অনেক সময়ে রান্না করতে করতে দেখা যায় একটা বার্নার থেকে আগুন কম উঠছে। এতে রান্না করতে বেশ সমস্যা হয়। আপনি হয়তো এই করোনার সময়ে বাইরে থেকে লোক ডাকতে চাইছেন না। আর ডাকলেও তাঁরা যে মোটা টাকা চার্জ করেন সেটাও এখন দিতে চাইছেন না। আমি বলি কি তার দরকারও নেই। আপনার গ্যাস বার্নারের আঁচ কম থাকলে আপনি সেটা বাড়িয়ে নিতে পারেন নিজেই। তবে স্টেপ বাই স্টেপ মেনে করবেন তা।
প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডারের থেকে বন্ধ করে দিন। এবার সব বার্নার খুলে নিন। আপনার ওভেনে যতগুলি বার্নার আছে সবকটি খুলে নিন। যে লোহার খাঁচা থাকে, যার ওপর বসিয়ে আপনি রান্না করেন, সেটিও খুলে নিন।
এবার একটি পাত্রে সেই খোলা বার্নার নিয়ে তার ওপরে হারপিক ছড়িয়ে দিন। তারপর হারপিক লাগানো বার্নার ১৫ মিনিটের জন্য সরিয়ে রাখুন। ওই লোহার খাঁচাও এই ফাঁকে পরিষ্কার করে নিন। এবার আমাদের ওভেন সারাই করার পালা। তিন মাস অন্তর অন্তর এভাবে পরিষ্কার করবেন।
ওভেন উল্টে দিন। যে বার্নারে আঁচ কম উঠছে সেই বার্নারের নিচের জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। দেখবেন বার্নারের নিচে স্ক্রু আছে দুটি, যেটা দিয়ে গ্যাস আসার মোটা পাইপটা লাগানো থাকে। সেই স্ক্রু আগে খুলতে হবে।
অনেক সময়ে অনেক দিন না খোলার জন্য খুব টাইট হয়ে যায় এই স্ক্রু। একটু তেল লাগিয়ে রেখে দিলেই খুলতে সুবিধে হবে। প্লাস দিয়ে খুলে নিতে হবে। ওপরের দিক থেকেও নাট খুলে নিতে হবে। এবার দেখবেন গোটা ব্যাপারটা আপনার হাতে খুলে চলে এসেছে। ওই মোটা মেটালের পাইপের মতো অংশ দিয়েই গ্যাস বার্নার পর্যন্ত আসে।
যে সরু পাইপের সাহায্যে প্রথমে গ্যাস আসছে ওই মোটা মেটালের পাইপের মুখে সেটার মুখের সামনে দেখুন একটা ছোট ছিদ্র আছে। ওই ছোট ছিদ্র পরিষ্কার করতে হবে। এর জন্য একটি স্টোভ ধরানোর পিন নিয়ে নিন। এতেই খুব ভাল কাজ হবে। এই পিন দিয়ে ওই ছিদ্রের ভিতরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিষ্কার করুন।
অনেক সময়ে ময়লা জমে যাওয়ার জন্য গ্যাস ভাল করে বার্নার পর্যন্ত আসতে পারে না। ব্রাশ দিয়েও খানিক ওই ছিদ্রের চারপাশে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরই সঙ্গে মেটালের মোটা পাইপটাও ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অনেক সময়ে ওপর থেকে এই পাইপ পরিষ্কার আছে দেখতে লাগলেও থাকে না পরিষ্কার। ভিতর থেকে ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হয়। এবার মোটা মেটালের পাইপ আর সরু পাইপ যেমন ছিল সেট করে বসিয়ে নিন।
এখন আবার গোটা ব্যাপারটা আগের মতো করে গুছিয়ে নিতে হবে। নাট আর বল্টু আবার বসিয়ে নিন টাইট করে। আলগা যেন না থাকে। এতে গ্যাস লিক করতে পারে।
এই পর্যন্ত হওয়ার পর আপনাকে বার্নারগুলি পরিষ্কার করে নিতে হবে। ব্রাশে ডিটারজেন্ট পাউডার নিয়ে সেটার সাহায্যে বার্নার ঘষে নিন।
এমনিতেই হারপিকে চুবিয়ে রাখা ছিল বলে বেশ পরিষ্কার হয়েই ছিল। এর পর ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করলে আরও ভাল পরিষ্কার হবে।
সাদাটে ভাব চলে গিয়ে চকচকে তামাটে ভাব ফিরে আসবে। ধুলোগুলিও চলে যাবে। তারপর পরিষ্কার জলে ধুয়ে একটু ঝেড়ে বার্নারের ছিদ্রগুলি থেকে জল বের করে মুছে নিতে হবে। তারপর একটু আলাদা শুকিয়ে নিন।
সবশেষে সব বার্নার ওভেনে সেট করে নিন। এবার আপনি গ্যাস ধরিয়ে দেখতে পারেন। দেখবেন আগের থেকে অনেক বেশি আর স্বাভাবিক আঁচ আসছে। অন্য বার্নারে যেমন আগুন ওঠে, ঠিক সেরকমই আগুন উঠছে।
খুব সাধারণ পদ্ধতি আজ শেখানো হল। এর জন্য বাইরে থেকে লোক ডাকার দরকার নেই। বিশেষ করে বাড়ির গিন্নিরা নিজেরাই এটি করতে পারবেন। আর আপনাদের জন্যই সহজ এই পদ্ধতি নিয়ে আমাদের হাজির হওয়া।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
Excellent job! Thank you!
Welcome, Mam.