাছে ফোন এসেছিলো, তখন মনে হয়েছিলো যে চরিত্রটা আমার জন্য ভালো তাই আমি ফিরে আসি, তারপর লুক সেট হয় আর তারপর ইরাবতীর চুপকথা করি।
আরেফিনঃ খেলাঘর আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। খেলাঘরের শান্টু আমার খুব কাছের। একটা ছবিতে যেরকম ম্যাটেরিয়াল থাকে, সব গুলোই খেলাঘরে আছে। ছবিতে এরকম চরিত্র হয়ে থাকে, তবে সিরিয়ালে এরকম চরিত্র খুব একটা হয়না। তাই সব হিরোদের কাছেই স্বপ্ন এরকম একটা চরিত্র করা।
স্নেহাশীষ দা ফার্স্ট টাইম এরকম একটা চরিত্র করলেন। আর ইরাবতীর চুপকথা আমার প্রথম কাজ, তাই ওটার প্রতি একটা সফট কর্ণার আছে। প্রথম প্রেম, প্রথম সন্তান প্রথম সবকিছুই ভালোলাগার হয়। ইরাবতীর চুপকথা না করলে হয়ত কেউ আমাকে চিনতেও পারতোনা। তাই দুটোর মধ্যে এইভাবে একটাকে বেছে নেওয়া সম্ভব নয়।
আরেফিনঃ দর্শক যদি এটা মনে করেন তবে তাই।
আরেফিনঃ আমারও মনে হয় দেখুন আমি ছবি করার জন্য কলকাতায় এসেছিলাম, ছবি তো এখনো করিনি সেই অর্থে স্নেহাশীষ দা যেভাবে আমাকে লঞ্চ করেছে, সেটা স্বপ্ন থাকে মানুষের। আমি স্নেহাশীষ দাকে ধন্যবাদ জানাই এই কারণে যে উনি আমাকে এই সুযোগটা করে দিয়েছেন।
আরেফিনঃ উনি ভীষণ ভালো। ওনার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা সব সময় স্পেশাল। কোনো চরিত্র করার আগে সেই চরিত্র নিয়ে ভাবনা, দীর্ঘ চর্চা করার বিষয়গুলো ওনার থেকে শিখেছি। এটা আমার লাইফের একটা অ্যাসেট যে আমি কাজ করেছি ওনার সাথে।
আরেফিনঃ হ্যাঁ আসলে আমার জাহির করতে ভালো লাগেনা।
আরেফিনঃ প্রথম দু একদিন করিনি পরের দিন গুলোয় করেছি।
আরেফিনঃ আমি ছবি দেখতে ভীষণ ভালোবাসি, লকডাউনে প্রচুর ছবি দেখেছি।
আরেফিনঃ হ্যাঁ স্নেহাশীষ দা সকলকেই ছাড় দিয়ে থাকেন। আমি যদি কখনো বলেছি যে দাদা এইভাবে করতে চাই, তো দাদা বলেছেন তুমি করো। যদি ভালো লাগে তো আমি দেখে নিচ্ছি। চরিত্রটা যে আমি করছি তা তো শুধু নয়, চরিত্রটা দাদার চোখে ছিল, কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সময় আমার কিছু কথা দাদা মেনেছেন আবার অনেক সময় বলেছেন যে, না এইভাবে কাজটা করলে ঠিক হবে। সবকিছু মিলিয়ে মিশিয়ে হয়েছে। তবে এই চরিত্রটা করার পেছনে দাদার অবদান সবথেকে বেশি, আমার খুবই সামান্য।দাদা যেটা লিখেছেন আমি সেটা করছি।
আরেফিনঃ না কিছু মিল আছে। ইরাবতীতে আমি সৎ ছিলাম এখানেও কিন্তু তাই। তবে ওখানে একটা আভিজাত্যময় চরিত্র ছিল, এখানে একটা বস্তির গুন্ডা চরিত্র, তবে শান্টু ও সৎ। এক দিক থেকে দেখতে গেলে চরিত্র দুটোর মধ্যে কিছুটা মিল আছে আবার অন্য দিক থেকে দেখতে গেলে পুরোটাই আলাদা।
আরেফিনঃ আমি নিজেও বুঝতে পারিনি যে, এরকম লাউড এক্টিং আমি করতে পারবো। আমি কী করে করেছি আমি নিজেও জানিনা কারণ আমি এত আস্তে কথা বলি যে আমি কখনো ভাবতেই পারিনি, যে, আমি এটা করতে পারবো।
দাদা হয়তো কিছু দেখেছিলেন আমার মধ্যে, ওনার মনে হয়েছিল আমি পারবো। তারপর করতে করতে হয়ে গেছে। কী করে বলবো কী করে করেছি?করছি ব্যস।দর্শকদের ভালো লাগছে। তবে আমি সারাজীবন স্নেহাশীষ দার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো এই জন্য।
আরেফিনঃ আমি এখনো অবধি এরকম অভিনেতা খুব কম দেখেছি। উনি সবথেকে বড় স্টার ছিলেন। কিন্তু সেটা কখনো ফিল করাননি। আমি তখন নতুন ছিলাম আমার সবাইকে ভয় লাগত কিন্তু কখনও রঞ্জিত মল্লিককে ভয় লাগেনি। রঞ্জিত মল্লিক যখন আসতেন ফ্লোরে তখন মনে হতো আমার একজন গার্জেন এলো।
আরেফিনঃ ক্রিকেটার।
আরেফিনঃ রাজীব(বোস)। রাজীব ইরাবতী থেকেই আমার খুব ভালো বন্ধু, এখনো বন্ধুত্ব আছে।
আরেফিনঃ সম্রাটদা আমার গুরু তার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাই সম্পূর্ণ আলাদা। অনেকটা ভয় কাজ করে থাকে আবার অনেক পুরোনো স্মৃতিও মনে পড়ে যায়। সবমিলিয়ে দারুন।
আরেফিনঃ আমি সবসময় আশা করি। আশা না রাখলে এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না। আমি ন্যাশানাল অ্যাওয়ার্ড পাবো এই আশা রাখি আর দর্শকদের প্রতি আমার একটা বিশ্বাস ছিলো।
আরেফিনঃ আমিও আগে হয়ত খারাপ করেছি, তার থেকে নিজেকে ঠিক করেছি। বড় বড় স্টাররা অনেকেই প্রথম কাজটা সেভাবে ভালো করতে পারেনি পরবর্তীকালে তারা কাজ করে করে নিজেদেরকে ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। প্রথম যারা কাজ করছে তাদের হয়তো কিছু ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে, তবে তারা যদি চেষ্টা করে তবে তারাও একদিন বড় জায়গায় গিয়ে পৌঁছাবে। আজ যারা খুব একটা ভালো অভিনয় করতে পারছেন না, একদিন তারাও ভালো অভিনয় করবেন।
আরেফিনঃ খুবই মিস করি। ওখানেই বড় হয়ে উঠেছি তাই আজ ও মিস করি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…